ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) মেয়ে পক্ষ ছেলে পক্ষকে বিয়ের প্রস্তাব পাঠাতে পারবে।
(২) মুল্লা আলী কারী রাহ, উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,
(حتى ينكح) أي: كي أو إلى أن يتزوجها (أو يترك) أي: نكاحها قيل الخطبة منهية إذا كانا راضيين وتعين الصداق لكن إن تزوج الثاني تلك المرأة بغير إذن الأول صح النكاح ولكن يأثم. (متفق عليه)." (كتاب النكاح، باب إعلان النكاح والخطبة والشرط، ج:5، ص:2067، رقم:3144، ط: دار الفكر)
একজনের বিয়ের প্রস্তাবের উপর পরবর্তী জনের বিয়ের প্রস্তাব তখনই নিষিদ্ধ হবে যখন পূর্ববর্তী জনের বিয়ের প্রস্তাবের আলোকে উভয় বা উভয়ের পরিবার সন্তুষ্ট হয়ে মহর নির্ধারণ করে নিবে। মহর নির্ধারণ করার পর দ্বিতীয় কারো জন্য বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া জায়েয হবে না। তারপরও কেউ বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বিয়ে করে নিলে সেই বিয়ে শুদ্ধ হয়ে যাবে, এবং সে গোনাহগার হবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/6923
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
জ্বী, প্রশ্নের বিবরণমতে আপনি অন্য জায়গায় বিয়ের প্রস্তাব পাঠাতে পারবেন।
(৩) প্রস্তাব পাঠানোর পর যখন হ্যা না কিছুই জবাব আসবে না, এবং হাবভাব দ্বারা যখন বিশ্বাস হবে যে, আর ইতিবাচক জবাব আসবে না, তখন আর অপেক্ষা না করে, অন্যত্র চেষ্টা করা উচিত।