আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
23 views
ago in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (2 points)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ 
১.আমার স্বামী করোনার শেষদিকে ব্যবসা করার জন্য(আত্মীয়স্বজন, পরিচিত কারো কাছে টাকা ধার না পেয়ে) এক সুদখোর ব্যক্তির কাছ থেকে সুদে ৩ লাখ টাকা নিয়েছিল কিন্তু টাকা ব্যবসার উদ্দেশ্য নিলেও ব্যবসায় সময় না দিতে পারার কারনে ব্যবসায় লস হয় এবং কর্মচারীরা টাকা মেরে নিয়ে যায়। ঠিকমত সময় না দেয়ার কারন হল সুদে টাকাটা নেয়ার কিছুদিন পরই আমি গর্ভবতী এটা আমরা জানতে পারি এরপর থেকেই আমি স্বামীর সাহায্য ছাড়া বিছানা থেকেই উঠতে পারতাম না।বাসায় কোন আত্মীয় স্বজনও ছিলনা। আমাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করা,আমাকে সহযোগিতা করতেই তার দিনের বেশি সময় পাড় হয়ে যেত আর বাকি সময় ব্যবসায় দেয়ার চেষ্টা করতো। আমি তাকে বলেছিলাম না খেয়ে থাকলেও কখনো সুদের ধারেকাছেও যেও না। স্বামী সুদে টাকা নেয়ার বিষয়টি আমার কাছ থেকে গোপন রেখেছিল। ৩ লাখ টাকার সুদ বেড়ে ১০ লাখ টাকা হয়েছে, ব্যবসায় লসের জন্য ব্যবসা বন্ধ হওয়া,সুদের টাকা দিতে না পারায় সুদখোর লোকটি স্বামীর প্রাননাশের হুমকি দিচ্ছে এবং প্রতিদিন গুন্ডা পাঠিয়ে ভয় দেখায় মান সম্মান নষ্ট করার হুমকি দেয়। সুদের টাকা পরিশোধ করতে স্বামী বিভিন্ন জনের কাছ থেকে টাকা ধার এনে সুদখোর ব্যক্তিকে দেয়,এখন বিভিন্ন পাওনাদাররাও প্রতিদিন এসে টাকা চায় কিন্তু স্বামীর অবস্থা এমন নুন আনতে পান্তা ফুরানোর মত! স্বামী প্রতিদিনই ব্যাংক এনজিওতে যায় কিন্তু তারা মহিলা ছাড়া কোন লোন দিবেনা। আল্লাহর রহমতে আমি খাসপর্দা করি।মারহাম ননমারহাম বেছে চলি। ব্যাংক এনজিও দেরকে স্বামী প্রস্তাব দিয়েছিল ব্যাংক এনজিওর মহিলাদেরকে চেহারা দেখালে হবে কিনা কিন্তু তার সেই প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে। আর আমার ধারনা হচ্ছে আমি যদি আল্লাহর পর্দার বিধান লঙ্ঘন করে স্বামীকে লোন তুলতে সাহায্য করি তাহলে হয়ত আমিও স্বামীর সুদের পাপে তাকে সহযোগিতা করছি এবং হয়ত লোন তুলতে সাহায্য করার পর থেকে আল্লাহ আমার ২ বছরের সন্তানের জন্য করা কোন দোয়া কবুল করবেন না। প্রতিনিয়ত নিজের চোখে স্বামীকে একটু একটু করে মৃত্যুর দিকে অগ্রসর হতে দেখছি কিন্তু তাকে আমি আল্লাহর বিধান লঙ্ঘনের ভয়ে কোন সাহায্য করতে পারছিনা না। এখন আমি যদি স্বামীর কল্যানের নিয়তে তাকে লোন তুলতে সাহায্য করি তাহলে কি আমার গুনাহ হবে? আল্লাহ কি সন্তানের জন্য মায়ের দোয়া কবুল করবেন?

