আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
16 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (7 points)
আসসালামুআলাইকুম  ওয়া রহমাতুল্লাহ।
উস্তাদ  একজন আমাকে নিম্নোক্ত বিষয়ে জিজ্ঞেস  করেছেন।  এ সম্পর্কে আমার ধারনা নেই।   বিষয়টা আদৌ কি সুন্নাহ? জানাবেন ইনশাআল্লাহ।
"দাফনের পর মৃত ব্যক্তিকে কবরে তালক্বীন করা সুন্নত, এবং এর জন্য কিছু নিয়মও বর্ণনা করেছেন।

“হযরত আবূ উমামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যখন তোমাদের কোন মুসলমান ভাই ইন্তিকাল করবে, তখন তাকে কবরে রেখে তার উপর ভালভাবে মাটি দিয়ে অর্থাৎ দাফন করে তার মাথার নিকট দাঁড়িয়ে বলবে, ‘হে অমুকের সন্তান অমুক’ তখন মৃত ব্যক্তি এটা শুনবে কিন্তু কোন জবাব দিবে না। তারপর বলবে, ‘হে অমুকের সন্তান অমুক’ এটা শুনে মৃত ব্যক্তি উঠে বসবে। অতঃপর আবার বলবে, ‘হে অমুকের সন্তান অমুক’ এটা শুনে মৃত ব্যক্তি বলবে কি বলছেন? (যদিও তার কথা শুনা যাবে না। ) তখন তোমরা বলবে তুমি এসময় বলো (দুনিয়ায় থাকাকালীন অবস্থায় তুমি যার উপর কায়িম ছিলে) মহান আল্লাহ পাক তিনি ব্যতীত অন্য কোন মাবুদ নেই, তিনিই একমাত্র প্রতিপালক। সম্মানিত ইসলাম তোমার দ্বীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তোমার মহাসম্মানিত নবী, পবিত্র কুরআন শরীফ তোমার পথ প্রদর্শক।
আর কোন কোন বর্ণনায় রয়েছে, মাইয়্যিতকে দাফন করার পর উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ থেকে একজন প্রশ্ন করবে, র্মা রব্বুকা? অন্যান্য সবাই বলবে, রব্বিইয়াল্লাহ। এরপর বলবে, ওয়া মান নাবিয়্যূকা? অন্যান্য সকলেই বলবে, নাবিয়্যী রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। অতঃপর বলবে, ওয়ামা দ্বীনুকা? সকলেই বলবে, দ্বীনিয়্যাল ইসলাম। "


এরকম আরো কিছু বিষয় বলা হয়েছে এই বিষয়টা কতটুকু সহিহ জানাবেন  ইনশাআল্লাহ।

1 Answer

0 votes
by (645,600 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/60611/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে,
এই রেওয়ায়েত হযরত আবু উমামাহ বাহেলী রাঃ এর মাধ্যমে মাজমাউয যাওয়ায়েদ ৩/৫৪,ইহইয়াউল উলুম ২৭২ তে বর্ণিত হয়েছে।
সুতরাং এর উপর আমল করার অবকাশ রয়েছে।
কিন্তু সেটিকে আবশ্যকীয় মনে করার সুযোগ নেই।
কেননা রেওয়ায়েতের সনদ মজবুত নয়। বরং যেই এলাকায় আবশ্যকীয় মনে করা হয়,সেখানে ছেড়ে দেওয়াই উত্তম। 
(কিতাবুন নাওয়াজেল ৬/১৩৩)

যার আরবী পাঠ হল,

عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ اللهِ الْأَوْدِيِّ، قَالَ: شَهِدْتُ أَبَا أُمَامَةَ وَهُوَ فِي النَّزْعِ، فَقَالَ: إِذَا أَنَا مُتُّ، فَاصْنَعُوا بِي كَمَا أَمَرَنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ نصْنَعَ بِمَوْتَانَا، أَمَرَنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: ” إِذَا مَاتَ أَحَدٌ مِنْ إِخْوَانِكُمْ، فَسَوَّيْتُمِ التُّرَابَ عَلَى قَبْرِهِ، فَلْيَقُمْ أَحَدُكُمْ عَلَى رَأْسِ قَبْرِهِ، ثُمَّ لِيَقُلْ: يَا فُلَانَ بْنَ فُلَانَةَ، فَإِنَّهُ يَسْمَعُهُ وَلَا يُجِيبُ، ثُمَّ يَقُولُ: يَا فُلَانَ بْنَ فُلَانَةَ، فَإِنَّهُ يَسْتَوِي قَاعِدًا، ثُمَّ يَقُولُ: يَا فُلَانَ بْنَ فُلَانَةَ، فَإِنَّهُ يَقُولُ: أَرْشِدْنَا رَحِمَكَ اللهُ، وَلَكِنْ لَا تَشْعُرُونَ. فَلْيَقُلْ: اذْكُرْ مَا خَرَجْتَ عَلَيْهِ مِنَ الدُّنْيَا شَهَادَةَ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ، وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ، وَأَنَّكَ رَضِيتَ بِاللهِ رَبًّا، وَبِالْإِسْلَامِ دِينًا، وَبِمُحَمَّدٍ نَبِيًّا، وَبِالْقُرْآنِ إِمَامًا، فَإِنَّ مُنْكَرًا وَنَكِيرًا يَأْخُذُ وَاحِدٌ مِنْهُمْا بِيَدِ صَاحِبِهِ وَيَقُولُ: انْطَلِقْ بِنَا مَا نَقْعُدُ عِنْدَ مَنْ قَدْ لُقِّنَ حُجَّتَهُ، فَيَكُونُ اللهُ حَجِيجَهُ دُونَهُمَا “. فَقَالَ رَجُلٌ: يَا رَسُولَ اللهِ، فَإِنْ لَمْ يَعْرِفْ أُمَّهُ؟ قَالَ: «فَيَنْسُبُهُ إِلَى حَوَّاءَ، يَا فُلَانَ بْنَ حَوَّاءَ»

