আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
18 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (17 points)
السلام عليكم و رحمة الله و بركةه

১) আমি সহশিক্ষা ছাড়তে চাওয়া নিয়ে বাবার সাথে কথা বলার পর তিনি আমাকে সহশিক্ষা ছাড়তে দিতে রাজি হননা এবং তিনি আমাকে মোবাইল ধরতে মানা করেন। হয়তো তার ধারণা মোবাইল থেকেই আমি সহশিক্ষা ছাড়ার ব্যাপারে জেনেছি। কিন্তু তার সাথে ফোনে কথা বললে বা আত্মীয় স্বজনের সাথে ফোনে কথা বললে তিনি কিছু বলেন না।তার সামনেই আমি কথা বলি তিনি কিছু বলেন না।আবার বিভিন্ন কাজে তিনিই আমাকে মোবাইল ধরতে বলেন।তো একদিন আমার মা আমার বাবার কাছ থেকে আসর থেকে মাগরিব এই সময়টা আমার মোবাইল ধরার অনুমতি চাইলেন। যেহেতু এই সময়টা আমরা ফ্রি থাকি। মোবাইলে ওয়াজ বা এজাতীয় কিছু করলে সময়টা ভালো কাটবে। বাবা এর উত্তরে মৌনতা অবলম্বন করেন। এক্ষেত্রে বাবার এ মৌনতাকে কি আমি সম্মতি হিসেবে ধরে নিবো বিইযনিল্লাহ?

২)১ নং এর ক্ষেত্রে যদি মৌনতাকে সম্মতি ধরে নিই তবে,

আমি আর দুয়েকদিন পর মাদ্রাসায় চলে যাচ্ছি ইনশা আল্লহ।তখন তো আর বিকেলে মোবাইল ধরার টাইম পাবো না ইনশা আল্লহ।এখন আমার ছুটি চলছে। তাই আমার পড়া শুরু হওয়ার পর আসর থেকে মাগরিবের যে সময় গুলো আমি মোবাইল ধরতে পারবোনা তার পরিবর্তে সেই সময় গুলো হিসেবে যদি এখন ছুটির সময় মোবাইল ধরি তাহলে তা কি জায়েজ হবে?
এক্ষেত্রে আমার বাবার আপত্তি থাকবে বলে মনে করিনা। আমি আমার মনকে মাসয়ালা জানার আগে প্রশ্ন করেছিলাম। উত্তর পজেটিভই পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ। তবে আমার ওয়াসওয়াসার সমস্যা আছে বিধায় শয়তান সন্দেহ সৃষ্টির চেষ্টা করে বলে মনে হয়। কিন্তু আমি সেই সন্দেহকে পাত্তা দিইনি। মনের উত্তরকে ধরে নিয়ে মোবাইল ব্যাবহার করেছিলাম। এতে কি আমার গুনাহ হয়েছে?

1 Answer

0 votes
ago by (676,170 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
জেনারেল শিক্ষা অর্জন সম্পর্কে আমরা ইতি পূর্বে বলেছিলাম যে,
বলা যায় মুসলিম দেশের মুসলিম সরকারের জন্য ওয়াজিব যে,অচিরেই পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা।
প্রয়োজনে এ জন্য শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালন করা সমস্ত মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব ও কর্তব্য।
কিন্তু যতদিন পর্যন্ত এই পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু না হচ্ছে ,ততদিন প্রয়োজনের তাগিদে নিম্নোক্ত শর্তাদির সাথে কলেজ-ভার্সিটিতে শিক্ষা গ্রহণের পরামর্শ দেয়া যেতে পারে।
১/শিক্ষা অর্জন দেশ ও মুসলিম জাতীর খেদমতের উদ্দেশ্যে হতে হবে।
২/চোখকে সব সময় নিচু করে রাখতে হবে,প্রয়োজন ব্যতীত কোনো শিক্ষক/শিক্ষিকার দিকে তাকানো যাবে না।মহিলা/পুরুষ তথা অন্য লিঙ্গের  সহশিক্ষার্থীদের সাথে তো কোনো প্রকার সম্পর্ক রাখা যাবেই না।সর্বদা অন্য লিঙ্গর শিক্ষার্থী থেকে নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখতে হবে।(ফাতাওয়া উসমানী ১/১৬০-১৭১)(শেষ)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/434

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
পর্দাপুশিদা রক্ষা করে একাডেমিক পড়াশোনা সম্পন্ন করা সম্ভব হলে, আপনি একাডেমিক পড়াশোনা সম্পন্ন করবেন। আপনার আলোচনা থেকে বুঝা যাচ্ছে যে, মুবাইলের ব্যাপারে বাবার পক্ষ থেকে পরিমিত ও সীমিত আকারে ব্যবহারের মৌন সম্মতি রয়েছে, হ্যা, তাকওয়ার দাবী হল, ব্যবহার না করা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...