জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছে, ইবনে আববাস রাযি. থেকে বর্ণিত, নবী করীম ﷺ বলেছেন,
لاَ تُسَافِرِ الْمَرْأَةُ إِلاَّ مَعَ ذِي مَحْرَمٍ، وَلاَ يَدْخُلُ عَلَيْهَا رَجُلٌ إِلاَّ وَمَعَهَا مَحْرَمٌ ”. فَقَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أُرِيدُ أَنْ أَخْرُجَ فِي جَيْشِ كَذَا وَكَذَا، وَامْرَأَتِي تُرِيدُ الْحَجَّ. فَقَالَ ” اخْرُجْ مَعَهَا
কোনো মহিলা তার মাহরাম ব্যতিরেকে সফর করবে না এবং কোনো পুরুষ মাহরাম ছাড়া কোনো মহিলার নিকট যাবে না। অতপর এক ব্যক্তি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি অমুক সৈন্যদলের সাথে জিহাদে যেতে চাই আর আমার স্ত্রী হজে যেতে চায়। নবী করীম ﷺ বললেন, তুমিও তার সাথে হজে যাও। (সহীহ বুখারী ১৭৪০)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عن أبي سعيد الخدري قال قال رسول الله صلى الله عليه و سلم لا يحل لإمرأة تؤمن بالله واليوم الآخر أن تسافر سفرا يكون ثلاثة أيام فصاعدا إلا ومعها أبوها أو ابنها أو زوجها أو أخوها أو ذو محرم منها
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ আল্লাহ তাআলা এবং কিয়ামত দিবসের উপর ঈমান রাখেএমন কোন মহিলার জন্য জায়েজ নয়, তিন দিন বা এর চেয়ে অধিক দিনের সফর করে অথচ তার সাথে তার পিতা, তার ছেলে, বা তার স্বামী বা তার ভাই কিংবা কোন মাহরাম না থাকে। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৪২৩}
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার শাশুড়ির জন্য এভাবে মহরম পুরুষ ছাড়া সৌদি আরবে যাওয়া জায়েজ হবে না।
ওই এক সপ্তাহ আপনি এবং আপনার শাশুড়ি মিলে মক্কায় ইবাদত করতে পারবেন।
তবে যেহেতু হানাফী ওলামায়ে কেরামগণ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের ক্ষেত্রে নারীদের জন্য ঘরেই বা হোটেলেই আদায় করাকে উত্তম বলেছেন,সুতরাং সেটির উপর আমল করার পরামর্শ থাকবে।
(০২)
আপনি বাচ্চাটি পাখির মা আসলে দিয়ে দিবেন।
পাখির মা না আসলে যথা সম্ভব পাখির মাকে খোঁজাখুঁজি করার চেষ্টা করবেন।
(০৩)
ভীতু স্বভাব প্রাকৃতিক, কিন্তু যদি তা জীবনের পথ রোধ করে, তাহলে সেটিকে মোকাবিলা করা দরকার — আত্মবিশ্বাস গড়ে তুলে, ধীরে ধীরে ভয় কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করে।
(০৪)
এক্ষেত্রে সাড়ে চার গ্রামের কম ওজনের রূপার আংটি পুরুষের জন্য জায়েজ।
বিস্তারিত জানুনঃ-