আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
25 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (21 points)
السلام عليكم و رحمة الله و بركاته
উস্তায আমি আজকে সকালে অনলাইনে দারস চলাবস্থায় ঘুমিয়ে পরি। সকাল ৫.২০ হবে হয়ত।
★এরপর আমি স্বপ্ন দেখি অনেকগুলো জীবিত মাছ ধরেছি বা আব্বা নিয়ে এসেছে। সেগুলো মাকে দিয়েছি। এরপর আরও মাছ ছিল আমি সেখান থেকে, জীবিত দেখতে সুন্দর চিংড়ি মাছগুলোকে ইঙ্গিত করে বলতেছিলাম, মা আমি কী এই মাছগুলোও উঠাব? মা বললেন হ্যা বাটিতে করে ঘরে নিয়া আয়।
★এরপর দেখি আমি আমার কাকিদের বাসায়। অনেএএক মেহমান। পুকুর পাড়ে কেউ কেউ গোসল করছে। আমি ওয়াশরুমে গিয়েছি সেটা দুজন ছেলে (আমার ক্লাসমেট একজন আর একজন গেস্ট) সেদিকে আসতে ছিল। আমি এটা দেখে খুব রাগান্বিত হয়ে চলে এসেছি সেখান থেকে (পর্দা করাই ছিলাম)।
★এরপর দেখি আমি আমাদের দরজায় হাটতে গিয়েছি। যেয়ে দেখি পরিবেশ এত্তো সুন্দর করেছে চোখ ফেরানো যাচ্ছে না। রাস্তার পাশে আমার দাদা দাদুর কবর খুব সুন্দর করে করেছে, এর একটু সামনে দিয়ে আমার এক ফুফু বাড়ি। সেখানে যাওয়ার পথ এত্তো সুন্দর করেছে যে দেখে আমি শুধু তাকিয়েই ছিলাম। চারদিকে সাদা বালু। সাদা মানে একদম শরৎ কালের সাদা মেঘের চেয়েও সাদা বালু দিয়ে রাস্তা থেকে শুরু করে সব কিছু সাজানো, কিন্তু রাস্তার চারপাশে আবার পানি। এরপর দেখি আমাদের দরজা থেকে ফুফু বাড়ি যাওয়ার রাস্তা সাদা বালু দিয়ে কিন্তু ফুফু বাড়ির উঠোন পর্যন্ত না যেয়ে রাস্তাটা উঠান বরাবর একদম সোজা গিয়েছে। আমি ভাবছিলাম একটু এঙ্গেল করে দিলেই তো বাড়িতে ঢুকা সহজ হতো! কী জানি হয়ত পরেও করতে পারে।
এটা ভাবতে ভাবতে দেখি আমার এক কাকি, এবং এক ভাইজি এসেছে সেখানে। রাস্তার পাশে একটা ছোট কুয়া সেখানে কিছু মূল্যবান জিনিস পরে ছিল। আমার কাকি আমাকে দেখিয়ে বললো একটা লোক এক্সিডেন্ট করেছে (সম্ভবত সে মারা গিয়েছে এমনটা বলেছিল)। সেই ব্যক্তির মূল্যবান জিনিসগুলো তারা টেনে তুলে নিচ্ছিল।

★এরপর দেখি আমি আমাদের বাসায়। অনেক বড়ো করে আয়োজন হচ্ছে। যখন ন কোনো বিয়ের আয়োজন। আন্টি, মা, ভাবি সবাই রান্নাবান্নায় ব্যস্ত। আমি মোবাইল চেক করে দেখি মেইল আসছে। যার সাথে বিয়ে হওয়ার কথা তিনিই মেইল দিয়েছেন। লম্বা মেসেজ, অনেকগুলো আমলের স্ক্রিনশট দিয়েছেন (২৫-৩০ টা)। মেসেজের একটা পয়েন্টে বলেছে তিনি বিয়ে করেছেন, তার একটা ছেলে আছে সে ছেলে (২বছর বয়স) সে আসবে আমাদের বাসায়।

এটা দেখে আমি খুব রেগে যাই। পরক্ষণেই ভাবি এতো রাগলে হবে না ঠান্ডা মাথায়। আমি পরক্ষণেই মেসেজ করি, আপনি বিয়ে করেছেন সেটা লুকিয়েছেন কেন। পরে সে বলে এ বিষয়টা কেউই জানে না শুধু তিনিই জানেন তাই আমাদেরকে জানাননি। এরপর আমি আমার ভাইয়াকে জানাতে যাব অমনি ঘুম ভেঙে যায়। সকাল ঠিক ৭.০০ টার সময়।

বি.দ্র. স্বপ্নে যে ছেলেকে দেখেছি তার সাথে বাস্তবে বিয়ের আলোচনা চলছে।
এ স্বপ্নগুলোর ব্যাখ্যা কি হবে উস্তায?

