আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
16 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (18 points)
আসসালামু আলাইকুম।
১. আমার মনে হয় যদিও আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টির সেরা জীব বলেছেন, বা ফেরেশতাদের কথাতে এরকম বুঝিয়েছেন যে শুধু মানুষ জ্বীন এগুলোই তারা জানে, অথবা নিয়ম-কানুনগুলো সব এই দুনিয়ার জন্য- কিন্তু আল্লাহ হয়তো এর বাইরেও আরো দুনিয়া আগে বানিয়েছেন বা পরেও বানাবেন যেগুলো আমরা জানিনা, যেগুলোর নিয়মগুলো অন্যরকম হবে। কিন্তু আমাদের সেগুলো নিয়ে বেশি ভাবা বা জানার দরকার নেই, সেটা আল্লাহই বুঝবেন। আবার এমন নাও হতে পারে। এরকম ভাবলে কি ইমান চলে যাবে?

২. গোসল করার সময় সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে করা নিয়ে কোনো এক শায়খের কথা শুনেছিলাম- "আল্লাহর প্রতি লজ্জা করে হলেও তো একটু কাপড় পরা উচিত"। তখন আমার মনে হয়েছিল যে আল্লাহই তো আমাদের বানিয়েছেন, তিনি তো জানেনই আমরা কেমন দেখতে, তার কাছে আবার লজ্জা কী? কিন্তু আবার আল্লাহ তো এটাও বলেছেন যে, যে লজ্জা মানুষকে পাপ করা থেকে আটকায় সে লজ্জা আল্লাহ পছন্দ করেন। কিন্তু ওটা তো খারাপ কাজের লজ্জা, শরীরের উপরে তো হাত নেই। আর নবীজি(সা.) তো শুধু 'কিরামান কাতিবিন' ফেরেশতার প্রতি লজ্জা পেয়ে কাপড় পরে গোসল করতে বলেছেন।  এরকম ভাবায় কি আমার ইমান চলে গিয়েছে? বা গুনাহ হবে?
৩. আমার এসিডিটির কারণে ঘর সম্পূর্ণ অন্ধকার করে ঘুমাতে দমবন্ধ লাগে৷ এজন্য পাশের একটা খালি ঘরের লাইট জ্বালিয়ে ঘুমাই৷ কিন্তু এটা তো অপচয়। কিন্তু আমার অল্প আলো বা ডিমলাইট ধরনের কিছুতেও খারাপ লাগে। লকডাউনে অসুখ হওয়ার পর থেকে সম্ভবত এমন। আমি এটার জন্য ডাক্তার দেখাব ইনশাআল্লাহ। ইসলামে রাতে ঘুমানোর সময় ঘর অন্ধকার নিয়ে কী বলা আছে? একদম সম্পূর্ণ অন্ধকার করা ভালো, নাকী একটু আলো রাখা ভালো?
by (18 points)
২. মানে বোঝাতে চাচ্ছি যে ফেরেশতারা লজ্জা পেতে পারেন কিন্তু আল্লাহর আমাদেরকে দেখে বিব্রত হওয়া বা লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই, এমন ভাবলে ইমান চলে যাবে কীনা

1 Answer

0 votes
by (634,530 points)
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০৩)
যেহেতু এটা আপনার ওযর,সুতরাং আপনি যদি পাশের একটা খালি ঘরের লাইট জ্বালিয়ে ঘুমান,সেক্ষেত্রে অপচয়ের গুনাহ হবেনা।

(১.২)
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...