আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
48 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (7 points)
আসসালামু আলাইকুম শায়খ,বর্তমানে অধিকাংশ মেয়ে শশুড়বাড়ির মানুষদের দাড়া মানসিক টর্চারের শিকার হয়,আর দুঃখ জনক হলো তারা যত টর্চার করুক না  কেন কোন প্রতিবাদ করা যাবে না,আমার হাজবেন্তোড বলে কয়টা কথাই তো শুনায়, শারিরীক টর্চার তো করে না,কয়টা কথা শুনতে পারি না। প্রতিবাদ করলে  নাকি সে বেয়াদব, অথচ ক্রমাগত মেন্টালি টর্চার করতে থাকে। আমার শাশুড়ি প্রচন্ড রকমের সুচিবায়ু, বদরাগী,একরোখা,ছেলের বিয়ে হয়েছে অথচ এখনো ছেলেকে একদম ছোট বাচ্চার মতো চালাতে চায়,অথচ তার ঘরে বউ আছে, শাশুড়ি যা বলবে তাই করতে হবে তাতে আমার অসুবিদা হোক কোন যায় আসে না,এমন আচরন করবে যে সেটা করাই লাগবে আর এতই ভীতু আমি যে প্রতিবাদ ও করতে পারি না,এক্টু এদিক থেকে ওদিক হলে সে এমন ভাবে কথা বলবে মনে হবে আমি তার প্রতিদন্ধি, ছেলের বউ না,ঘরের চাকর প্রতিটা পদক্ষেপে ভুল ধরতে থাকে যেসব জায়গায় ধরার কোন দরকার হয় না, াামি মেয়ে মানুষ,আল্লাহ তো মেয়েদেরকে নরম মনের করে  বানিয়েছেন,আবেগ দিয়েছেন বেশি,আমি তার ব্যবহার এ প্রচন্ড রকমের কস্ট  পেয়ে কাদিঁ,স্বামীকে বুজাতে গেলে বুজেন,অধিকাংশ সময় বুজেন না, মাকে বুজাতে গেলে হিংস্র বাঘের মতো তেড়ে আসে আমার শাশুড়ি আমার স্বামীর উপর, যেহেতু জামেলা হয় স্বামী এখন নিশ্চুপ থাকে,আর আমাকে বলে তুমি তো বলদ, নিষেধ করি কান দিতে,না শুনতে, আমি আর আমার বাবা কি কিছু বলতেছি,এতো মাথায় নেওয়ার কি আছে, যা বলে বলুক,অথচ আমার থাকতে হয় শাশুড়ির সাথে সবসময়, যখন সে অনবরত জেরার উপর রাখে,এক্টা কিছু ধরলে তাই ভয়েথাকা লাগা,কখন কোন ভুল ধরে বসবে,, বা তার মন মতো কিছু না হলে কথা শুনাতে থাকবে, ঝগড়ার মতো জোরে কথা বলতে থাকবে,বাজে কথা বলে উঠবে,আমি  প্রচন্ড রকমের কস্ট পাই আর রাগ হই,কিছু প্রতিবাদ করলে স্বামী ধমক দিয়ে বসিয়ে দেয়,তার মা আমার সাথে অন্যায় আচরন করবে আর কিছু নাকি বলা যাবে না এটা নাকি অন্যায়,তার মা তার আপন আমি তার আপন না?স্বামীর জন্য সব ছেড়ে আসলাম অথচ স্বামী আমায় তার পরিবারের কটু কথা থেকে সর্বদা বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করবে না?তার কি দায়িত্ব না আমায় মানসিক, সামাজিক সকল কিছুর নিরপত্তা দেওয়া?

১/এটা কি রব বলেছেন,যে ছেলের বাবা মা  আঘাত দিবে আর  চুপচাপ সহ্য করতে হবে ছেলের বউকে, কোন প্রতিবাদই করা যাবে না? রুখে দেওয়ার চেষ্টা করা যাবে না?❓❓

