জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
সঠিক সময়ে নামায পড়াই প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব ও কর্তব্য।
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻓَﺈِﺫَﺍ ﻗَﻀَﻴْﺘُﻢُ ﺍﻟﺼَّﻼَﺓَ ﻓَﺎﺫْﻛُﺮُﻭﺍْ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻗِﻴَﺎﻣًﺎ ﻭَﻗُﻌُﻮﺩًﺍ ﻭَﻋَﻠَﻰ ﺟُﻨُﻮﺑِﻜُﻢْ ﻓَﺈِﺫَﺍ ﺍﻃْﻤَﺄْﻧَﻨﺘُﻢْ ﻓَﺄَﻗِﻴﻤُﻮﺍْ ﺍﻟﺼَّﻼَﺓَ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﺼَّﻼَﺓَ ﻛَﺎﻧَﺖْ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟْﻤُﺆْﻣِﻨِﻴﻦَ ﻛِﺘَﺎﺑًﺎ ﻣَّﻮْﻗُﻮﺗًﺎ
অতঃপর যখন তোমরা নামায সম্পন্ন কর, তখন দন্ডায়মান, উপবিষ্ট ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ কর। অতঃপর যখন বিপদমুক্ত হয়ে যাও, তখন নামায ঠিক করে পড়। নিশ্চয় নামায মুসলমানদের উপর ফরয নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে।(সূরা আন-নিসা-১০৩)
বিশেষকরে আছরের নামায সঠিক সময়ে পড়া বিশেষ গুরুত্ববহ।
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﺣَﺎﻓِﻈُﻮﺍْ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﺼَّﻠَﻮَﺍﺕِ ﻭﺍﻟﺼَّﻼَﺓِ ﺍﻟْﻮُﺳْﻄَﻰ ﻭَﻗُﻮﻣُﻮﺍْ ﻟِﻠّﻪِ ﻗَﺎﻧِﺘِﻴﻦَ
সমস্ত নামাযের প্রতি যত্নবান হও, বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাযের ব্যাপারে। আর আল্লাহর সামনে একান্ত আদবের সাথে দাঁড়াও।(সূরা বাক্বারা-২৩৮)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ، - وَهُوَ الطَّيَالِسِيُّ - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، - يَعْنِي ابْنَ الْمُغِيرَةِ - عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ رَبَاحٍ، عَنْ أَبِي قَتَادَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم " لَيْسَ فِي النَّوْمِ تَفْرِيطٌ إِنَّمَا التَّفْرِيطُ فِي الْيَقَظَةِ أَنْ تُؤَخَّرَ صَلَاةٌ حَتَّى يَدْخُلَ وَقْتُ أُخْرَى "
আবূ ক্বাতাদাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ঘুমের কারণে সলাতের গাফলতি হলে দোষ নেই। কিন্তু জাগ্রতবস্থায় গাফিলতি করে বিলম্বে সলাত আদায় করা অন্যায়, এতে করে আরেক সলাতের ওয়াক্ত এসে যায়।
(আবু দাউদ ৪৪১)
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ نَسِيَ صَلَاةً فَلْيُصَلِّهَا إِذَا ذَكَرَهَا لَا كَفَّارَةَ لَهَا إِلَّا ذَلِكَ "
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কেউ সলাত আদায় করতে ভুলে গেলে যেন স্মরণ হওয়া মাত্রই তা আদায় করে নেয়। এটাই তার সলাতের কাফফারা।
(আবু দাউদ ৪৪২)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার রুটিনে একটু পরিবর্তন করতে হবে।
এক,
তিনটায় ক্লাস শেষ করে বাসায় এসে সাথে সাথে না ঘুমিয়ে জোহরের নামাজ আদায় করে তারপর ঘুমিয়ে যাবেন।
আসরে ঘুম থেকে উঠার জন্য মোবাইলে এলার্ম দিবেন। অথবা কাউকে জাগিয়ে দিতে বলবেন।
আসরের নামাজ টি ঘুম থেকে উঠে আদায় করে পুনরায় ঘুমিয়ে যাবেন।
মাগরিবে ঘুম থেকে উঠার জন্য মোবাইলে এলার্ম দিবেন। অথবা কাউকে জাগিয়ে দিতে বলবেন।
মাগরিবের নামাজ টি ঘুম থেকে উঠে আদায় করে পুনরায় ঘুমিয়ে যাবেন।
এরপর আপনি রাতে দশটায় উঠুন বা ১১ টায় উঠুন, যখনই উঠবেন উঠে এশার নামাজ আদায় করে পড়াশোনা শুরু করবেন।
দুই,
তিনটায় ক্লাস শেষ করে বাসায় এসে সাথে সাথে না ঘুমিয়ে জোহরের নামাজ আদায় করে আর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে আসরের একদম ওয়াক্তের শুরুতে আসর নামাজ পরে ঘুমিয়ে যাবেন।
মাগরিবে ঘুম থেকে উঠার জন্য মোবাইলে এলার্ম দিবেন। অথবা কাউকে জাগিয়ে দিতে বলবেন।
মাগরিবের নামাজ টি ঘুম থেকে উঠে আদায় করে পুনরায় ঘুমিয়ে যাবেন।
এরপর আপনি রাতে দশটায় উঠুন বা ১১ টায় উঠুন, যখনই উঠবেন উঠে এশার নামাজ আদায় করে পড়াশোনা শুরু করবেন।
তিন,
তিনটায় ক্লাস শেষ করে বাসায় এসে জোহরের নামাজ আদায় করবেন,এরপর পড়াশোনা করবেন,এরপর আসরের ওয়াক্ত আসলে আসরের নামাজ আদায় করবেন,আসরের পর পড়াশোনা বা অন্য কোনো কাজ করবেন।
এরপর মাগরিবের নামাজ আদায় করে তারপর ঘুমিয়ে যাবেন।
এরপর আপনি রাতে দশটায় উঠুন বা ১১ টায় উঠুন,বা ১২/০১ টায় উঠুন, যখনই উঠবেন উঠে এশার নামাজ আদায় করে পড়াশোনা শুরু করবেন।