ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/106077/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,
আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন,
فَإِنْ تَوَلَّوْا فَقُلْ حَسْبِيَ اللهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ
‘এসত্ত্বেও যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে বলে দাও, আমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট। তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। তার উপরেই আমি ভরসা করি’ (তওবা ৯/১২৯)।
আল্লাহকে যথেষ্ট ভাবাই তো তাওহীদ ও তাওয়াক্কুল।
সকল কাজে আল্লাহর উপর নির্ভর করা।
সুখে-দুঃখে, সম্পদে-বিপদে সর্বাবস্থায় আমাদেরকে আল্লাহর উপর নির্ভর করতে হবে। এই নির্ভরতা কোনমতেই ঐসব জাহেল মূর্খদের মত হবে না যারা সুযোগ-সুবিধা ও উপায়-উপকরণ হাতের নাগালে পেলে আল্লাহকে ভুলে বসে থাকে এবং উপায়-উপকরণ নিয়ে মেতে থাকে; আর সুযোগ-সুবিধা ও উপায়-উপকরণ হাতছাড়া হয়ে গেলে তখনই কেবল আল্লাহর উপর ভরসা করে।
,
আল্লাহর প্রতি সুধারণা পোষণ।
মুমিন বান্দা যতই তার রবের উপর ভরসা করবে ততই তার প্রতি সুধারণা পোষণ করবে। সে জেনে রাখবে যে, মালিকের উপর যে ভরসা করে মালিক তার জন্য যথেষ্ট, তার আর অন্য কিছু প্রয়োজন নেই।
এতে করে তার অন্তর অস্থিরতায় ভুগবে না এবং দুনিয়া তার হাতে এল কিংবা হাতছাড়া হ’ল বলে কোন পরোয়া করবে না। কেননা তার নির্ভরতা তো তার মালিক আল্লাহর উপর।
,
হাদীছে কুদসীতে এসেছে, আল্লাহ বলেন,
أَنَا عِنْدَ ظَنِّ عَبْدِىْ بِىْ
‘আমার বান্দা আমার সম্পর্কে যেমন ধারণা করে আমি তার নিকট তেমনই’।
সুতরাং সুধারণা যেমন আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুলের দিকে আহবান জানায়, তেমনি আল্লাহর প্রতি তাওয়াক্কুলের মাঝেও অবশ্যই সুধারণা থাকে।
,
https://ifatwa.info/59465/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,
আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল-ভরসা বাড়াতে হবে, তাহলে ধীরে ধীরে মনের ভয় দূর হবে।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
কিছু দোয়া, এগুলো পড়বেন।
মাঝে মাঝেই এই দোয়াগুলি পড়বেন, মাঝে মাঝে শরীরে বা ভয়ের সময়ে ফুক দিবেন।
لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ الْعَظِيمُ الْحَلِيمُ ، لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ ، لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ رَبُّ السَّمَاوَاتِ وَرَبُّ الْأَرْضِ وَرَبُّ الْعَرْشِ الْكَرِيمِ
অর্থাৎ ‘‘মহান ও মহা-ধৈর্যশীল আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন উপাস্য নেই। মহান আরশের রব ‘আল্লাহ’ ছাড়া সত্য কোন উপাস্য নেই। আসমানসূমহ ও জমিনের রব এবং মহান আরশের রব ‘আল্লাহ’ ছাড়া সত্য কোন উপাস্য নেই।”
ইবনে আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিপদাপদকালে উক্ত দোয়া বলতেন। (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬৩৪৬)
بِسْمِ اللّهِ الَّذِيْ لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِه شَيْءٌ فِي الْأَرْضِ وَلَا فِي السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيْعُ الْعَلِيمُ
অর্থাৎ ‘‘আল্লাহর নামে, যার নামের বরকতে আসমান ও জমীনের কোন কিছুই কোন ক্ষতি করতে পারে না, তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ।”
,
উসমান ইবনে আফ্ফান রাযি. থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে কোন বান্দা প্রতিদিন সকালে ও প্রতি রাতের সন্ধ্যায় তিনবার করে এই দোয়াটি পাঠ করলে কোন কিছুই তার ক্ষতি করতে পারবে না। (তিরমিযী,হাদীস নং ৩৩৮৮)
اَللّهُمَّ إِنَّا نَجْعَلُكَ فِيْ نُحُوْرِهِمْ وَنَعُوْذُ بِكَ مِنْ شُرُوْرِهِمْ
অর্থাৎ ‘‘ হে আল্লাহ! আমরা তোমাকেই তাদের মুখোমুখী করছি এবং তাদের অনিষ্টতা থেকে তোমারই কাছে আশ্রয় চাচ্ছি ।”
,
আবু মুসা আল-আশআরী রাযি.থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কোন সম্প্রদায় দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কা করতেন তখন দোয়া টি বলতেন (আবূদাউদ,হাদীস নং ১৫৩৭)
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আল্লাহর উপর পূর্ণ ভরসা রাখবেন। এমন অহেতুক টেনশন করার কোনো প্রয়োজন নেই এবং পরীক্ষার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাবেন।