আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
33 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (21 points)

আসসালামু আলাইকুম। আমি একটা ওয়েবসাইট চালাই। আর সেখানে অ্যাফিলিয়েট ব্যবসা করতে চাচ্ছি। এই ব্যাপারে আমার কিছু প্রশ্ন আছে:

  •     আমি আমার সাইটে আর্টিকেল লিখে সেখানে অ্যাফিলিয়েট লিংক দেই। এক্ষেত্রে এটা কি আমাকে পাঠকদের বলে দিতে হবে যে, এইটা অ্যাফিলিয়েট লিংক এবং এখানে ক্লিক করলে আমি কমিশন পাব?
  •     অন্যান্য প্রশ্নোত্তরে একটা মাসআলা পেলাম যে, অ্যাফিলিয়েট লিংকের পেজে ঢুকে পর্দার হেফাজত করা না গেলে সেটা নাজায়েয। এক্ষেত্রে ঐ পেজে নারীর যেকোন ছবি থাকলেই কি ঐ লিংক নাজায়েয হয়ে যাবে? নাকি ছবি থাকলেও নজর হেফাজত করা গেলে জায়েয হবে? আর নজর তো কেউ হেফাজত করতে পারে, কেউ পারে না। বিষয়টা আমার বুঝতে কষ্ট হচ্ছে। একটু বুঝিয়ে বলুন এক্ষেত্রে কীভাবে যাচাই করব? যেমন: এই লিংক কি জায়েয হবে? এখানে পণ্যের ছবিগুলোর ভেতরে একটা ছবিতে নারী রয়েছে। এখন ছবিগুলো দেখতে গেলে তো কেউ ফেতনায় পড়ে যাবে? আবার কেউ হয়তো বাঁচতে পারবে? এক্ষেত্রে এটা কি যে দেখবে তার সতর্ক হবার দায়িত্ব, নাকি আমারও দায় আছে?
  •     ব্রাউজারে ছবি বন্ধ করার একটা অপশন আছে। সেটা ব্যবহার করলে কি পর্দার হেফাজত করা যায় না ঐসব লিংক শেয়ার করা জায়েয হবে? যদি আমি সাথে সতর্কবাণী লাগিয়ে দেই যে, ছবি বন্ধ করে দেখুন?
  •     আমি যদি আমার বন্ধুকে বলে রাখি যে, সে কিছু কিনলে যেন আমার থেকে অ্যাফিলিয়েট লিংক ব্যবহার করে কিনে, সেটা কি জায়েয হবে?
  •     অ্যাফিলিয়েট লিংক সম্পর্কে অন্যান্য জরুরি মাসআলা থাকলে, অনুগ্রহ করে আমাকে বলুন।

1 Answer

0 votes
by (647,730 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

এফিলিয়েট মার্কেটিং হলো কোনো কোম্পানীর পণ্য বিক্রি করে দিয়ে কিংবা বিক্রিতে সহযোগিতা করে সে বিক্রিত মূল্য থেকে একটা কমিশন গ্রহণ করা। অর্থাৎ কোনো কোম্পানির হয়ে প্রচার করে অর্থ উপার্জনই হলো এফিলিয়েট মার্কেটিং। 

এভাবে ইনকাম করা জায়েজ আছে,
তবে শর্ত হলো, পণ্য হালাল হতে হবে।
আর কমিশনের বিষয়টি নির্দিষ্ট হতে হবে। 
,
যদি পণ্য বা সার্ভিসটি কোন ভাবে হারাম হয়ে থাকে, তাহলে সেখান থেকে উপার্জন করা সম্পূর্ণ নাজায়েজ ও হারাম হবে।

وَلَمْ يَرَ ابْنُ سِيرِينَ، وَعَطَاءٌ، وَإِبْرَاهِيمُ، وَالحَسَنُ بِأَجْرِ السِّمْسَارِ بَأْسًا وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: ” لاَ بَأْسَ أَنْ يَقُولَ: بِعْ هَذَا الثَّوْبَ، فَمَا زَادَ عَلَى كَذَا وَكَذَا، فَهُوَ لَكَ ” وَقَالَ ابْنُ سِيرِينَ: ” إِذَا قَالَ: بِعْهُ بِكَذَا، فَمَا كَانَ مِنْ رِبْحٍ فَهُوَ لَكَ، أَوْ بَيْنِي وَبَيْنَكَ، فَلاَ بَأْسَ بِهِ ” وَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «المُسْلِمُونَ عِنْدَ شُرُوطِهِمْ»

ইবনু সীরীন, আতা, ইবরাহীম ও হাসান (রহ.) দালালীর মজুরীতে কোন দোষ মনে করেননি। ইবনু ‘আব্বাস (রা:) বলেন, যদি কেউ বলে যে, তুমি এ কাপড়টি বিক্রি করে দাও।  এতো এতো এর উপর যা বেশী হয় তা তোমার, এতে কোন দোষ নেই। ইবনু সীরীন (রহ.) বলেন, যদি কেউ বলে যে, এটা এত এত দামে বিক্রি করে দাও, লাভ যা হবে, তা তোমার, অথবা তা তোমার ও আমার মধ্যে সমান হারে ভাগ হবে, তবে এতে কোন দোষ নেই। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মুসলিমগণ তাদের পরস্পরের শর্তানুযায়ী কাজ করবে। (সহীহ বুখারী-১/৩০৩)

বিস্তারিত জানুনঃ
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার পন্য হালাল হলে ইনকাম হালাল হবে।

তবে কোনো পন্যে নারীর ছবি থাকলে সেটি নাজায়েজ হবে।
এক্ষেত্রে আপনার গুনাহ হবে।

সুতরাং নারীর ছবি বিশিষ্ট কোনো পন্য নিয়ে কাজ করা বা তার ক্রয় বিক্রয় পরিত্যাগ করাই তাকওয়ার দাবী।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (21 points)
হুজুর, আমি কয়েকটা প্রশ্ন করেছিলাম। দয়া করে সবগুলোর উত্তর দিন।  আর একটা বিষয় ক্লিয়ার করা হয়নি, আমার পণ্যের গায়ে নারীর ছবি নেই। তবে ঐ পণ্যের ওয়েবপেজে যে ছবিগুলো দেয়া হয়েছে, তার মধ্যে একটা ছবিতে নারী আছে। আপনি একটু এই লিংক থেকে জিনিসটা দেখে কনফার্ম করলে ভাল হয় আমার জন্য- https://www.rokomari.com/electronics/310836/portable-usb-rechargeable-neck-fan

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...