সুরা জিনে আল্লাহ তায়ালা বলেন –
وَأَنَّهُ كَانَ رِجَالٌ مِّنَ الْإِنسِ يَعُوذُونَ بِرِجَالٍ مِّنَ الْجِنِّ فَزَادُوهُمْ رَهَقًا
অনেক মানুষ অনেক জিনের আশ্রয় নিত, ফলে তারা জিনদের অহংকার বাড়িয়ে দিত। (সুরা জিন, আয়াত ৬)
আল্লাহ তায়ালা আরো বলেন
وَيَوْمَ يَحْشُرُهُمْ جَمِيعًا يَا مَعْشَرَ الْجِنِّ قَدِ اسْتَكْثَرْتُم مِّنَ الْإِنسِ ۖ وَقَالَ أَوْلِيَاؤُهُم مِّنَ الْإِنسِ رَبَّنَا اسْتَمْتَعَ بَعْضُنَا بِبَعْضٍ وَبَلَغْنَا أَجَلَنَا الَّذِي أَجَّلْتَ لَنَا ۚ قَالَ النَّارُ مَثْوَاكُمْ خَالِدِينَ فِيهَا إِلَّا مَا شَاءَ اللَّهُ ۗ إِنَّ رَبَّكَ حَكِيمٌ عَلِيم.
যেদিন আল্লাহ সবাইকে একত্রিত করবেন, হে জিন সম্প্রদায়, তোমরা মানুষের মাঝে অনেককে তোমাদের অনুগামী করে নিয়েছ। মানুষদের মাঝে তাদের বন্ধুরা বলবেঃ হে আমাদের পালনকর্তা, “আমরা পরস্পরে পরস্পরের মাধ্যমে উপকার লাভ করেছি।” আর এখন আপনি আমাদের জন্যে যে সময় নির্ধারণ করেছিলেন, আমরা তাতে উপনীত হয়েছি।
তখন তাদের বলা হবে “আগুন হল তোমাদের বাসস্থান। সেখানে তোমরা চিরকাল অবস্থান করবে; আর আল্লাহ যেমন চাইবে..।” নিশ্চয় আপনার পালনকর্তা প্রজ্ঞাময়, মহাজ্ঞানী। (সুরা আন’আম, আয়াত ১২৮)
"পানিতে কেউ মারা গেলে সেক্ষেত্রে ডুবুরিরা উদ্ধার করতে গেলে তাদেরকে বলে যে আজ লাশ দিবে না, কাল লাশ দিবে"—এমন কথা আমরা অনেক সময় জেলেদের, ডুবুরিদের, বা গ্রামীণ অঞ্চলের মানুষের মুখে শুনে থাকি। এই ধরনের কথা সাধারণত বিশ্বাস ও অভিজ্ঞতার মিশ্রণ। এ সংক্রান্ত কথা সহীহ নয়
★মরদেহ ভেসে ওঠার সময় নির্ভর করে কিছু প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ার উপর:
একজন মানুষ পানিতে মারা গেলে, দেহটি প্রথমে ডুবে যায়।
কিছু সময় পর (সাধারণত ২৪ থেকে ৭২ ঘণ্টা) শরীরের ভিতরে পচন শুরু হয় এবং গ্যাস তৈরি হয় (যেমন মিথেন, হাইড্রোজেন সালফাইড)। এই গ্যাসের কারণে দেহটি হালকা হয়ে ভেসে ওঠে।
পানির তাপমাত্রা, স্রোত, মৃতদেহের গঠন—সবকিছু এই সময়ের ওপর প্রভাব ফেলে।
★"আজকে লাশ দিবে না, কালকে দিবে" —এটি মূলত অভিজ্ঞতাজনিত অনুমান:
ডুবুরিরা দীর্ঘ সময় কাজ করতে করতে বুঝে ফেলেন, কোন পরিস্থিতিতে কত সময় পর লাশ ভেসে উঠতে পারে।
তাই তারা প্রায়শই অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বলে থাকেন—"কাল সকালে লাশ ভেসে উঠবে।"
★পানির “শক্তি” বা আত্মিক দৃষ্টিভঙ্গি:
অনেক সংস্কৃতিতে পানি একটি আধ্যাত্মিক শক্তি হিসেবে বিবেচিত।
নদী বা সমুদ্রকে দেবতা রূপে দেখা হয়, যেমন ভারতের গঙ্গা নদী বা বাংলার পদ্মা নিয়ে লোককথা।
সেই ভাবনা থেকেই অনেকে মনে করেন, পানি নিজে সিদ্ধান্ত নেয় কবে লাশ দেবে।
তবে কেউ কেউ বলেন যে পানিতে জীন থাকে,সেক্ষেত্রে লাশটি নিয়ে তারাও কোনো সমস্যা করতে পারে।
(কিছু অংশ সংগৃহীত।)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
পানির মধ্যে এমন কোনো অলৌকিক "শক্তি" নেই যা ইচ্ছামতো লাশ দেয় বা দেয় না। তবে প্রাকৃতিক নিয়ম এবং ডুবুরিদের অভিজ্ঞতা মিলিয়ে অনেক সময় তাদের কথায় সত্যতা দেখা যায়, যেটা "অলৌকিক" মনে হয়।