২.স্বামীর অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হওয়ার কারন স্বামী স্ত্রী ও সন্তানের মৌলিক চাহিদা পূরন অপারগ। এখন আমি যদি আমার বাবার বাড়ি থেকে বা কোন নিকট আত্মীয়ের কাছ থেকে টাকা এনে সন্তানকে ডাক্তার দেখাই,খাবার খাওয়াই,পোশাক কিনে দেই তাহলে কি সেটা জায়েজ হবে? সবার উপার্জন হালাল কিনা মিশ্র কিনা এটা যদি জানার উপায় না থাকে?

৩.আমার এক নিকট আত্মীয় শুধুমাত্র আমার সন্তানের জন্য সে মাঝেমাঝে টাকা এবং মুল্যবান হাদিয়া দিয়ে বলে আমি তোদের দুঃখের সময় পাশে আছি। আমরা তার দেয়া টাকা বা হাদিয়া নিতে না চাইলে সে কষ্ট পায় কান্নাকাটি করে জোর করে টাকা দিয়ে যায় সন্তানের জন্য নয়ত সে বাসায় সন্তানের জন্য খাবার কিনে নিয়ে আসে, তার কথা আমি যতদিন পারি তোদের সন্তানের জন্য হাদিয়া দিবো। আমি আগে জানতাম না এই নিকট আত্মীয়ের উপার্জন মিশ্র তার উপার্জনের কিছু অংশ হালাল আর বেশির অংশ হারাম(মালিককে না জানিয়ে মালিকের টাকা নেয়া)। এখন এই নিকট আত্মীয় পূর্বে আমার সন্তানকে যেই টাকা,মূল্যবান হাদিয়া দিয়েছেন সেগুলো আমাদের পক্ষে ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব না যেহেতু আমাদের অবস্থা এখন দিন আনি দিন খাওয়ার মত। স্বামী প্রতিদিন যা আয় করে তার পুরোরাই পাওনাদার দেয়কে দিয়ে দেয়। এখন আমি যদি আত্মীয়কে বলি তুমি আমার সন্তানের জন্য টাকা বা হাদিয়া দিলে তোমার মূল বেতন (সেটা হালাল) থেকে দিও বা খরচ করো তাহলে সেটা কি জায়েজ বা হালাল হবে?? মা হিসেবে সন্তান ভালো থাকুক,ভালো খাবার খাক,ভালো পোশাক পড়ুক সকল সুযোগ সুবিধা পাক এটা আমি চাই কিন্তু কোন হারাম যেন সন্তানকে স্পর্শ না করুক এটা সবার আগে চাই কারন সন্তানতো আল্লাহ দেয়া আমানত এর জবাবদিহিতা তো আমাকে করতে হবে। এক্ষেত্রে মা হিসেবে আমার করনীয় কি বলবেন প্লিজ?? উভয় সংকটে আমি,একদিকে স্বামীর সুদের টাকা আরেকদিকে নিকট আত্মীয়ের মিশ্র উপার্জন থেকে দেয়া হাদিয়া হিসেবে টাকা কোনদিকে যাবো?কি করবো? নিজে ইনকাম করা সম্ভব না বাচ্চা যেহেতু অনেক ছোট।

৪.নিকট আত্মীয় কিছুদিন আগে আমার সন্তানকে স্বর্নের চেইন হাদিয়া দেয় এটা রাখা কিন্তু জায়েজ হবে? আত্মীয় সন্তানকে যেই টাকা গুলো হাদিয়া দেয় সেগুলো আমি সন্তানের কল্যানের জন্য জমিয়ে রাখি সেটা কি হালাল হবে?

৫.স্বামীর অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হওয়ার কারন আমার বাবা মা আমার স্বামীর সাথে খারাপ ব্যবহার করে,তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে,গালিগালাজ করে, অসম্মান করে কথা বলে,স্বামীর বাবা মা তুলে কথা বলে। এখন স্ত্রী হিসেবে এবং মেয়ে হিসেবে আমার করনীয় কি? 

