আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
31 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (59 points)
১।ফরজ ইবাদাত এবং  নামাজ পড়তে ইচ্ছে না করা, কষ্ট করে পড়তে যাওয়া।  বেশি কষ্ট  হয় সুন্নাতে মুয়াক্কাদা  আর ওয়াজিব নামাজ নিয়ে ।   বিশেষ করে ইশার, ফজরের  নামাজ পড়ার পরে নিজেকে ফ্রি মনে হয় অনেকক্ষণ নামাজ নাই এইজন্য । আমি কি ইশার,ফজরের  নামাজ কে বোঝা মনে করতেছি কিনা,  মোনাফেকি হবে কিনা যদি মোনাফেকি হয় কোন ধরনের মোনাফেকি হবে?
২।সুন্নাতে যায়েদা,নফল ইবাদাত করতে ইচ্ছে করে না করার কথা মনে আসলে রাগ উঠে যেমন ঘুম ভেঙে গেছে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তে আবার ফজর নামাজ এর পর ইশরাক নামাজ পড়তে। তবে আমার ইচ্ছে না করলেও সকাল বিকাল,  ঘুমের কিছু কিছু মাসনুন দোয়া আমল করি। মোট কথা যেকোনো আমল ফরজ ওয়াজিব সুন্নাত নফল করতে গেলে ইচ্ছে করে না অনেক কষ্ট করে পড়তে হয় এটা কি মোনাফেকের লক্ষন হবে?
৩। মাসআলা মানতে কষ্ট হয় এটা কি মোনাফেকি হবে?
৪।আমিতো উলামায়ে দেওবন্দ পন্থি অন্যদের কিছু কিছু বিষয় আছে যা আমার বিরক্ত লাগে বা রাগ উঠে। আবার নিজেদের ঘরনার কিছু আলেমের কিছু বিষয় বিরক্ত লাগে বা রাগ উঠে। মুসলমান আছে রাজনৈতিক দল করে তাদের কে ঘৃনা করা তাদের কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে,মরলে  খুসি হওয়া ইত্যাদি এগুলো কি মোনাফেকি হবে?

৫।মাকরুহে তানজিহি করলে কি মোহাব্বতে সমস্যা হবে কি মোনাফেকি হবে কি
৬।মাকরুহে তাহরিমি  করলে কি মোহাব্বতে সমস্যা হবে কি মোনাফেকি হবে কি?

1 Answer

0 votes
by (649,260 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عن أبي هريرة رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم:
«إِنَّ أَثْقَلَ صَلَاةٍ عَلَى الْمُنَافِقِينَ صَلَاةُ الْعِشَاءِ وَصَلَاةُ الْفَجْرِ، وَلَوْ يَعْلَمُونَ مَا فِيهِمَا لَأَتَوْهُمَا وَلَوْ حَبْوًا، وَلَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ آمُرَ بِالصَّلَاةِ فَتُقَامَ، ثُمَّ آمُرَ رَجُلًا فَيُصَلِّيَ بِالنَّاسِ، ثُمَّ أَنْطَلِقَ مَعِي بِرِجَالٍ مَعَهُمْ حُزَمٌ مِنْ حَطَبٍ إِلَى قَوْمٍ لَا يَشْهَدُونَ الصَّلَاةَ، فَأُحَرِّقَ عَلَيْهِمْ بُيُوتَهُمْ بِالنَّارِ».  
[صحيح] - [متفق عليه] - [صحيح مسلم: 651]

আবূ হুরাইরা রদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
“মুনাফিকদের ওপর সবচেয়ে কঠিন সালাত হলো এশা ও ফজরের সালাত। তারা যদি তার ফযিলত জানতো তাহলে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তাতে উপস্থিত হত। আর আমি ইচ্ছে করেছি, সালাতের আদেশ দিব তারপর ইকামাত দেয়া হবে তারপর একজনকে মানুষদের নিয়ে সালাত আদায় করতে বলব। অতঃপর আমি কতক মানুষ যাদের সাথে লাকড়ির বোঝা থাকবে তাদেরকে নিয়ে সেসব লোকদের কাছে যাবো যারা সালাতে উপস্থিত হয় না এবং তাদের ওপর তাদের বাড়িঘর আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিব।”  
[সহীহ] - [মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।] - [সহীহ মুসলিম - 651]

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
হাদীসের ভাষ্যমতে এটি নেফাকির আলামত।
তাই এ থেকে বেঁচে থাকতে হবে।

এর জন্য বেশি কুরআন তিলাওয়াত, যিকির করার পরামর্শ থাকবে। 
নেককার লোকদের সাথে উঠাবসা করার পরামর্শ থাকনে।
এবং দাওয়াত ও তাবলীগের মেহনতের সাথে যুক্ত হওয়ার পরামর্শ থাকবে 

(০২)
হাদীসের ভাষ্যমতে এটি নেফাকির আলামত নয়।

(০৩)
এটিকেও নেফাকির আলামত হিসেবে গন্য করা হয়।

(০৪)
বিশেষ কোনো কারণবশত আপনার এমনটি মনে হতে পারে, এগুলো মুনাফিকের আলামত নয়।

(৫-৬)
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...