ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
وَعَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ -: أَنَّ النَّبِيَّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَالَ: " «يَكُونُ فِي آخِرِ الزَّمَانِ أَقْوَامٌ، إِخْوَانُ الْعَلَانِيَةِ، أَعْدَاءُ السَّرِيرَةِ ". فَقِيلَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ! وَكَيْفَ يَكُونُ ذَلِكَ؟ قَالَ: ذَلِكَ بِرَغْبَةِ بَعْضِهِمْ إِلَى بَعْضٍ، وَرَهْبَةِ بَعْضِهِمْ لِبَعْضٍ» "
মু’আয ইবনু জাবাল (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী (সা.) বলেছেন: শেষকালে এমন কতক সম্প্রদায়ের আগমন ঘটবে যারা দৃশ্যত হবে বন্ধু, পক্ষান্তেরে গোপনে হবে শত্রু। তখন জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রসূল! তা কিভাবে হবে? তিনি (সা.) বললেন, তাদের কেউ কারো কাছ থেকে স্বার্থের বশীভূত এবং একে অন্যের পক্ষ থেকে ভীত হওয়ার কারণে।(মিশকাত-৫৩৩০)
মোল্লা আলী কারী রাহ লিখেন,
وخلاصته: أنه لا عبرة بمحبة الخلق وعداوتهم، فإنهما مبنيتان على غرضهم وشهوتهم-
মর্মার্থ- বাহ্যিকভাবে আল্লাহর জন্য মহব্বত যা বস্তুত দুনিয়ার কোনো স্বার্থে হয়ে সেই মহব্বতের কেনো ধর্তব্য নেই। বরং ঐ মহব্বতই ধর্তব্য যা বাস্তবে দুনিয়ার স্বার্থ ব্যতিত শুধুমাত্র আল্লাহর জন্যই হয়ে থাকে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কোন মহব্বত আল্লাহর জন্য তা বুঝা মুশকিল। তাছাড়া হারামের কাছাকাছি ঘুরাঘুরি করলে হারামে পতিত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশী। কাজেই এই মহব্বত থেকে দূরে চলে আসা অতীব জরুরী। যদি পছন্দই হয়, তাহলে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বিয়ে করে নেয়াই উচিত। যদি মনে করেন, ফিতনাতে জড়াবেন না, তাহলে তার প্রতি মহব্বত রেখে আমলে উন্নতি সাধন করতে পারবেন। কিন্তু এটা অত্যান্ত কঠিন কাজ।
(১) দ্বীনদারিতার দরুণ উনাকে মুনাজাতে চাইতে পারবেন।
(২) যদি ইবাদতকে বাড়িয়ে দেয়, এবং ফিতনাতে জড়ানোর কোনো সম্ভাবনা না থাকে, তাহলে এটা দ্বীনের পথে অগ্রসর হওয়ার উসিলা হিসেবে গ্রহণযোগ্য মনে করা যাবে।
(৩) যদি তার ভালবাসা মন থেকে ফেলে দিলে দেখেন, রবের প্রতি টান অনুভব হচ্ছে না, তাহলে বুঝতে হবে রবকে ভালোবাসতে গিয়ে তাকেই ভালোবেসে ফেলেছেন।
(৪) ৩ নং প্রশ্নের জবাব অনুযায়ী যদি দেখেন, রবের প্রতি টান অনুভব হচ্ছে না, তাহলে তার প্রতি মহব্বতকে কোনো জায়গা দিবেন না।