৬.স্বামী মুদি দোকান চালায় এখন সে দোকানের মাল তোলার জন্য যদি ব্যাংক লোন নেয় সেক্ষেত্রে তার এই আয় কি হালাল হবে? স্বামীর এই আয় থেকে খাবার খেলে আমার আর আমার সন্তানের জন্য কি সেটা হালাল হবে? যেহেতু আমার কোন ইনকাম নেই,কোন সম্পদ নেই,স্বামীর উপর নির্ভরশীল।

৭.স্বামী যদি স্ত্রীর মোহরানা বিষয়টি পুরোপুরি অযৌক্তিক মনে করে এবং আদায় না করে তাহলে সেক্ষেত্রে স্ত্রীর করনীয় কি? অনেক সময় আমার সাদাকা করার ইচ্ছে হয় কিন্তু নিজের ইনকাম নেই,স্বামীও ১ টাকা হাতখরচ দেয়না সেক্ষেত্রে কিভাবে সাদাকা করবো? 

৮.স্বামী যদি স্ত্রীর মৌলিক চাহিদা,শারীরিক মানসিক চাহিদা পূরনে অপারগতা প্রকাশ করে সেক্ষেত্রে স্ত্রী হিসেবে আমার করনীয় কি?

৯.আমি শুধু পরকাল চাই আল্লাহর সন্তুষ্টি চাই,জান্নাত চাই। সন্তানকে শুধু পরকালের জন্য তৈরি করতে চাই। এজন্য আমার করনীয় কি?

১০.আমার এবং আমার স্বামীর কোন স্বর্ন নেই,সম্পদ নেই,জমানো টাকা নেই,জমিজমা নেই। দিন আনে দিন খাওয়ার মত অবস্থা। প্রতিদিন ১/২ কেজি করে চাল আনতে হয়। এমতাবস্থায় কি আমাদের উপর যাকাত ফরজ হবে? 

1 Answer

0 votes
ago by (644,070 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 
فَمَنِ اضۡطُرَّ غَیۡرَ بَاغٍ وَّ لَا عَادٍ فَاِنَّ اللّٰہَ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۱۱۵﴾ 

কিন্তু কেউ অবাধ্য বা সীমালংঘনকারী না হয়ে অনন্যোপায় হলে আল্লাহ্ তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
(সুরা নাহাল ১১৫)

 فَمَنِ اضۡطُرَّ فِیۡ مَخۡمَصَۃٍ غَیۡرَ مُتَجَانِفٍ لِّاِثۡمٍ ۙ فَاِنَّ اللّٰہَ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۳﴾ 

অতঃপর কেউ পাপের দিকে না ঝুঁকে ক্ষুধার তাড়নায় বাধ্য হলে তবে নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
(সুরা মায়েদা ০৩)

https://www.ifatwa.info/1085 নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
সুদের আদান-প্রদাণ হারাম।তবে অবস্থাবেধে হুকুমে কিছুটা পরিবর্তন আসতে পারে।মানুষের প্রয়োজন তিন প্রকারের হতে পারে।যথা- 

জরুরত (এমন প্রয়োজন যা না হলে নয়) : এমন এক ধরনের প্রয়োজন, যা ছাড়া জীবন হুমকির মুখে পড়ে যায়। যেমন, মরুভূমিতে ক্ষুধার্ত একজন মানুষ, যার কাছে কোনো খাবার নেই। (এই পরিস্থিতিতে মানুষটি জীবন বাঁচানোর তাগিদে হারাম বস্তুও ভক্ষণ করতে পারবে)। 

