আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
33 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (23 points)
edited by

আস সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহ,

আমি ২মাস ২৭দিনের গর্ভবতী ছিলাম, গতকাল আমার প্রচুর রক্তপাতের সাথে গর্ভপাত হয় এবং ওয়াশ করানো হয় ।
এখনো মাঝারি ব্লিডিং হচ্ছে, এটা অফ হতে সময় লাগতে পারে । আমার প্রশ্ন হচ্ছে,

১) ২মাস ২৭দিনের বাচ্চা গর্ভপাতের পর ব্লিডিং হওয়াকে হায়েজ ধরবো নাকি নেফাস?

২) যদি হায়েজ হয় তাহলে ব্লিডিং অফ না হলে মাসআলা ইস্তিহাযার দিকে যেতে পারে, তখন রক্তাক্ত প্যাড পড়া অবস্থায় নামাজ পড়তে পারবো? প্যাড ছাড়া নামাজ পড়তে গেলে রক্ত জায়নামাজে পড়ার আশংকা আছে । 

৩) যদি নেফাস হয় তাহলে ব্লিডিং ৪০দিন পর্যন্ত হোক বা না হোক ততদিন অবধি নামাজ/কুরআন থেকে বিরত থাকতে হবে?

একটু বিস্তারিত বুঝিয়ে বললে মুনাসিব উস্তায, 

1 Answer

0 votes
by (676,920 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
যদি চার মাস বা তার চেয়ে বেশী সময়ের পর গর্ভপাত হয় তাহলে গর্ভপাত পরবর্তী নেফাস হিসেবে গণ্য হবে।আর চার মাসের পূর্বে গর্ভপাত হলে সে রক্তকে হায়েয গণ্য করা হবে যদি তা তিনদিন বা তার চেয়ে বেশী সময় অতিবাহিত হয়।আর তিনদিনের কম বা দশদিনের বেশী সময় অতিবাহিত হলে সে রক্তকে ইস্তেহাযার রক্ত হিসেবে গণ্য করা হবে।(আহসানুল ফাতাওয়া-২/৭১)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1570


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি চার মাসে আগেই গর্ভপাত হয়, তাহলে ১০ দিনের কম রক্তস্রাব হায়েয হিসেবে গণ্য হবে। কিন্তু যদি তিন দিনের কম বা ১০ দিনের বেশী হয়, তাহলে সেটা ইস্তেহাযা হিসেবে গণ্য হবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/7474

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) ২মাস ২৭দিনের বাচ্চা গর্ভপাতের পর ব্লিডিং হওয়াকে হায়েজ ধরবেন।

(২) যদি ১০ দিনের ভিতর হায়েয বন্ধ না হয়, তাহলে সেই রক্তস্রাবকে ইস্তেহাযা হিসেবে বিবেচনা করা হবে । ইস্তেহাযা অবস্থায় রক্তা প্রবাহিত হওয়া ব্যতিত যদি  ২/৪ রাকাত নামায পড়া সম্ভব না হয়, তাহলে তখন রক্তাক্ত প্যাড নিয়েও নামায পড়া যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (23 points)
উস্তায, ২নং প্রশ্নের উত্তরটা একটু অস্পষ্ট লাগছে, বুঝতে পারিনি । 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 711 views
...