জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান হলো অন্যায় কাজ যেমন নিজে করা জায়েজ নেই,কাহারো সহযোগিতা করাও জায়েজ নেই।
সুতরাং আপনি যদি জানেন যে সে কাস্টমার আপনার কাছ থেকে হোস্টিং ক্রয় করে খারাপ বা অশ্লীল হোস্ট করবে,বা অন্য কোনো নাজায়েজ কাজ করবে,সেক্ষেত্রে আপনি যদি আগে থেকে তার এই বিষয় জানেন,তাহলে এক্ষেত্রে তার কাছে হোস্টিং বিক্রয় জায়েজ হবেনা।
এথেকে উপার্জনও জায়েজ হবেনা।
,
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ [٥:٢]
সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। {সূরা মায়িদা-২}
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}
শায়খ সালিহ আল-মুনাজ্জিদ রহঃ বলেন, “ডোমেইন/হোস্টিং এক ধরনের পরিষেবা, যদি তা হালাল কাজে ব্যবহৃত হয়, তবে তা জায়েয।”
দারুল উলুম দেওবন্দ ফতওয়া:
“ডোমেইন নেম বিক্রি করা জায়েয, যদি তা হালাল কাজে ব্যবহৃত হয়।”
যেসব ক্ষেত্রে ডোমেইন/হোস্টিং লেনদেন হারাম হতে পারে:
1. হারাম সাইটের জন্য হোস্টিং/ডোমেইন বিক্রয় করা (যেমন: পর্নোগ্রাফি, সুদের ব্যবসা ইত্যাদি)।
2. কপিরাইট বা ট্রেডমার্ক লঙ্ঘন করে ডোমেইন কেনা-বেচা।
3. প্রতারণার উদ্দেশ্যে/ফিশিং সাইটের জন্য ডোমেইন হস্তান্তর।
4. ওভারপ্রাইস করে কৃত্রিমভাবে দাম বাড়িয়ে বিক্রয় করা, যাতে প্রতারণা হয়।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি আপনি তাদের নিয়োগকৃত এজেন্ট না হোন,আপনার কোনো বেতন ধার্য না করা হয়,এবং এভাবে এগুলো বেশি দামে বিক্রি করে গ্রাহকের কাছ থেকে লাভ নেয়ার ক্ষেত্রে কোম্পানির পক্ষ যদি অনুমতি থাকে,নিষেধাজ্ঞা না থাকে,জুলুম হয় এমন বেশি দাম যদি ধরা না হয়,এবং উপরে উল্লেখিত শরীয়তের গন্ডির মধ্যে থেকেই যদি বিক্রয় করা হয়,সেক্ষেত্রেবেই লেনদেন জায়েজ হবে, লভ্যাংশ গ্রহন জায়েজ হবে।