বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হাদীস শরীফে এসেছে.....
ﻋَﻦْ ﺍﺑْﻦِ ﻋُﻤَﺮَ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻣَﻦْ ﺗَﺸَﺒَّﻪَ ﺑِﻘَﻮْﻡٍ ﻓَﻬُﻮَ ﻣِﻨْﻬُﻢْ ) ﺭﻭﺍﻩ ﺃﺑﻮ ﺩﺍﻭﺩ ( ﺍﻟﻠﺒﺎﺱ / 3512 ) ﻗﺎﻝ ﺍﻷﻟﺒﺎﻧﻲ ﻓﻲ ﺻﺤﻴﺢ ﺃﺑﻲ ﺩﺍﻭﺩ : ﺣﺴﻦ ﺻﺤﻴﺢ . ﺑﺮﻗﻢ ( 3401
হযরত ইবনে উমর রাঃ থেকে বর্ণিত,রাসুলুল্লাহ বলেন যে ব্যক্তি অন্য গোত্রে (অমুসলিম)-র অনুসরণ করবে সে তাদের-ই অন্তর্ভুক্ত হবে।
(আবু-দাউদ-৩৫১২)ইমদাদুল ফাতাওয়া,৪/২৬৬।
সাদৃশ্য গ্রহণ তিন ভাবে হতে পারে।
(১)ফিতরী তথা জন্মগত বিষয়ে সাদৃশ্য গ্রহণ। এটা হারাম হবে না।
(২)পদ্ধতির অনুসরণ।যেমন তারা যেভাবে খাবার গ্রহণ করে বা হাটাচলা করে,তাদের এগুলোর অনুসরণ।এগুলো হারাম হবে তখন যদি পূর্ব থেকেই মুসলমানদের আলাদা কোনো পদ্ধতি থাকে।
(৩)কাফিরদের ধর্মীয় বিষয়ের অনুসরণ। এটা সর্বাবস্থায় হারাম।(ইমদাদুল আহকাম-১/২৮৫)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/11420
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) স্ত্রী মিলনের আয়োজন হিসেবে বা একে আনন্দঘন করতে যদি কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়, উদাহরণ স্বরুপ- মোমবাতি জ্বালানো, ক্যান্ডললিট ডিনার ইত্যাদি...এবং মিলন শুরু হওয়ার পর যা করা হয়, উদাহরণ স্বরূপ- বিভিন্ন পজিশন নেয়া ইত্যাদি; এগুলো বিধর্মী ও অশ্লীল নারীদের অনুকরণ হিসেবে নিষিদ্ধ হবে না। বিশেষত এটা যদি কাফিরদের মধ্যে বিশেষ যত্নসহকারে পালন করা হয়, তাহলে এত্থেকে দূরে থাকাই উচিত।
(২) বিশেষ মূহুর্তে স্ত্রীদের পড়ার জন্য নারীদের যেসব বিশেষ পোশাক বা নাইটওয়্যার পাওয়া যায়, সেগুলোর পরিধানও হারাম হবে না। তবে অনুত্তম। যেহেতু এইসব পোষাক পুরুষদের বেশি ডিসট্রাক্ট করে ও গুনাহগার করে ফেলে, এগুলোর ফিতনা থেকে বাঁচার জন্য সেসব পোশাক স্ত্রীদের পড়িয়ে উপভোগ করা নাজায়েয হবে না। তবে এগুলো পরিধান না করাই উত্তম।
