জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
তাওবাহ কবুল হওয়ার জন্য শর্ত হল,অতীতের যাবতীয় কৃতকর্মের উপর লজ্জিত হয়ে ভবিষ্যতে না করার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা নিয়ে বর্তমানে সে গোনাহকে পরিত্যাগ করা।এবং সাথে সাথে আল্লাহ কাছে ক্ষমা চাওয়া।
বর্তমানে আর কোনো ছবি পোস্ট করবেননা। এবং ভবিষ্যতে না করার দৃঢ় সংকল্প রাখবেন।
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে শতচেষ্টার পরও যদি ছবিগুলো ডিলেট করানো সম্ভব না হয়,তাহলে এর দায়ভাড় আপনার উপর বর্তাবে না।
কেননা আল্লাহ তা'আলা সামর্থ্যর অধিক দায়িত্ব কাউকে দেননা।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
لاَ يُكَلِّفُ اللّهُ نَفْسًا إِلاَّ وُسْعَهَا لَهَا مَا كَسَبَتْ وَعَلَيْهَا مَا اكْتَسَبَتْ
আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত কোন কাজের ভার দেন না, সে তাই পায় যা সে উপার্জন করে এবং তাই তার উপর বর্তায় যা সে করে।(সূরা বাকারা-১৮৬)
(০২)
আপনি হাত মোজা, পা মোজা পরিধান করে হিজাব দিয়ে মাথা চেহারা ঢেকে,পূর্ণ শরীর পর্দায় আবৃত করে,ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করে তার সামনে আসতে পারবেন, খাবার পরিবেশন করতে পারবেন।
কথা বলার ক্ষেত্রে কন্ঠকে বিকৃত করে কথা বললে ভালো হবে।
এক্ষেত্রে মুখের উপর হাত রেখে কথা বলতে পারেন।
তবে বিনা প্রয়োজনে কথা কথা বলবেননা,হাসি ঠাট্রা করবেননা,অপ্রয়োজনীয় কথা বলা থেকে দূরে থাকবেন।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
يَا نِسَاءَ النَّبِيِّ لَسْتُنَّ كَأَحَدٍ مِنَ النِّسَاءِ إِنِ اتَّقَيْتُنَّ فَلَا تَخْضَعْنَ بِالْقَوْلِ فَيَطْمَعَ الَّذِي فِي قَلْبِهِ مَرَضٌ وَقُلْنَ قَوْلًا مَعْرُوفًا (32) وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى
হে নবীর স্ত্রীগণ! তোমরা অন্য নারীদের মত নও [ইহুদী খৃষ্টান)। তোমরা যদি আল্লাহকে ভয় পাও তবে আকর্ষণধর্মী ভঙ্গিতে কথা বলনা, যাতে যাদের মাঝে যৌনলিপ্সা আছে তারা তোমাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়। বরং তোমরা স্বাভাবিক কথা বল। এবং তোমরা অবস্থান কর স্বীয় বসবাসের গৃহে, জাহেলী যুগের মেয়েদের মত নিজেদের প্রকাশ করো না। {সূরা আহযাব-৩২}
وَإِذَا سَأَلْتُمُوهُنَّ مَتَاعًا فَاسْأَلُوهُنَّ مِنْ وَرَاءِ حِجَابٍ ذَلِكُمْ أَطْهَرُ لِقُلُوبِكُمْ وَقُلُوبِهِنَّ
অর্থ : আর তোমরা তাঁর (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর স্ত্রীগণের কাছে কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। এটা তোমাদের অন্তরের জন্য এবং তাঁদের অন্তরের জন্য অধিকতর পবিত্রতার কারণ। {সূরা আহযাব-৫৩}
আরো জানুনঃ-
(০৩)
না,এগুলোর কোনোটিই জায়েজ নেই।
(০৪)
হ্যাঁ, এতে গীবত হবে।
তবে এমন ব্যাক্তিকে বললে গীবত হবেনা,যে আপনার স্বামীর বোনদেরকে সংশোধন করতে পারবে,বা তাদেরকে বুঝাতে পারবে।