আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
82 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ। আসলে আমি যে ব্যাপারটা জানতে চাই সেটা নিয়ে কিছুটা দ্বিধায় আছি।

আমি একজনকে শুধুই তার দ্বীনদারিতা দেখে ভালোবেসে ফেলেছি এবং রবের কাছে উনাকে চাইছি হালাল করে।কখনো কথা কিংবা দেখা সাক্ষাৎ কিছুই হয় নি কেবল দ্বীনদারিতার কথা শুনেই আমার হৃদয় আকৃষ্ট হচ্ছে। কখনো খারাপ চিন্তাও মাথায় আসে নি এই ব্যাপারে।

আর উনাকে চাওয়ার উছিলায় কিনা জানি না আমার ইবাদত, রবের প্রতি ভালোবাসা মনে হচ্ছে বহুগুণে বৃদ্ধি পাচ্ছে।মনে হচ্ছে এই ব্যাপারটা আমাকে রবের কাছাকাছি নিয়ে যাচ্ছে....শুধু উনাকে চাওয়ার ব্যাপার না সাথে নিজের গুণাহ-গাফিলতির কারণে তাওবা, অনুশোচনা এসব যুক্ত হচ্ছে আর রবের প্রিয় হওয়ার তীব্র আকাঙ্খা মনে তৈরি হয়েছে যেটা আগে ছিলো না তেমন।


এখন আমার কয়েকটি প্রশ্ন হচ্ছে—

১) কেবল দ্বীনদারিতার কথা শুনে হলেও উনাকে আমার মুনাজাতে চাওয়া কি ঠিক হচ্ছে কিংবা জায়েজ আছে?...যেহেতু উনি আমার জন্য এখন নন মাহরাম।

২) এই ভালোবাসা যদি ইবাদতকে বাড়িয়ে দেয় তাহলে সেটা কি দ্বীনের পথে অগ্রসর হওয়ার এক উসিলা হিসেবে গ্রহণযোগ্য মনে করা যায়? নাকি তা কেবলই নিজস্বার্থ বা নফসের তাড়না?

৩) আমি কি তাকে ভালোবেসে নিজের রবকে ভালোবাসার পথে বেশি দৃঢ় হচ্ছি, নাকি রবকে ভালোবাসতে গিয়ে তাকে ভালোবেসে ফেলেছি—এটা কিভাবে বুঝবো?
৪) এই ইচ্ছা কি প্রকৃতপক্ষে আমাকে রবের কাছাকাছি নিয়ে যাচ্ছে নাকি রবকে আমার প্রতি অসন্তুষ্ট করছি?
কুরআন—হাদিসে এ সম্পর্কে ব্যাখ্যা কি? যদি এ ধরনের ইচ্ছা বা চাওয়া আমার রবকে অসন্তুষ্ট করে তোলে তাহলে আমি এর থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিবো ইনশাআল্লাহ

গুছিয়ে কথা বলতে না পারার জন্য আন্তরিকভাবে আফওয়ান। তবে এগুলোর উত্তর জানা আমার জন্য খুবই জরুরি।

ভুলত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন মিন ফাদ্বলিক।

1 Answer

0 votes
by (688,920 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
وَعَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ -: أَنَّ النَّبِيَّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَالَ: " «يَكُونُ فِي آخِرِ الزَّمَانِ أَقْوَامٌ، إِخْوَانُ الْعَلَانِيَةِ، أَعْدَاءُ السَّرِيرَةِ ". فَقِيلَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ! وَكَيْفَ يَكُونُ ذَلِكَ؟ قَالَ: ذَلِكَ بِرَغْبَةِ بَعْضِهِمْ إِلَى بَعْضٍ، وَرَهْبَةِ بَعْضِهِمْ لِبَعْضٍ» "
মু’আয ইবনু জাবাল (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী (সা.) বলেছেন: শেষকালে এমন কতক সম্প্রদায়ের আগমন ঘটবে যারা দৃশ্যত হবে বন্ধু, পক্ষান্তেরে গোপনে হবে শত্রু। তখন জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রসূল! তা কিভাবে হবে? তিনি (সা.) বললেন, তাদের কেউ কারো কাছ থেকে স্বার্থের বশীভূত এবং একে অন্যের পক্ষ থেকে ভীত হওয়ার কারণে।(মিশকাত-৫৩৩০)

মোল্লা আলী কারী রাহ লিখেন,
 وخلاصته: أنه لا عبرة بمحبة الخلق وعداوتهم، فإنهما مبنيتان على غرضهم وشهوتهم-
মর্মার্থ- বাহ্যিকভাবে আল্লাহর জন্য মহব্বত যা বস্তুত দুনিয়ার কোনো স্বার্থে হয়ে সেই মহব্বতের কেনো ধর্তব্য নেই। বরং ঐ মহব্বতই ধর্তব্য যা বাস্তবে দুনিয়ার স্বার্থ ব্যতিত শুধুমাত্র আল্লাহর জন্যই হয়ে থাকে।

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/92522

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কোন মহব্বত আল্লাহর জন্য তা বুঝা মুশকিল। তাছাড়া হারামের কাছাকাছি ঘুরাঘুরি করলে হারামে পতিত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশী। কাজেই এই মহব্বত থেকে দূরে চলে আসা অতীব জরুরী। যদি পছন্দই হয়, তাহলে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বিয়ে করে নেয়াই উচিত। যদি মনে করেন, ফিতনাতে জড়াবেন না, তাহলে তার প্রতি মহব্বত রেখে আমলে উন্নতি সাধন করতে পারবেন। কিন্তু এটা অত্যান্ত কঠিন কাজ।


(১) দ্বীনদারিতার দরুণ উনাকে মুনাজাতে চাইতে পারবেন। 

(২) যদি ইবাদতকে বাড়িয়ে দেয়, এবং ফিতনাতে জড়ানোর কোনো সম্ভাবনা না থাকে, তাহলে এটা দ্বীনের পথে অগ্রসর হওয়ার উসিলা হিসেবে গ্রহণযোগ্য মনে করা যাবে। 

(৩) যদি তার ভালবাসা মন থেকে ফেলে দিলে দেখেন, রবের প্রতি টান অনুভব হচ্ছে না, তাহলে বুঝতে হবে  রবকে ভালোবাসতে গিয়ে তাকেই ভালোবেসে ফেলেছেন।

(৪) ৩ নং প্রশ্নের জবাব অনুযায়ী যদি দেখেন, রবের প্রতি টান অনুভব হচ্ছে না, তাহলে তার প্রতি মহব্বতকে কোনো জায়গা দিবেন না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

No related questions found

...