আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
38 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (13 points)
জাস্ট জানার উদ্দেশ্যে...ইসলামি দৃষ্টিকোন থেকে হালাল প্রোডাক্ট/এডুকেশনাল কন্টেন্ট এর মিউজিক/মেয়ের ছবি ব্যবহার এর হুকুম কি?


প্রোডাক্ট, এডুকেশনাল বা যেকোনো ভিডিওতে যে মিউজিক্যাল ইনস্ট্রুমেন্ট বা ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক (ন্যাচারাল ছাড়া) ব্যবহার করা হয়, সেগুলো তো ইসলামে স্পষ্টভাবে হারাম বলা হয়, তাই না?


*তাহলে আমার প্রশ্ন হলো...*
ধরুন কেউ হালাল প্রোডাক্টের ব্যবসা করছে বা অনলাইনে পড়াচ্ছে, কিন্তু সে তার মার্কেটিংয়ের জন্য প্রোডাক্ট/লেকচারের সঙ্গে ব্যাকগ্রাউন্ডে মিউজিক বা গান ব্যবহার করছে।
১...এক্ষেত্রে কি তার ইনকাম পুরোটা হারাম হয়ে যাবে?
নাকি শুধুমাত্র মিউজিক যুক্ত করার জন্য সে গুনাহগার হবে, কারণ প্রোডাক্ট তো হালাল—সে শুধু রিচ বা প্রচারের জন্য মিউজিক ইউজ করছে?


আরেকটি বিষয়...
অনলাইনে যারা পড়ান, তারাও রিচ বাড়ানোর জন্য স্যাড, মোটিভেশনাল, বা ডিপ্রেসড থিমে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ব্যবহার করেন।  তাদের পড়ানো হালাল এবং পরিশ্রমের কিন্ত প্রমোশন হচ্ছে মিউজিক দিয়ে। তাহলে

২..এখানে কি হালাল-হারাম মিক্সড হয়ে ইনকাম হচ্ছে।?


বা আমার কোচিং এর কোনো মেয়ে ফার্স্ট হওয়ার আমি তার ছবি ফেসবুকে পোস্ট দিলাম,এখন এই যে আমার পোস্টের মাধ্যমে মেয়েকে সবাই দেখলো।
৩..এতে কি আমার গুনাহ হচ্ছে না,বা এক্ষেত্রে কি করা উচিত?
তাহলে ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে এই বিষয়ে শরীয়াহ কী বলে?
বি.দ্র:
ইসলামে পাপ করা আর পাপ প্রমোট করা—দুটোই সমান গুনাহ।
যেমন ধরুন, আমি আমার প্রোডাক্টের ভিডিওতে এমন একটি গান বা টোন ব্যবহার করলাম, যেটা আপনি আগে কখনো শোনেননি। আপনি আমার ভিডিও দেখে সেই গান ইউটিউবে সার্চ দিয়ে শুনতে লাগলেন।
তাহলে আমি তো আপনার এই গুনাহের কারণ হয়ে গেলাম, তাই না?
আপনি গান শোনার সুযোগ পেলেন আমার ভিডিওর মাধ্যমে—সেই হিসেবে আপনার গুনাহের অংশ আমিও পাবো।

1 Answer

0 votes
by (676,920 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হালাল প্রোডাক্ট/এডুকেশনাল কন্টেন্টে মিউজিক/মেয়ের ছবি ব্যবহার করা নাজায়েয ও হারাম।

প্রোডাক্ট, এডুকেশনাল বা যেকোনো ভিডিওতে যে মিউজিক্যাল ইনস্ট্রুমেন্ট বা ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক (ন্যাচারাল ছাড়া) ব্যবহার করা হয়, সেগুলো ইসলামে স্পষ্টভাবে হারাম বলা হয়।


(১)এক্ষেত্রে তার ইনকাম পুরোটা হারাম হবে না। 
শুধুমাত্র মিউজিক যুক্ত করার জন্য সে গুনাহগার হবে।

অনলাইনে রিচ বাড়ানোর জন্য স্যাড, মোটিভেশনাল, বা ডিপ্রেসড থিমে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ব্যবহার করাও নাজায়েয ও হারাম। তবে তার পারিশ্রমিক হারাম হবে না 

(২) কোচিং এর কোনো মেয়ে ফার্স্ট হওয়ায় যদি তার ছবি ফেসবুকে পোস্ট দেয়া হয়,এখন এই পোস্টের মাধ্যমে মেয়েকে যে, সবাই দেখলো। এজন্য যিনি পোষ্ট করবেন তিনি গোনাহগার হবেন। 

(৩)ইনকাম হারাম হবে না। তবে মিউজিক সেট বা ছবি পোষ্টের গোনাহ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...