আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
20 views
in সালাত(Prayer) by (37 points)
আসসালামু 'আলাইকুম


আমরা একটি কনফারেন্সে গিয়েছিলাম গাজীপুরে, সেখানে আমি মুসাফির। আসর নামাজ পড়ার সময় আমাকে ইমামতির জন্য বলা হয়।
ওখানের বাকী ৯০%+ মুসল্লি মুকিম ছিলো। আমি চিন্তা করলাম আমি ইমামতি করালে ৪ রাকাআত পড়াতে পারবো না, ২ রাকাআত পড়াতে হবে। পিছনের মুক্তাদির আমার পড়ানোর পর ২ রাকাআত নিজেদের পড়তে হবে তাদের। এজন্য  আমি বললাম যে আমি তো মুসাফির, আপনাদের মধ্য থেকে মুকিম একজন ইমামতি করেন যাতে আমিও পূর্ণ ৪ রাকাআত জামাআতে পড়তে পারি।
তো এখানে ইমামতি ছেড়ে দেওয়াটা কি উচিত হয়েছে কিনা! অপরিচিত জায়গায় কার তিলাওয়াত শুদ্ধ , কেউ যোগ্য আছে কিনা তাও দেখার বিষয়

1 Answer

0 votes
by (647,730 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، ح وَحَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ عُلَيَّةَ، - وَهَذَا لَفْظُهُ - أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، قَالَ : غَزَوْتُ مَعَ رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم وَشَهِدْتُ مَعَهُ الْفَتْحَ، فَأَقَامَ بِمَكَّةَ ثَمَانِيَ عَشْرَةَ لَيْلَةً لَا يُصَلِّي إِلَا رَكْعَتَيْنِ وَيَقُولُ " يَا أَهْلَ الْبَلَدِ! صَلُّوا أَرْبَعًا فَإِنَّا قَوْمٌ سَفْرٌ "

 ‘ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি এবং মাক্কাহ বিজয়ের দিনেও তাঁর সাথে ছিলাম। তিনি মাক্কায় আঠার দিন অবস্থান করেন। এ সময় তিনি (ফারয) সলাত দু’ রাক্‘আত আদায় করেন এবং বলেনঃ হে শহরবাসী! তোমরা চার রাক‘আত সলাত আদায় করবে। কেননা আমরা মুসাফির সম্প্রদায় (তাই চার রাক‘আতের স্থলে দু’ রাকআত আদায় করেছি)।
(আবু দাউদ ১২২৯
তিরমিযী (অধ্যায় : সলাত, অনুঃ সলাত ক্বাসর করা, হাঃ ৫৪৫), আহমাদ (৪/৪৩০), ইবনু খুযাইমাহ (হাঃ ১৬৪৩)
,
মুয়াত্তা মালিক গ্রন্থেও একই রকম হাদীস এসেছেঃ

وروى مالك في " الموطأ " (2/206) عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ : ( كَانَ إِذَا قَدِمَ مَكَّةَ صَلَّى بِهِمْ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ يَقُولُ : يَا أَهْلَ مَكَّةَ ! أَتِمُّوا صَلَاتَكُمْ فَإِنَّا قَوْمٌ سَفْرٌ )
.
আলোচ্য হাদীসে দলীল হলো যে, মুসাফির ব্যক্তি যখন মুক্বীমদের ইমাম হবে এবং চার রাক্‘আত বিশিষ্ট সলাতে দু’ রাক্‘আত পড়ে সালাম ফিরবে তখন মুক্বীমরা মাক্কাবাসীদের ন্যায় সলাত পূর্ণ করবে এবং এ ব্যাপারে ইজমা রয়েছে। আর সালাম ফেরার পর মুক্তাদীদের উদ্দেশে।
‘‘তোমরা সলাত পূর্ণ করো’’ এমন কথা বলা মুস্তাহাব। ইবনু ‘আবদুল বার (রহঃ) বলেন যে, মুসাফির যখন মুক্বীমদের সাথে সলাত আদায় করবে এবং দু’ রাক্‘আত শেষে সালাম ফিরবে তখন মুক্তাদীগণ সলাত পূর্ণ করবে, এ ব্যাপারে কোন ইখতিলাফ নেই।

ফাতাওয়ায়ে শামীতে এসেছে
   
وصح اقتداء المقیم بالمسافر في الوقت، وبعدہ فإذا قام المقیم إلی الإتمام لا یقرأ، ولا یسجد للسہو في الأصح؛ لأنہ کاللاحق، والقعدتان فرض علیہ، وقیل: لا․ (الدر مع الرد: ۲/۶۱۰-۶۱۱، ط: زکریا دیوبند)

সারমর্মঃ এক্ষেত্রে মুকিম মুক্তাদি যখন তার অবশিষ্ট নামাজ আদায়ের জন্য  দাড়িয়ে যাবে, তখন সে কিরাআত পড়বেনা।
সে সেজদায়ে সাহুও আদায় করবেনা।
কেননা সে লাহেকের হুকুমে।  

★সুতরাং যদি ইমাম মুসাফির হয়,এবং মুক্তাদিরা মুকিম হয়,তাহলে ইমাম সাহেব কসর করে সালাম ফিরিয়ে নিবেন।এবং মুকিম মুক্তাদিরা চার রা'কাত একা একা সমাপ্ত করবেন।তথা অবশিষ্ট দুই রা'কাতকে মুক্তাদিরা একা একা পড়ে নিবেন।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ইমামতি ছেড়ে দেওয়া সঠিক হয়েছে। কেননা এক্ষেত্রে আপনার কছর নামাজ আদায়ে শেষে সালাম ফেরার পর মুক্তাদীদের উদ্দেশে।
‘‘তোমরা সলাত পূর্ণ করো’’ এমন কথা বলার জরুরত ছিলো।

এক্ষেত্রে সম্ভাবনা এমনও ছিল যে কেউ হয়তো  বাকি ২ নামাজ আদায় করবেনা বা আপনার সাথে কেউ কেউ সালাম ফিরিয়ে দিবে বা অন্য কোনোভাবে ফিতনা হতে পারে।

সুতরাং আপনার ইমামতি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তই সঠিক ছিল।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...