ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
যদি বেহুশ অবস্থায় কারো পাঁচ ওয়াক্ত নামায বা তার চেয়ে কম নামায কা'যা হয়ে যায়,তাহলে উনি অার শরীয়তের মুকাল্লাফ থাকবেন না।তবে যদি পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের পূর্বেই হুশ চলে আসে,তাহলে উনি শরীয়তের মুকাল্লাফ থাকবেন। যথাসম্ভব নামায আদায়ের চেষ্টা করবেন,নতুবা কাফফারা আদায়ের অসিয়ত করে যাবেন।নিজ জীবদ্দশায় নামাযের কাফ্ফারা আদায় করা সমুচিত নয়।(কিতাবুন-নাওয়াযিল-৫/৫১১)(ফাতাওয়ায়ে দারুল উলূম দেওবন্দ-৪/২৫৪)
জীবদ্দশায় নামাযের কাফ্ফারা আদায় করা যাবে না।(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-৭/৫৬৭)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) আপনার দাদি যদি ছয় ওয়াক্তের বেশী সময় ধরে বেহুশ থাকেন, তাহলে তিনি শরীয়তের মুকাল্লাফ থাকবেন না। তার উপর নামায ফরয থাকবে না। নতুবা তার উপর নামায ফরয থাকবে।
(২) পেনশনের কাগজপত্র জমা দেয়ার উদ্দেশ্যে একদিন বা দুদিনের জন্য ঢাকাতে যেতে পারবেন।
(৩)
ঐ ব্যক্তির ঈমান চলে যাবে কি না? তা নিয়ে উলামাদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। বিশুদ্ধ মতানুযায়ী ঐ ব্যক্তির ঈমান নষ্ট হবে না।
"الدر المختار " (4/ 224):
"(وشرائط صحتها العقل) والصحو (والطوع) فلا تصح ردة مجنون، ومعتوه وموسوس، وصبي لايعقل وسكران ومكره عليها، وأما البلوغ والذكورة فليسا بشرط بدائع".
قال ابن عابدین رحمه الله:
" قال في البحر والحاصل: أن من تكلم بكلمة للكفر هازلاً أو لاعبًا كفر عند الكل ولا اعتبار باعتقاده، كما صرح به في الخانية. ومن تكلم بها مخطئًا أو مكرهًا لايكفر عند الكل، ومن تكلم بها عامدًا عالمًا كفر عند الكل، ومن تكلم بها اختيارًا جاهلاً بأنها كفر ففيه اختلاف. اهـ".
وما يكون كفرا اتفاقا يبطل العمل والنكاح وأولاده أولاد زنا، وما فيه خلاف يؤمر بالاستغفار والتوبة وتجديد النكاح (الدر المختار، زكريا-6/390، كرتاشى-4/247)