ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
প্রচলিত ডিপিএস,স্কীম ডিপিএস, ফিক্সট ডিপোজিট হারাম এবং পরিত্যাজ্য। তবে যদি কোনো ব্যাংক শরীয়তকে পুরোপুরি মেনে এই সমস্ত প্রকল্প, স্কীমগুলো প্রনয়ন করে ও যত্নসহকারে তা পালন করতে সচেষ্ট থাকে তবে তা জায়েয হবে। যেমন পাকিস্তানের মিজান ব্যাংক সম্পর্কে শুনা যায়,যে তারা সম্পূর্ণভাবে শরীয়তকে মেনে চলে। যত্নসহকারে পালনের অর্থ হচ্ছে,ডিপিএস এমন হতে হবে যে,যে মেয়াদের জন্য ডিপি এস করা হবে,মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আসল ব্যতীত মুনাফা কত? তা নির্দিষ্ট হতে পারবে না। যদি মুনাফা নির্দিষ্ট হয়ে থাকে,তাহলে সেটা সুদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে হারাম হয়ে যাবে। যদি কেউ টাকা জমানোর উদ্দেশ্যে তথাকথিত ইসলামী ব্যাংকগুলোতে ৫-১০ বছর মেয়াদী ডিপিএস করে নেয়, তাহলে সে শুধুমাত্র আসল নিতে পারবে। মুনাফা নিতে পারবে না। কেননা মুনাফা সুদ। আর সুদ হারাম।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/8101
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
ইসলামী ব্যাংক গুলো একদিকে তারা সুদকে অস্বীকার করে থাকে, অন্যদিকে তারা ইনভেস্টের সময় বলে দেয় যে, এত পার্সেন্ট মুনাফা দেয়া হবে। ব্যবসার পূর্বেই তারা মুনাফার ঘোষণা দিয়ে দেয়। আপনি যে কোনো ব্রাঞ্চে গিয়ে যাচাই-বাছাই করতে পারবেন।
১০০ টাকার বিপরীতে যেই ৪ টাকা আপনার একাউন্টে এসে যোগ হয়েছে, এটা গ্রহণ না করে বরং সদকাহ করাই উচিত ও উত্তম।