জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
দাফন শেষে কবরের পাশে অবস্থান করে নিচের আমলগুলোর কথা হাদিসে এসেছে—
মৃতের মাগফেরাতের জন্য এবং কবরের সওয়ালের জওয়াবে অটল থাকার জন্য দোয়া করা।
হজরত উসমান রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সা. যখন মৃতের দাফনকার্য সম্পন্ন করতেন তখন কবরের পাশে দাঁড়িয়ে বলতেন, তোমরা তোমাদের ভাইয়ের জন্য মাগফেরাত কামনা করো এবং (সওয়ালের-জওয়াবে) অটল থাকার জন্য দোয়া করো। কেননা এখনই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। (সুনানে আবু্ দাউদ: ৩২২৩)
দোয়াটি এভাবে করা যায়—
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ، اللَّهُمَّ ثَبِّتْهُ
উচ্চারণ: ‘আল্লা-হুম্মাগফির লাহু, আল্লা-হুম্মা সাববিতহু।’ অর্থাৎ ‘হে আল্লাহ! আপনি তাকে ক্ষমা করুন, হে আল্লাহ আপনি তাকে (প্রশ্নোত্তরের সময়) স্থির রাখুন।’
★মৃতের মাথার দিকে অবস্থান করে সুরা বাকারার শুরু এবং শেষের কিছু অংশ তেলাওয়াত করা।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রা. লাশ দাফনের পর তার মাথার দিকে অবস্থান করে সুরা বাকারার শুরু এবং শেষের অংশ পড়া পছন্দ করতেন। (সুনানে বায়হাকি: ৪/৫৬)
উল্লেখিত হাদিস অনুযায়ী, সংক্ষেপে আলিফ লাম মিম থেকে উলা-ইকা হুমুল মুফলিহুন পর্যন্ত এবং শেষের দিকে আমানাররাসুল থেকে ফানসুরনা আলাল কাউমিল কাফিরিন পর্যন্ত পড়তে পারেন অথবা চাইলে শুরু ও শেষের দিকে আরও বাড়িয়েও পড়তে পারেন।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
হে আল্লাহ আপনি তাকে (প্রশ্নোত্তরের সময়) স্থির রাখুন।’
(০২)
হে আল্লাহ আপনি তাকে ঈমানের উপর স্থির রাখুন।’
(০৩)
হ্যাঁ, এটি সুন্নাহের অন্তর্ভুক্ত।
তবে সুন্নাতে মুয়াক্কাদা নয়। সুতরাং এমনটি না করলে কোনো গুনাহ হবেনা।
(০৪)
"আল্লাহুম্মাক ফিনা বিমা শি'তা"
এর অর্থ, "হে আল্লাহ, আপনি যেভাবে চান, সেভাবে আমাদেরকে রক্ষা করুন"।
"আল্লাহুম্মাকফিনীহিম" অর্থ হল "হে আল্লাহ, আমাকে তাদের থেকে রক্ষা করুন" এবং "বিমা শি'তা" অর্থ "আপনি যেভাবে চান"। এই দুটি অংশ মিলিয়ে পুরো দোয়াটির অর্থ দাঁড়ায়, "হে আল্লাহ, আপনি যেভাবে চান, সেভাবে আমাকে তাদের থেকে রক্ষা করুন"।
(০৫)
এটা দোয়া ধরা যাবে।
হাদীসে এর কাছাকাছি বাক্য পাওয়া যায়।
عن أبي بكر الصديق رضي الله عنه قال:
(ارْتَحَلْنَا، وَالْقَوْمُ يَطْلُبُونَا، فَلَمْ يُدْرِكْنَا أَحَدٌ مِنْهُمْ إِلَّا سُرَاقَةُ بْنُ مَالِكِ بْنِ جُعْشُمٍ عَلَى فَرَسٍ لَهُ، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ ! هَذَا الطَّلَبُ قَدْ لَحِقَنَا . فَقَالَ: لَا تَحْزَنْ إِنَّ اللهَ مَعَنَا .
حَتَّى إِذَا دَنَا مِنَّا، فَكَانَ بَيْنَنَا وَبَيْنَهُ قَدْرُ رُمْحٍ أَوْ رُمْحَيْنِ أَوْ ثَلاثَةٍ، قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ ! هَذَا الطَّلَبُ قَدْ لَحِقَنَا . وَبَكَيْتُ . قَالَ: لِمَ تَبْكِي ؟ قَالَ: قُلْتُ: أَمَا وَاللهِ مَا عَلَى نَفْسِي أَبْكِي، وَلَكِنْ أَبْكِي عَلَيْكَ .
قَالَ: فَدَعَا عَلَيْهِ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: اللهُمَّ اكْفِنَاهُ بِمَا شِئْتَ .
فَسَاخَتْ قَوَائِمُ فَرَسِهِ إِلَى بَطْنِهَا فِي أَرْضٍ صَلْدٍ، وَوَثَبَ عَنْهَا، وَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ ! قَدْ عَلِمْتُ أَنَّ هَذَا عَمَلُكَ، فَادْعُ اللهَ أَنْ يُنْجِّيَنِي مِمَّا أَنَا فِيهِ، فَوَاللهِ لَأُعَمِّيَنَّ عَلَى مَنْ وَرَائِي مِنَ الطَّلَبِ، وَهَذِهِ كِنَانَتِي فَخُذْ مِنْهَا سَهْمًا، فَإِنَّكَ سَتَمُرُّ بِإِبِلِي وَغَنَمِي فِي مَوْضِعِ كَذَا وَكَذَا، فَخُذْ مِنْهَا حَاجَتَكَ . قَالَ: فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا حَاجَةَ لِي فِيهَا . قَالَ: وَدَعَا لَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأُطْلِقَ، فَرَجَعَ إِلَى أَصْحَابِهِ) رواه أحمد في "المسند" (1/181)