হযরত আবূ উমামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন: 

“যখন তোমাদের কোন মুসলমান ভাই মৃত্যুবরণ করে, তাকে কবরে সমাহিত করার পর তোমাদের মধ্যে একজন তার কবরের শিয়রে দাঁড়িয়ে বলবে: 
- হে অমুকের ছেলে অমুক! তখন সে তা শুনতে পাবে, কিন্তু উত্তর দিবে না। 
- অতঃপর যখন আবারো বলবে: হে অমুকের ছেলে অমুক! তখন মৃত ব্যক্তি সোজা হয়ে বসে পড়বে। 
- আবার যখন বলবে: হে অমুকের ছেলে অমুক! তখন সে বলবে: আল্লাহ্ তাআলা তোমার উপর দয়া করুক। তুমি আমাকে শিখিয়ে দাও। কিন্তু মৃত ব্যক্তির একথা তোমরা শুনতে পাবে না। অতঃপর সে (তালকীনকারী) বলবে:

اُذْكُرْ مَاخَرَجْتَ عَلَيْهِ مِنَ الدُّنْيَا: شَهَادَةَ اَنْ لَّا اِلٰهَ اِلَّا اللهُ وَاَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهٗ وَرَسُوْلُهٗ (صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم) وَاَنَّكَ رَضِيْتَ بِاللهِ رَبًّا وَّبِالْاِسْلَامِ دِيْنًا وَّ بِمُحَمَّدٍ (صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم) نَبِيًّا وَّ بِالْقُرْاٰنِ اِمَامًا ـ

অনুবাদ: “তুমি তা স্মরণ করো, যা বলে তুমি দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছ অর্থাৎ,
- একথা সাক্ষ্য দাও যে, আল্লাহ্ ছাড়া আর কোন মাবুদ নেই এবং মুহাম্মদ (ﷺ) তাঁর বান্দা ও রাসূল। 
এবং এটাও বলো যে, 
- তুমি আল্লাহ্কে প্রতিপালক হিসেবে, 
- ইসলামকে আল্লাহর মনোনীত ধর্ম হিসেবে, 
- হযরত মুহাম্মদ (ﷺ) কে আল্লাহর প্রেরিত রাসূল হিসেবে এবং 
- কুরআন মজীদকে ইমাম হিসেবে মনে-প্রাণে স্বীকৃতি দিয়েছ এবং এর উপর সন্তুষ্ট ছিলে।” 
তালকীনকারী এ কথা বলার পর মুনকার-নকীর ফিরিশতাদ্বয় একে অপরের হাত ধরে বলবেন: চলো আমরা চলে যাই। তার পাশে বসে থেকে আমাদের কোন লাভ নেই যাকে লোক দলীল শিখিয়ে দিয়েছে। এক ব্যক্তি রহমতে আলম (ﷺ) এর নিকট আরয করল, যদি তার মায়ের নাম জানা না থাকে, তখন কিভাবে তালকীন করবে? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন: “হাওয়া رَضِیَ اللہُ تَعَالٰی عَنۡہَا এর দিকে সম্পর্কিত করবে।” 
(আলমু’জামুল কাবীর লিততাবারনী, হাদীস নং-৭৯৭৯, মাযমাউজ যাওয়ায়েদ, হাদীস নং-৩৯১৮।
হাদীসটি নিতান্তই দুর্বল।)

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ-
(وَلَا يُلَقَّنُ بَعْدَ تَلْحِيدِهِ) وَإِنْ فُعِلَ لَا يُنْهَى عَنْهُ. (الدر المختار مع رد المحتار-3/80-81)
সারমর্মঃ-
কবরস্থ করার পর তালকীন করা হবেনা 
তনে কেহ যদি এমন আমল করে তাহলে তাকে তাহা হতে বাধা দেয়া যাবেনা।

(কিছু তথ্য সংগৃহীত।)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত বর্ণনাটি দুর্বল। তাই উলামায়ে কেরাম বলেছেন, যদি কেউ এমনটি করে থাকে, তাহলে তাকে বাঁধা না দেয়া। কিন্তু এ বিষয়ে বাড়াবাড়ি করা কিছুতেই উচিত নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...