আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারোকাতুহ
আমার এক বান্ধবীর বিয়ে হওয়ার মোটামুটি দুই বছর হতে চলছে। ওর একটা ছোট মেয়ে বাবুও আছে। শ্বশুর বাড়ি, স্বামী সবদিক থেকে ও অনেক খুশি ছিল। কিন্তু কয়েকমাস আগে ও জানতে পারে ওর স্বামী গোপনে অন্য মেয়ের সাথে ম্যাসেজে কথা বলে, দেখাও করে। আর এসব কিছু আমার বান্ধবী নিজ চোখে ওর স্বামীর মোবাইলে দেখেছে। এরপর থেকে ও অনেক বেশি কি বলব! কতটা দুঃখ কষ্ট ওকে ঘিরে ধরেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ও ওর স্বামীর সম্মান রক্ষার্থে ওর বাবা-মাকেও কিছু জানায় নি। আমাকে জানিয়েছে কারণ ও জানতে চাচ্ছে এই কাজের জন্য ওর স্বামীর কি শাস্তি হবে শরীয়ত মতে?
জানা যায় আমার বান্ধবীর স্বামী যখন কলেজে পড়ত তখন ওই মেয়ের সাথে হারাম রিলেশনশিপে জড়িয়ে পড়ে। কিন্তু তখন ওই মেয়ের পরিবার ছেলে (আমার বান্ধবীর স্বামী) বেকার দেখে অন্য জায়গায় বিয়ে দেয়।সেখানে ওই মেয়ের বাচ্চাও হয় কিন্তু এরপর ডিভোর্স হয় কোনো এক কারণে। এদিকে আমার বান্ধবীর সাথে ভাইয়ার (বান্ধবীর স্বামী) বিয়ের কথা চলে।তখন নাকি আমার বান্ধবীর শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাদের ছেলেকে বলেছিল তুই ওই মেয়েকে (ডিভোর্সি) বিয়ে করবি কি না। কিন্তু উনি করতে চাই নি, লোকে খারাপ বলবে তাই। অথচ বিয়ে করে, বাচ্চা হওয়ার পরে ওই মেয়ের প্রতি আমার বান্ধবীর স্বামীর সহানুভূতি সৃষ্টি হয়। এবং তারা এইভাবে যোগাযোগ করেই যাচ্ছে। আমার বান্ধবী তার স্বামীকে নাকি এইভাবেও বলেছে আপনি উনাকে বিয়ে করেন, আমি আপনাকে ছেড়ে চলে যাব। কিন্তু উনি তাও করবে না, আমার বান্ধবীকে ভালোও বাসে। আবার ওইদিকে ওই মেয়েকে বিয়ে করবে না, হয়তো এই ভয়ে তাহলে আমার বান্ধবী চলে যাবে। কিন্তু ঠিকই চুপিচুপি যোগাযোগ রাখে। ওই ডিভোর্সি মেয়েটাও অন্য কোথাও বিয়ে করছে না।
আমার বান্ধবীর প্রশ্ন হচ্ছে -এখানে তার স্বামীর আসলে শরীয়ত মোতাবেক কি শাস্তি হওয়া উচিত? এমতাবস্থায় ওরই বা করণীয় কি? এইটা তো কোনোভাবে সুন্নতি মাসনার আওতাভুক্ত তো হয় না, তাই না?