ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
হাকীম ইবনু মু‘আবিয়াহ আল-কুশাইরী (রহ.) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত।
وعَنْ مُعَاوِيَةَ الْقُشَيْرِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ : " قُلْتُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا حَقُّ زَوْجَةِ أَحَدِنَا عَلَيْهِ ؟ قَالَ : ( أَنْ تُطْعِمَهَا إِذَا طَعِمْتَ ، وَتَكْسُوَهَا إِذَا اكْتَسَيْتَ ، وَلَا تَضْرِبْ الْوَجْهَ ، وَلَا تُقَبِّحْ ، وَلَا تَهْجُرْ إِلَّا فِي الْبَيْتِ)
তিনি বলেন, একদা আমি বলি, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের কারো উপর তার স্ত্রীর কি হক রয়েছে? তিনি বললেনঃ তুমি যখন আহার করবে তাকেও আহার করাবে। তুমি পোশাক পরিধান করলে তাকেও পোশাক দিবে। তার মুখমন্ডলে মারবে না, তাকে গালমন্দ করবে না এবং পৃথক রাখতে হলে ঘরের মধ্যেই রাখবে।(আবু দাউদ-২১৪২,ইবনে মা'জা-১৮৫০)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/14190
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
স্ত্রীর ভরণপোষণ স্বামীর উপর ওয়াজিব। স্ত্রী যদি নিজ ভরণপোষণের হক স্বামীকে মাফ করে দেয়, তাহলে স্বামী গোনাহগার হবে না। সামর্থ্য না থাকাবস্থায় আপনি ভরণপোষণের ব্যাপারে স্ত্রীর কাছ থেকে মাফ চেয়েছিলেন। এখন যেহেতু আপনার ভরণপোষণের সামর্থ্য হয়েছে, তাই আপনি স্ত্রীকে আবার জিজ্ঞাসা করবেন। যদি সে না নেয়, তাহলে আপনার কোনো গোনাহ হবে না।
(২) এটা মনের কল্পনাপ্রসূত স্বপ্ন। যাইহোক, আপনি তার জন্য ঈসালে সওয়াব করবেন। তার নামে দান সদকাহ করে দিবেন।