আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
31 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (11 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ্।
উস্তাজ, আমার জিজ্ঞাসা..

১) ৪০দিন /৪০-৮০(অঙ্গপ্রত্যঙ্গ হয়নি) এর মধ্যে গর্ভপাত হলে সালাত কি ব্লিডিং অবস্থায় আদায় করবে? নাকি ব্লিডিং অফ হয়ে গেলে আদায় করবো একটু ডিটেইলসে বলবেন ইন শা আল্লাহ।
২)সর্বাবস্থায় (অথবা নতুন বিয়ে হলে)স্ত্রীর মিল্ক স্বামীর জন্য নিষিদ্ধ নাকি শুধু বাচ্চা আসার পর নিষিদ্ধ এটাও একটু ডিটেইলসে বলবেন ইন শা আল্লাহ।
৩) আমি হোস্টেলে থাকি,সফর দূরত্বে।এখন বাসায়।আমি হোস্টেলে জিনিসপত্রের জন্য যাব এবং ঐখানে এক সপ্তাহ অবস্থান করবো এরপর একেবারে চলে আসবো বাসায়।এক্ষেত্রে কি আমি মুসাফির নাকি মুকিম?
৪) স্বামী দূরে অবস্থান করলে উন্মুক্ত অবস্থায় স্ত্রী কি স্বামীর সাথে ভিড়িও কলে কথা বলতে পারবে?

জাঝাকাল্লাহু খইর

1 Answer

0 votes
ago by (675,300 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) যদি চার মাস বা তার চেয়ে বেশী সময়ের পর গর্ভপাত হয় তাহলে গর্ভপাত পরবর্তী নেফাস হিসেবে গণ্য হবে।আর চার মাসের পূর্বে গর্ভপাত হলে সে রক্তকে হায়েয গণ্য করা হবে যদি তা তিনদিন বা তার চেয়ে বেশী সময় অতিবাহিত হয়।আর তিনদিনের কম বা দশদিনের বেশী সময় অতিবাহিত হলে সে রক্তকে ইস্তেহাযার রক্ত হিসেবে গণ্য করা হবে।(আহসানুল ফাতাওয়া-২/৭১) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1570


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি চার মাসে আগেই গর্ভপাত হয়, তাহলে ১০ দিন পর্যন্ত রক্তস্রাব হায়েয হিসেবে গণ্য হবে। কিন্তু যদি তিন দিনের কম বা ১০ দিনের বেশী হয়, তাহলে সেটা ইস্তেহাযা হিসেবে গণ্য হবে। আপনার পূর্বের যত দিনের অভ্যাস ছিলো, ততদিন হায়েয হিসেবে গণ্য হবে এবং অতিরিক্ত ইস্তেহাযা হিসেবে গণ্য হবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/7474

(২) বাচ্চা আসার আগে হোক বা পরে, সর্বাবস্থায়ই স্ত্রীর দুধপান স্বামীর জন্য হারাম। 

(৩) হোষ্টেল যদি সফর সমপরিমাণ দূরত্বের হয়, এবং সেখানে কোনো একবার ১৫ দিনের বেশী অবস্থান করা হয়ে থাকে, এবং সেই জায়গাকে পরিপূর্ণরূপে পরিত্যাগ করা না হয়, তাহলে সেই স্থানকে পরিপূর্ণরূপে পরিত্যাগ করার পূর্ব পর্যন্ত ওয়াতানে ইকামত হিসেবে গণ্য করা হবে। সুতরাং আপাতত আপনি সেখানে মুকিম হিসেবে গণ্য হবেন। যখন একেবারে সেখান থেকে চলে আসবেন, তখন থেকেই আপনি মুসাফির হিসেবে গণ্য হবেন।

لما في مبسوط للسرخسی:
"فالحاصل أن الأوطان ثلاثة. وطن قرار ويسمى الوطن الأصلي وهو أنه إذا نشأ ببلدة أو تأهل بها توطن بها. ووطن مستعار وهو أن ينوي المسافر المقام في موضع خمسة عشر يوما وهو بعيد عن وطنه الأصلي ووطن سكنى وهو أن ينوي المسافر المقام في موضع أقل من خمسة عشر يوما أو خمسة عشر يوما وهو قريب من وطنه الأصلي، ثم الوطن الأصلي لا ينقضه إلا وطن أصلي مثله، والوطن المستعار ينقضه الوطن الأصلي ووطن مستعار مثله والسفر لا ينقضه وطن السكنى لأنه دونه، ووطن السكنى ينقضه كل شيء إلا الخروج منه لا على نية السفر."(كتاب الصلاة، باب صلاة المسافر، اقتداء المسافر بالمقيم في الصلاة، ج:2، ص:107، ط:دار المعرفة)

(৪) স্বামী দূরে অবস্থান করলে উন্মুক্ত অবস্থায় স্ত্রী স্বামীর সাথে ভিডিও কলে কথা বলতে পারবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...