আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
404 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (18 points)
closed by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু।

১. আমাদের কোন কোন আমলের সাওয়াব রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর রওজাপাকে পৌছানোর দুআ করতে পারবো? এর জন্য আলাদা কোনো দুআ পড়তে হবে কি নাকি বাংলায় বললেই হবে?

২. কেউ যদি নিজের বেশিরভাগ ইবাদতের সাওয়াব রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর রওজাপাকে পৌঁছানোর জন্য দুআ করে, তাহলে তার আমলে কোনো সমস্যা হবে কি?

৩. খতমে তাহলীল বা কালিমা খতম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাই। এটি হাদিসে আছে কিনা, নির্দিষ্ট সংখ্যায় পড়তে হয় কিনা, কালিমা পড়ে পড়ে কাপড়ে গিট মেরে মৃত্যুর পর কবরে সেই কাপড় দেয়া হয় এসব বিদআত কিনা?

৪. ওয়াজিফাতে "দরুদে হাবিবী" নামে একটি দরুদ আছে। এমন কোনো দরুদের কথা হাদিসে উল্লেখ আছে কি?

৫. পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর যথাক্রমে, হুয়াল হাইয়্যুল ক্বাইয়্যুম, হুয়াল আলিয়ুল আজিম, হুয়ার রহমানুর রহিম, হুয়াল গফুরুর রহিম, হুয়াল লাতিফুল খবির এই পাচটি তাসবীহ পড়ার কথা বিভিন্ন নামাজশিক্ষা বইয়ে দেয়া থাকে। এগুলো কি হাদিস দ্বারা প্রমাণিত?

   
৬. একটি নাশিদের প্রথম কিছু লাইন হচ্ছেঃঃ
"তুমি আবার এসো একবার
ওগো দুজাহানের সরদার।
জাহিলিয়াত এসেছে আবার,
দুনিয়ায় আধার চারিধার।"
এখানে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আবার আসার কথা বলা হয়েছে। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, এই নাশিদে অর্থগত সমস্যা আছে কিনা? এটা গাওয়া বা শোনা জায়েজ আছে কি? (অবশ্যই মিউজিক ছাড়া)

জাযাকাল্লাহু  খইরন।
closed

1 Answer

0 votes
by (588,060 points)
selected by
 
Best answer

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

(১)সকল প্রকার নফল ইবাদতের সওয়াবকে আপনি পৌছিয়ে দিতে পারবেন।বিশেষকরে দুরুদ শরীফের সওয়াবকে পৌছাতে পানবেন।ঈসালে সওয়াব সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1044


(২)কেউ-ই নিজের ফরয ইবাদতের সওয়াব অন্য পৌছাতে পারবে না।এবং অন্যর ফরয ইবাদতকে পালন করতে পারবে না।

হ্যা নফল ইবাদতের সওয়াব পৌছালে কোনো সমস্যা হবে না।এমনকি অধিকাংশ নফল ইবাদতের সওয়াব পৌছালেও কোনো সমস্যা হবে না।তবে এমনটা সালাফ থেকে প্রমাণিত নয়।


(৩)কিছু দু'আ র বেলায় হাদীসে সংখ্যার উল্লেখ রয়েছে।সুতরাং সেগুলোকে উক্ত সংখ্যায় পড়াই সুন্নাত।অন্যদিকে কিছু দু'আ এমন রয়েছে যেগুলোতে সংখ্যার উল্লেখ আসেনি।সুতরাং সেগুলো কে বিশেষ কোনো সংখ্যা দ্বারা আখ্যায়িত করা,বা উক্ত সংখ্যার সাথে জরুরী মনে করা ঠিক হবে না।এমনকি বাড়াবাড়ি করলে বেদ'আত পর্যন্ত হুকুম আসবে।

হ্যা পূর্ববর্তী কিছু নেককার বান্দাগণ(সালাফে সালেহীন) তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে কিছু সংখ্যার পরামর্শ দেন বা পদ্ধতির পরামর্শ দেন,সেগুলোকে জরুরী বা সুন্নত মনে না করে আ'মলে নেয়া যেতে পারে।তবে এক্ষেত্রে এমন মনোভাব রাখতে হবে যে,উক্ত সংখ্যা বা পদ্ধতি আমাদের উদ্দেশ্য নয় বরং আমাদের উদ্দেশ্য হল, বেশী বেশী করে পড়া।কিন্তু কতটুকু পড়ালে বেশী হবে?সেটা তো আমরদের জানা নেই।তাই নেককার বান্দাদের পরামর্শকৃত একটা সংখ্যা বা পদ্ধতিকে আপাতত আমরা বেশীর মানদন্ড হিসেবে ধরে নিচ্ছি।এবং সাথে সাথে নিজেকে খালিছভাবে আল্লাহর সামনে উপস্থাপন করছি।হয়তো এই বেশী পড়ার মনোভাব থাকায় আল্লাহ আমাদের দু'আ কে কবুল করে নিতে পারেন। জাযাকুমুল্লাহ। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1104


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

কালিমা পড়ে পড়ে কাপড়ে গিট মেরে মৃত্যুর পর কবরে সেই কাপড় দেয়া হয় এসব বিদআত


(৪) না দুরুদে হাবীবী বলতে কোনো দুরুদ হাদীসে নেই।


(৫) ”হুয়াল হাইয়্যুল ক্বাইয়্যুম, হুয়াল আলিয়ুল আজিম, হুয়ার রহমানুর রহিম, হুয়াল গফুরুর রহিম, হুয়াল লাতিফুল খবির” এগুলো কুরআনের আয়াতের অংশ। তবে এগুলোকে নির্দিষ্ট ত্বরিকায় পড়ার কথা হাদীসে কোথাও আসেনি। 


(৬) রাসূলুল্লাহ সাঃ আর আসবেন না। আল্লাহ তা’আলা আবার পাঠাবেন বলে কোথাও ঘোষণা দেননি। এবং রাসূলুল্লাহ সাঃ ও বলে যাননি যে, তিনি আবার আসবেন। এবং পৃথিবীতে আসা না আসার অধিকারও রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নেই। যদি কেউ বাস্তবে আবার রাসূলুল্লাহ সাঃ এর আগমনের নিয়তে এমনটা বলে থাকে, তাহলে নিঃসন্দেহে এটা একটা অনর্থক চাহিদা। এবং বেহুদা কাজ। আর যদি এ কথা দ্বারা কেউ জুলুম নির্যাতনের দূরিকরণ চায়, তাহলে এমন আখাংকা তার জন্য নিন্দণীয় নয়। তবে এমন কথা জনসম্মুখে না বলাই উচিৎ যার মধ্যে বিপরীত অর্থের সম্ভাবনা থাকে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (588,060 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by (18 points)
জাযাকাল্লাহু খইরন 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...