1 Answer

0 votes
by (636,510 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

ইসলামী দৃষ্টিতে স্বপ্ন তিন প্রকার। 
,
১. যা আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দাহকে দেখানো হয় যা কল্যানকর হয়।

২. শয়তানের পক্ষ হতে দেখানো হয় যাতে মানুষ খারাপ, মন্দ ভয়ংকর কিছু দেখে থাকে।
তবে শয়তান স্বপ্ন দেখানোর দ্বারা মানুষের কোন ক্ষতি করতে পারেনা।
,
ভয়ংকর স্বপ্ন দেখলে দুশ্চিন্তার কোন কারন নেই। শয়তান মানুষকে দুশ্চিন্তায় ফেলার জন্যই এমন সব আজব আজব জিনিস দেখায়। এমনটা দেখলে ঘুম থেকে জেগে বাম দিকে থুথু ফেলে আস্তাগফিরুল্লাহ বলতে হয়। 

৩. মানুষের কল্পনা। অর্থাৎ মানুষ যা কল্পনা করে স্বপ্নে তা দেখতে পায়। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الرُّؤْيَا الْحَسَنَةُ مِنَ الرَّجُلِ الصَّالِحِ جُزْءٌ مِنْ سِتَّةٍ وَأَرْبَعِينَ جُزْءًا مِنَ النُّبُوَّةِ ".

আবদুল্লাহ ইবনু মাসলামা (রহঃ) ... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নেককার লোকের ভাল স্বপ্ন নবুয়তের ছেচল্লিশ ভাগের এক ভাগ।
(বুখারী শরীফ ৬৫১২)

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى ـ هُوَ ابْنُ سَعِيدٍ ـ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سَلَمَةَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا قَتَادَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الرُّؤْيَا مِنَ اللَّهِ، وَالْحُلْمُ مِنَ الشَّيْطَانِ ".

আহমাদ ইবনু ইউনুস (রহঃ) ... আবূ কাতাদা (রাঃ) সূত্রে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ ভাল স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়ে থাকে আর অশুভ স্বপ্ন শয়তানের পক্ষ থেকে হয়ে থাকে।
(৬৫১৩)

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، حَدَّثَنِي ابْنُ الْهَادِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ خَبَّابٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِذَا رَأَى أَحَدُكُمْ رُؤْيَا يُحِبُّهَا فَإِنَّمَا هِيَ مِنَ اللَّهِ، فَلْيَحْمَدِ اللَّهَ عَلَيْهَا، وَلْيُحَدِّثْ بِهَا، وَإِذَا رَأَى غَيْرَ ذَلِكَ مِمَّا يَكْرَهُ، فَإِنَّمَا هِيَ مِنَ الشَّيْطَانِ، فَلْيَسْتَعِذْ مِنْ شَرِّهَا، وَلاَ يَذْكُرْهَا لأَحَدٍ، فَإِنَّهَا لاَ تَضُرُّهُ ".

আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) ... আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছেন, যখন তোমাদের কেউ এমন স্বপ্ন দেখে, যা সে পছন্দ করে, তাহলে তা আল্লাহর পক্ষ থেকে। তাই সে যেন এর উপর আল্লাহর প্রশংসা করে এবং অন্যের কাছে তা বর্ণনা করে। আর যদি এর বিপরীত অপছন্দনীয় কিছু দেখে, তাহলে তা শয়তানের পক্ষ থেকে। তাই সে যেন এর অনিষ্টতা থেকে আল্লাহর আশ্রয় চায়। আর কারো কাছে যেন তা বর্ণনা না করে। তাহলে এ স্বপ্ন তার কোন ক্ষতি সাধন করবে না।
(বুখারী শরীফ ৬৫১৪)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
স্বপ্নে মাছ দেখার অর্থ হল, নিয়ামত পাওয়া। 
অর্থাৎ যিনি স্বপ্নে দেখেছেন, তিনি নিয়ামত পাবেন। 
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত স্বপ্নের দরুন আপনি নিয়ামাত প্রাপ্তা হবেন,ইনশাআল্লাহ। 

বাকি স্বপ্ন গুলো আপনার মনের কল্পনা প্রসূত স্বপ্ন বলেই মনে হচ্ছে।
অতিরিক্ত চিন্তা পরিহার করার পরামর্শ থাকবে। 

আরো জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

No related questions found

...