ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)সকল প্রকার নফল ইবাদতের সওয়াবকে আপনি পৌছিয়ে দিতে পারবেন।বিশেষকরে দুরুদ শরীফের সওয়াবকে পৌছাতে পানবেন।ঈসালে সওয়াব সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1044
(২)কেউ-ই নিজের ফরয ইবাদতের সওয়াব অন্য পৌছাতে পারবে না।এবং অন্যর ফরয ইবাদতকে পালন করতে পারবে না।
হ্যা নফল ইবাদতের সওয়াব পৌছালে কোনো সমস্যা হবে না।এমনকি অধিকাংশ নফল ইবাদতের সওয়াব পৌছালেও কোনো সমস্যা হবে না।তবে এমনটা সালাফ থেকে প্রমাণিত নয়।
(৩)কিছু দু'আ র বেলায় হাদীসে সংখ্যার উল্লেখ রয়েছে।সুতরাং সেগুলোকে উক্ত সংখ্যায় পড়াই সুন্নাত।অন্যদিকে কিছু দু'আ এমন রয়েছে যেগুলোতে সংখ্যার উল্লেখ আসেনি।সুতরাং সেগুলো কে বিশেষ কোনো সংখ্যা দ্বারা আখ্যায়িত করা,বা উক্ত সংখ্যার সাথে জরুরী মনে করা ঠিক হবে না।এমনকি বাড়াবাড়ি করলে বেদ'আত পর্যন্ত হুকুম আসবে।
হ্যা পূর্ববর্তী কিছু নেককার বান্দাগণ(সালাফে সালেহীন) তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে কিছু সংখ্যার পরামর্শ দেন বা পদ্ধতির পরামর্শ দেন,সেগুলোকে জরুরী বা সুন্নত মনে না করে আ'মলে নেয়া যেতে পারে।তবে এক্ষেত্রে এমন মনোভাব রাখতে হবে যে,উক্ত সংখ্যা বা পদ্ধতি আমাদের উদ্দেশ্য নয় বরং আমাদের উদ্দেশ্য হল, বেশী বেশী করে পড়া।কিন্তু কতটুকু পড়ালে বেশী হবে?সেটা তো আমরদের জানা নেই।তাই নেককার বান্দাদের পরামর্শকৃত একটা সংখ্যা বা পদ্ধতিকে আপাতত আমরা বেশীর মানদন্ড হিসেবে ধরে নিচ্ছি।এবং সাথে সাথে নিজেকে খালিছভাবে আল্লাহর সামনে উপস্থাপন করছি।হয়তো এই বেশী পড়ার মনোভাব থাকায় আল্লাহ আমাদের দু'আ কে কবুল করে নিতে পারেন। জাযাকুমুল্লাহ। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1104
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কালিমা পড়ে পড়ে কাপড়ে গিট মেরে মৃত্যুর পর কবরে সেই কাপড় দেয়া হয় এসব বিদআত
(৪) না দুরুদে হাবীবী বলতে কোনো দুরুদ হাদীসে নেই।
(৫) ”হুয়াল হাইয়্যুল ক্বাইয়্যুম, হুয়াল আলিয়ুল আজিম, হুয়ার রহমানুর রহিম, হুয়াল গফুরুর রহিম, হুয়াল লাতিফুল খবির” এগুলো কুরআনের আয়াতের অংশ। তবে এগুলোকে নির্দিষ্ট ত্বরিকায় পড়ার কথা হাদীসে কোথাও আসেনি।
(৬) রাসূলুল্লাহ সাঃ আর আসবেন না। আল্লাহ তা’আলা আবার পাঠাবেন বলে কোথাও ঘোষণা দেননি। এবং রাসূলুল্লাহ সাঃ ও বলে যাননি যে, তিনি আবার আসবেন। এবং পৃথিবীতে আসা না আসার অধিকারও রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নেই। যদি কেউ বাস্তবে আবার রাসূলুল্লাহ সাঃ এর আগমনের নিয়তে এমনটা বলে থাকে, তাহলে নিঃসন্দেহে এটা একটা অনর্থক চাহিদা। এবং বেহুদা কাজ। আর যদি এ কথা দ্বারা কেউ জুলুম নির্যাতনের দূরিকরণ চায়, তাহলে এমন আখাংকা তার জন্য নিন্দণীয় নয়। তবে এমন কথা জনসম্মুখে না বলাই উচিৎ যার মধ্যে বিপরীত অর্থের সম্ভাবনা থাকে।