হাজত (এমন প্রয়োজন যা না হলে অত্যাধিক কষ্ট হবে) : কষ্ট বা যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যে যা করা হয়ে থাকে। (এখানে কষ্ট বা যন্ত্রণা বলতে জীবনের জন্যে হুমকিস্বরূপ বোঝাচ্ছে না) যেমন- একজন সাওম পালনকারী ব্যক্তি অসুস্থতার কারণে খাওয়া-দাওয়া করতে পারে। ফরজ সাওম হলেও এ ক্ষেত্রে তা ঐ ব্যক্তির জন্যে ভাঙার অনুমোদন রয়েছে।বা মেয়ের বিয়েতে টাকার প্রয়োজন। 

তাহসিন (পছন্দনীয় ও সুশোভিতকরণ) : এ ধরনের প্রয়োজনীয়তাগুলো মানুষের পোশাক-আশাক ও আচার-আচরণের পরিশুদ্ধতা ও পরিপূর্ণতার জন্যে এবং জীবনের মান উন্নয়নের জন্যে দরকারি। যেমন, একজন মানুষের শারীরিক অবস্থা ঠিক রাখার জন্যে মাছ, মাংস ও ফলমূল খাওয়া প্রয়োজন। (এই তিন প্রকার একজন দ্বীনী বোনের গবেষনা থেকে কপিকৃত)  

হুকুমঃ

প্রথম অবস্থায় সুদ গ্রহণ জায়েয।এবং তৃতীয় অবস্থায় সুদ গ্রহণ জায়েয হবে না। আর দ্বিতীয় অবস্থার ব্যাখ্যা এরূপ যে,অভাব অনটনের পরিস্থিতি এমন পর্যায়ের যে,খানাপিনা এবং চিকিৎসা ইত্যাদি মত মৌলিক প্রয়োজনাদিকে পূর্ণ করা সুদ ব্যতীত প্রায় অসম্ভব হয়ে দাড়িয়েছে, এমন পরিস্থিতিতে সুদ গ্রহণ করা বৈধ হবে।(জাদীদ ফেকহী মাসাঈল-৪/৫২) 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনাদের যদি খুব অভাব হয়।
অভাব অনটনের পরিস্থিতি যদি এমন পর্যায়ে পৌছে যে,খানাপিনা এবং চিকিৎসা ইত্যাদি মত মৌলিক প্রয়োজনাদিকে পূর্ণ করা উক্ত লোন নেয়া ব্যতীত প্রায় অসম্ভব হয়ে দাড়িয়েছে, এমন পরিস্থিতিতে আপনার স্বামীর জন্য সুদি লোন গ্রহণ করা বৈধ হবে।

এক্ষেত্রে লোন গ্রহণ করতে সাহায্য করায় আপনার গুনাহ হবেনা।
,
অভাব অনটন যদি এমন না হয়,সেক্ষেত্রে আপনার স্বামীর জন্য সুদি লোন গ্রহণ করা বৈধ হবেনা।

এক্ষেত্রে লোন গ্রহণ করতে সাহায্য করায় আপনার গুনাহ হবে।

★সর্ব ছুরতে হালাল টাকায় সেই লোন পরিশোধ করলে সেক্ষেত্রে আপনার দোয়া কবুল হবে।

(০২)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনি যদি আপনার বাবার বাড়ি থেকে বা কোন নিকট আত্মীয়ের কাছ থেকে টাকা এনে সন্তানকে ডাক্তার দেখান,খাবার খাওয়ান,পোশাক কিনে দেন, তাহলে সেটা জায়েজ হবে।

(০৩)
আপনি তার দেয়া টাকা গ্রহণ করতে পারবেন।

এক্ষেত্রে আপনি যদি সেই আত্মীয়কে বলেন যে তুমি আমার সন্তানের জন্য টাকা বা হাদিয়া দিলে তোমার মূল বেতন (সেটা হালাল) থেকে দিও বা খরচ করো তাহলে সেটা আরো ভালো হবে।
প্রশ্নের বিবরণ মতে সর্বাবস্থায় তার দেয়া টাকা নেয়া আপনার জন্য জায়েজ হবে,হালাল হবে।

