আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
19 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (18 points)

اَلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللّٰهِ وَبَرَكَاتُهُ

উপজেলায় যুব উন্নয়ন ও যুব মহিলা বিশেষ করে দরিদ্র মেয়েদের জন্য ৩ মাসের সেলাই প্রশিক্ষণ সেবা চালু আছে। কোর্সে ভর্তি হলে প্রশিক্ষণার্থীদের টাকাও প্রদান করা হয়। কোর্সে ভর্তির জন্য Nid, ৩ কপি ছবি, একাডেমিক সার্টিফিকেট ও নাগরিকত্ত্বের সনদ লাগে। 

আমি কোর্স করার জন্য  নাগরিকত্ত্বের সনদ বাদে বাকিগুলো ইতোমধ্যে জমা দিয়েছে। ছবি সহ জমা দিয়ে কোর্স করা জায়েজ?

কিন্তু আমরা সচ্ছল, আর্থিক সমস্যা নেই, আলহামদুলিল্লাহ।  এখানে কোর্স করে টাকা নেওয়া কি জায়েজ? এটা সরকারী কোর্স। প্রত্যেকের জন্যই আলাদা টাকা বরাদ্দ থাকে। 

আমার উদ্দেশ্য ছিলো শুধু সেলাই শেখা। যেহেতু সচারাচর অন্য কোথাও সেলাই কাজ শেখার সুযোগ পাওয়া যায় না। এজন্য সেখানে কোর্স করতে চাচ্ছি। 

জাযাকাল্লাহু খইরন ফিদ্দুনইয়া ওয়াল আখিরাহ

1 Answer

0 votes
by (639,720 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

ইসলামের মৌলিক বিধান হচ্ছে, 
প্রাণীর ছবি প্রয়োজন ছাড়া তোলা, সংরক্ষণ করা, প্রকাশ করা, ব্যবহার করা হারাম।  

হাদিস শরীফে এসেছে,

قال حدثنا الاعمش عن مسلم قال كنا مع مسروق فى دار يسار بن نمير فراى فى صفته تماثيل فقال سمعت عبد الله قال سمعت النبى ﷺ يقول ان اشد الناس عذابا عند الله المصورون

আ’মাশ তিনি  মুসলিম হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি মাসরুকের  সঙ্গে ইয়াসার ইবনে নুমাইরের ঘরে ছিলাম, তিন ঘরের মধ্যে প্রাণীর ছবি দেখতে পেলেন, অতঃপর বললেন, আমি হযরত আব্দুল্লাহ্  রাযি.-এর নিকট শুনেছি, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, ‘নিশ্চয় মানুষের মধ্যে ঐ ব্যক্তিকে আল্লাহ্ তাআলা কঠিন শাস্তি দেবেন, যে ব্যক্তি প্রাণীর ছবি তোলে বা আঁকে।’ (বুখারী ২/৮৮০)

ছবি তোলা হারাম কেন,জানুনঃ

প্রয়োজন ছাড়া ছবি তোলা, সংরক্ষণ করা, প্রকাশ করা, ব্যবহার করা নিঃসন্দেহে কোরআন, হাদিস, ইজমা ও কিয়াসের ভিত্তিতে সব ইমাম ও ফিকহ বিশেষজ্ঞ ও সমকালীন মুফতিদের মতে হারাম। 

তবে পরিচয়পত্র এবং পাসপোর্ট তৈরি বা এজাতীয় বিশেষ প্রয়োজনে ফটো তোলা, সংরক্ষণ করা, প্রকাশ করা, ব্যবহার করা যায়। (ফিকহি মাকালাত; তকি উসমানী : ৪/১২৩)

অহেতুক ছবি তোলা জায়েজ নয়। কিন্তু বাধ্য হলে জায়েজ আছে। 

قَاعِدَة الضرورات تبيح الْمَحْظُورَات

তীব্র প্রয়োজন হারামকে হালাল করে দেয়। [কাওয়ায়েদুল ফিক্বহ, কায়দা নং-১৭০] 

قَاعِدَة الضرورات تقدر بِقَدرِهَا

জরুরত তার সীমায় সীমিত থাকবে। [কাওয়ায়েদুল ফিক্বহ, কায়দা নং-১৭১] 
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনি যদি নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক হন,তথা আপনার উপর যদি যাকাত ফরজ হয়,সেক্ষেত্রে দরিদ্র মেয়েদের জন্য ৩ মাসের সেলাই প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশগ্রহণ জায়েজ হবেনা,কোর্স করে টাকা নেয়াও জায়েজ হবেনা।

আপনি যদি নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক।না হন,তথা আপনার উপর যদি যাকাত ফরজ না হয়ে থাকে,সেক্ষেত্রে দরিদ্র মেয়েদের জন্য ৩ মাসের সেলাই প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশগ্রহণ জায়েজ হবে,কোর্স করে টাকা নেয়াও জায়েজ হবে।
এক্ষেত্রে কাজটি শেখা আপনার জন্য খুবই জরুরতের অন্তর্ভুক্ত হলে সেক্ষেত্রে ছবি দেয়া জায়েজ হবে।

কাজটি শেখা আপনার জন্য খুবই জরুরতের অন্তর্ভুক্ত না হলে সেক্ষেত্রে ছবি দেয়া জায়েজ হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...