মহান আল্লাহ বলেছেন,
لَا تَجِدُ قَوْمًا يُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ يُوَادُّونَ مَنْ حَادَّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَلَوْ كَانُوا آبَاءَهُمْ أَوْ أَبْنَاءَهُمْ أَوْ إِخْوَانَهُمْ أَوْ عَشِيرَتَهُمْ
“তুমি আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাসী এমন কোনো জাতিকে পাবে না, যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল বিরোধীদের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করে; যদিও তারা তাদের পিতা, অথবা পুত্র, অথবা ভাই, কিংবা জ্ঞাতি-গোষ্ঠী হয়।” [সূরাহ মুজাদালাহ: ২২]
দ্বিতীয় শর্ত: নিজের দ্বীনকে প্রকাশ করার মতো সক্ষমতা থাকতে হবে। অর্থাৎ, বসবাসকারী ব্যক্তি কোনো প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই ইসলামের নিদর্শনাবলি প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবেন। নামাজ, জুমু‘আহ ও জামা‘আত—যদি তার সাথে জামা‘আতে নামাজ ও জুমু‘আহ প্রতিষ্ঠা করার মতো কেউ থেকে থাকেন—প্রতিষ্ঠা করতে বাধাগ্রস্ত হবেন না। অনুরূপভাবে জাকাত, রোজা, হজ ও অন্যান্য শার‘ঈ নিদর্শন প্রতিষ্ঠা করতে বাধাগ্রস্ত হবেন না। যদি এসব কাজ করার সক্ষমতা না থাকে, তাহলে তখন হিজরত ওয়াজিব হয়ে যাওয়ার কারণে সেখানে বসবাস করা জায়েজ হবে না।
বিস্তারিত জানুনঃ
যেকোনো ক্ষেত্রেই চার মাসের বেশি বিদেশ অবস্থান স্ত্রীর অনুমতি সাপেক্ষ।
এমনকি দেশেও যদি কেহ স্ত্রী হতে চার মাসের বেশি দূরে থাকে,সেক্ষেত্রেও এটি স্ত্রীর অনুমতি সাপেক্ষ।
স্বামী-স্ত্রী সর্বদা কাছাকাছি থাকবে, এটাই শরিয়তে কাম্য।
তবে যদি কোনো প্রয়োজনে (যেমন, জেহাদে যাওয়া কিংবা জীবিকা অর্জনের জন্য প্রবাসে যাওয়া) স্বামী দূরে কোথাও যায় তাহলে চার মাসের মধ্যে একবার হলেও স্ত্রীর কাছে ফিরে আসতে হবে।
কারণ নারীরা সাধারণত তাদের স্বামী থেকে চার মাস দূরে থাকতে পারে।
পাপ থেকে হেফাযত এবং পূর্ণ নিরাপত্তার মধ্যে থাকার শর্তে স্বামী-স্ত্রী উভয়ে পারস্পরিক সম্মতিতে দীর্ঘ সময় দূরে থাকায় শরী‘আতে কোন বাধা নেই। তবে পাপের সাথে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকলে অল্প দিনের জন্য হলেও দূরে থাকা বৈধ নয়।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে প্রবাসী সেই পাত্রের সাথে বিবাহ বসা জায়েজ হবে।
পাত্র যদি সে দেশে হালাল ব্যবসা করতে চান বা কোনো কোম্পানির আন্ডারে থেকে হালাল ব্যবসা করেন, সেটি হালাল হবে।
তবে বিবাহের পর স্বামী আপনাকে রেখে বিদেশে গেলে আপনার (স্ত্রীর) হক আদায় হবেনা।
এখন এই বিষয়টি যদি আপনি (স্ত্রী) নিজ থেকে সন্তুষ্টি চিত্তে মেনে নেন এবং তিনি ও আপনি যদি এই দীর্ঘদিন বাহিরে থাকার দরুন ফিতনায় জড়িয়ে পড়া হতে বেঁচে থাকতে পারেন। গুনাহ মুক্ত থাকতে পারেন,
সেক্ষেত্রে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে অমুসলিম দেশে থাকার শরয়ী শর্তাবলী মেনে বিবাহের পর আপনার স্বামী ঐ দেশে যেতে পারবে।
বিস্তারিত জানুনঃ-
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
উপরোক্ত শর্তাবলি মেনে চলতে পারলে আপনিও তা সাথে বিদেশে যেতে পারবেন।
এক্ষেত্রে পরামর্শ থাকবে, আপনি দাওয়াতের নিয়ত নিয়ে যাবেন।
তারপর প্রতিবেশী মহিলাদের সাথে যখন একটু কথাবার্তা হবে,মিল হবে,তখন আস্তে ধীরে তাদেরকে দাওয়াত দিতে পারেন,এর জন্য বাসা হতে বাহিরে যাওয়ার জরুরত পড়বেনা।
পাশাপাশি আপনার স্বামী,আপনার সন্তান দ্বারাও আপনি যথাসম্ভব দাওয়াতী কাজ করানোর চেষ্টা করতে পারেন।