কাজী" (আরবি: قاضي) শব্দের অর্থ: বিচারক।
পরিভাষায় কাজী হলেন সেই ব্যক্তি যিনি ইসলামী শরিয়তের আলোকে মানুষের মধ্যে বিচারকার্য সম্পাদন করেন, অর্থাৎ, দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ মীমাংসা করেন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করেন এবং শরিয়তের বিধান অনুযায়ী সিদ্ধান্ত প্রদান করেন।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
إِنَّ اللَّهَ يَأْمُرُكُمْ أَنْ تُؤَدُّوا الْأَمَانَاتِ إِلَى أَهْلِهَا ۖ وَإِذَا حَكَمْتُم بَيْنَ النَّاسِ أَنْ تَحْكُمُوا بِالْعَدْلِ
“নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদেরকে আদেশ করেন— আমানত তার উপযুক্ত ব্যক্তিকে প্রদান করো, আর যখন মানুষের মাঝে বিচার করো, তখন ইনসাফের সঙ্গে বিচার করো।”
(সূরা আন-নিসা: ৫৮)
রাসূলুল্লাহ ﷺ নিজেও বিচারকার্য সম্পাদন করতেন এবং সাহাবিদের মধ্যে যাদের ন্যায়বিচার ও ইসলামি জ্ঞানে পারদর্শিতা ছিল, তাদের কাজী হিসেবে নিযুক্ত করতেন।
★কাজীর মূল দায়িত্বসমূহ
১.বিচারকার্য পরিচালনা:
ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ বা রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে যে কোনো বিরোধ হলে কাজী শরিয়তের আলোকে তার মীমাংসা করে থাকেন।
২.ওয়াসিয়াত, মিরাস ও অন্যান্য পারিবারিক আইন বিষয়ক সিদ্ধান্ত দেওয়া:
মৃত ব্যক্তির সম্পদ বণ্টন, গার্ডিয়ানশিপ ইত্যাদি বিষয়ে কাজী শরিয়তের বিধান অনুযায়ী রায় দেন।
৩. ধর্মীয় ও সামাজিক শৃঙ্খলা রক্ষা:
কাজী সমাজে শরিয়তভিত্তিক বিচার ও আদর্শ কায়েমে ভূমিকা রাখেন।
★উল্লেখ্য আমাদের দেশে বিবাহ যারা পড়ায় বিবাহের রেজিস্ট্রেশন যারা করে তাদেরকে কাজে বলা হয় শরীয়তের পরিভাষায় এরা কাজী নয়।
কেননা কাজী রাষ্ট্রীয় বিচারক হবেন।
কিন্তু এরা বিচারক নয়।
একজন কাজীর জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ যোগ্যতা থাকা আবশ্যক:
ইসলামি শরিয়তের জ্ঞান (ফিকহ, কুরআন, হাদিসে দক্ষতা)
ন্যায়পরায়ণতা ও সৎচরিত্র।
জ্ঞান-বিচক্ষণতা ও নিরপেক্ষতা।
শৃঙ্খলা ও ধৈর্য।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
কাজী হলেন একজন ইসলামি বিচারক, যিনি সমাজে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা, বিবাদ মীমাংসা এবং শরিয়তভিত্তিক বিচার পরিচালনার গুরুদায়িত্ব পালন করেন। ইসলামে একজন কাজীর দায়িত্ব ও অবস্থান অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ এবং তাদের ন্যায়বিচার সমাজে শান্তি ও স্থিতি বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।