(০৪)
জায়েজ হবে।

(০৫)
এভাবে আচরণ না করতে আপনি আপনার বাবা মাকে বুঝাবেন।
প্রয়োজনে আপনার স্বামীকে আপনার বাবা মা হতে দূরে রাখবেন,যাতে এসব কথাবার্তা আপনার স্বামীকে আর শুনতে না হয়।

(০৬)
তিনি হালাল টাকায় সেই লোন পরিশোধ করলে তার আয় হালাল বলে বিবেচিত হবে। 

তবে সর্বাবস্থায় স্বামীর এই আয় থেকে খাবার খেলে আপনার আর আপনার সন্তানের জন্য  সেটা হালাল হবে।

এক্ষেত্রে তার আয় হতে প্রয়োজনীয় খরচ করতে পারবেন।

প্রয়োজন অতিরিক্ত খরচ করবেননা।

(০৭)
এক্ষেত্রে স্ত্রী তার নিকট পাওনা থাকবে।

মোহরানা যেভাবেই হোক,আদায় করতেই হবে।

স্ত্রী যদি স্বামীকে মোহরানা ক্ষমা না করে দেয়,সেক্ষেত্রে  কিয়ামতের ময়দানে স্বামী তার স্ত্রীর সামনে ঋণী হিসেবেই উঠবে।

(০৮)
এক্ষেত্রে আপনার করনীয়ঃ-

★খোলামেলা ও বিনয়ী আলোচনা করুন

অনেক সময় মানসিক দূরত্ব, মানসিক চাপ, অসুস্থতা বা কাজের ক্লান্তি এসব কারণে সমস্যার সৃষ্টি হয়। তাই প্রথম করণীয় হলো শান্তভাবে বিষয়টি আলোচনায় আনা।

★পারিবারিক মধ্যস্থতা করুন

কুরআনের নির্দেশ:

“...তোমরা যদি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধের আশঙ্কা কর, তবে স্বামীর পক্ষ থেকে একজন সালিশ ও স্ত্রীর পক্ষ থেকে একজন সালিশ নিয়োগ করো...”
— সূরা আন-নিসা: ৩৫

দুই পরিবারের জ্ঞানী ও ন্যায়পরায়ণ মানুষ দিয়ে সালিশ করলে অনেক সময় সমস্যা মিটে যায়।

★স্বামীর চিকিৎসার প্রয়োজন হলে উৎসাহ দিন

শারীরিক বা মানসিক অক্ষমতা থাকলে চিকিৎসা, থেরাপি ইসলামে অনুমোদিত।

★দীর্ঘস্থায়ী অপারগতা হলে বিচ্ছেদ বৈধ।

যদি স্বামী স্থায়ীভাবে স্ত্রীর হক আদায় করতে ব্যর্থ হয়, আর স্ত্রী কষ্ট পাচ্ছে, তবে তালাক চাওয়া জায়েজ, বিশেষ করে:

যৌন অসক্ষমতা (স্থায়ী)
মানসিক নির্যাতন
অর্থনৈতিক দায়িত্বহীনতা

হাদীস: “কোনো নারী যদি তার স্বামীর চরিত্রে বা ধর্মে ত্রুটি দেখে, সে তালাক চাইলে তা গুনাহ নয়।”
— (সুনান ইবন মাজাহ)

(০৯)
এক্ষেত্রে পূর্ণ ভাবে শরীয়তের উপর চলার পাশাপাশি স্ত্রীর হক সমূহ আদায় করতে হবে।

এ সংক্রান্ত জানুনঃ- 

সন্তানকে ভালো একটি কওমী মাদ্রাসায় লেখাপড়া করানোর পরামর্শ থাকবে।

(১০)
এমতাবস্থায় আপনাদের উপর যাকাত ফরজ হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...