২/স্বামী দুঃখ দেখে হাসে, আমি নাকি বাড়াবাড়ি করি, কস্ট পাওয়ার কিছু নাই।কোন মেয়ে চায় সে তার স্বামীর বাপ মা দাড়া অপমানিত হোক,তার বাবা মাকে অপমানিত করুক,কোনটা না করছে বাবার বাড়ি থেকে এক্টা জামা আনলে সেটা নিয়েও কথা শুনাইছে,বাপ মারে অসম্মান করছে আমার শাশুড়ি?প্রতিদানে আমার আচরন কি তার সাথে মিষ্টি হওয়ার কথা নাকি ভাড়ি?নিশ্চয়ই আমি তার সাথে গম্ভীরই হবো।মেয়েরা  চায়  স্বামীর বাড়ি  ইজ্জত নিয়ে থাকুক,কিন্তু আমার শশুড় আর আমার হাজবেন্ড বলে যে তোমার মাও তো তোমাকে বকে, শাসন করে তাহলে শাশুড়ি কথা শুনালে, এক্টু ভুল ধরলে সমস্যা কি,এক্টু বল্লে মেনে নিতে পারি না কেন(এক্টু ভুল তো ধরে না এক্টা নিষ্ঠুর শাশুড়ি যেমন ছেলের বউএর পরিশ্রমটুকু তে মর্যাদা না দিয়ে এক্টা চুল পরিমানো ছাড় দেয় না তেমনই করে, প্রতিটা পদক্ষেপ ভুর ধরে কথা শুনাতে থাকে,কখনো এম ন কথা বলে যে ছাল চামড়া মনে হয় ছিলে যায় কথার আঘাতে, এতোই কস্ট হয়,,যেসব বিষয়ে  কথা শুনায় আদোতে সেই সব বিষয়ে কথা বলার কোন দরকার নাই, ,
৩/আমার হাজবেন্ড  ভালো এমনি, তিনি মাজেমাজে বলে আমার শশুড়কে অঅভিযোগ  বলতে আমার শাশুড়ির সম্পর্কে  অথচ সেতো আমার অভিভাবক না, যে সে বুজবে।  আমি জানি উল্টা সে এমন কথা বলে মনে হয় আমার কস্ট পাওয়াটাই দোষ ,সে বলে কি "তার  মানে শশুড়ের কথার কি কোন দাম নাই,?তার কথার কোন দাম নাই?তোমায় (মানে আমায়) মাথায় নিতে নিষেদ করে শশুড়,আমি মাথায় নি কেন, বল্লে বলুক, শাষন করলে কিছু হয় না,তোমার মাও তো করে, সে শাসুড়ি করলে কি হইছে,আমার জন্য সহ্য কর এক্টু তুমি মানে শশুড়ের জন্য।আমার শাশুড়ি যদি আমায় কষ্ট দিয়ে কথা বলে, পিছনে চোগল খরি, বদরাগ, বদ আচরন দেখায় প্রতিনিয়ত তাহলে আমার কি রাগ হওয়াটা স্বাভাবিক না?আমিও তো মানুষ,তারা বুজে না কেউ,তারা বলে বুজি,অথচ কথার ধরন শুনলে মনে হয় তারা বুজে না এগুলা, আমাকেই সব সহ্য করতে হবে সংসার করতে হলে,

/আমি খুব কস্ট পাই আমার স্বামীর এই বিষয়ে  গাফেল াাাচরনে,,কখনো কখনো সেও প্রদিবাদ  করে ঠিক আবার কখনো কখনো আমার সাথে এমন ভাবে কথা বলে মনে হয় যে আমার কস্ট হোক তাতে তার উপলব্ধি হয় না কিছু,আমি তার এমন াাাচরনে প্রচুর কাঁদি,এই কান্নার জন্য হলেও কি রব তাকে স্ত্রীর কষ্ট বুজার ক্ষমতা দিবে না,?সেতো হেসে সব উড়িয়ে দেয়,বিরক্ততা প্রকাশ করে, ফোন নিয়ে পড়ে থাকে চোখের পানি তার কাছে সস্তা লাগে,আমার বেশি  আবেগ, বলদ, তার কথা শুনি না এই বলে,। সে বলে আমি সব বুজি, অথচ তার আচরন দেখলে বুজা যায সে আদো কিছুই বুজেই না, আমার কষ্ট

৩/সে মানে আমার হাজবেন্ড কি  গুনাহগার না এহেন আচরনের জন্য?❓❓স্ত্রীর কষ্ট তার কস্ট মনে হয় না,হাস্যকর বিষয় মনে হয়,অতিাবেগ নাকি আমার

1 Answer

0 votes
by (698,760 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
নবীজী সা বলেনঃ
ﻓَﻘُﻠْﺖُ ﻳَﺎ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺃَﺧْﺒِﺮْﻧِﻲ ﺑِﻔَﻮَﺍﺿِﻞِ ﺍﻟْﺄَﻋْﻤَﺎﻝِ ﻓَﻘَﺎﻝَ ﻳَﺎ ﻋُﻘْﺒَﺔُ ﺻِﻞْ ﻣَﻦْ ﻗَﻄَﻌَﻚَ ﻭَﺃَﻋْﻂِ ﻣَﻦْ ﺣَﺮَﻣَﻚَ ﻭَﺃَﻋْﺮِﺽْ ﻋَﻤَّﻦْ ﻇَﻠَﻤَﻚَ
অনুবাদঃ হে উক্ববাহ! যে তোমার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে, তুমি তার সাথে সম্পর্ক স্থাপন করো, যে তোমাকে বঞ্চিত করে, তুমি তাকে তুষ্ট করো, যে তোমার প্রতি জুলুম করে, তুমি তার সাথে উত্তম ব্যবহার (ক্ষমা) করো। (মুসনাদে আহমদ- ১৭৩৩৪ নং হাদীস) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/27748

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
 আপনি ধৈর্য্য সহকারে পরিস্থিতির মুকাবেলা করুন। নামায ও ধর্য্যর মাধ্যমে আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করুন।
وَاسْتَعِينُوا بِالصَّبْرِ وَالصَّلَاةِ ۚ وَإِنَّهَا لَكَبِيرَةٌ إِلَّا عَلَى الْخَاشِعِينَ
ধৈর্য্যর সাথে সাহায্য প্রার্থনা কর নামাযের মাধ্যমে। অবশ্য তা যথেষ্ট কঠিন। কিন্তু সে সমস্ত বিনয়ী লোকদের পক্ষেই তা সম্ভব।(সূরা বাকারা-৪৫)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...