আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
49 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
আসসালামু'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ।

আমরা ২ বোন। বাবা ২০০৫ সালে মারা গেছেন । দাদার জমি ওয়ারিশ সূত্রে পেয়ে বিক্রি করছি। আমার ৩ চাচা ২ ফুফু।  চাচাদের ১ জন ২০১৯ সালে আরেকজন ২০২১ সালে মারা গেছেন। তাদের ২ জনের‌ই ২ ছেলে ১ মেয়ে আছে। আর জীবিত চাচার ৩ মেয়ে। এখন জানতে চাচ্ছি চাচা ফুফুর কে কত অংশ আফসা পাবে?

1 Answer

0 votes
by (649,470 points)
জবাবঃ- 
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم

আল্লাহ তা’আলা বলেন, 

يُوصِيكُمُ اللَّهُ فِي أَوْلَادِكُمْ ۖ لِلذَّكَرِ مِثْلُ حَظِّ الْأُنثَيَيْنِ ۚ فَإِن كُنَّ نِسَاءً فَوْقَ اثْنَتَيْنِ فَلَهُنَّ ثُلُثَا مَا تَرَكَ ۖ وَإِن كَانَتْ وَاحِدَةً فَلَهَا النِّصْفُ ۚ وَلِأَبَوَيْهِ لِكُلِّ وَاحِدٍ مِّنْهُمَا السُّدُسُ مِمَّا تَرَكَ إِن كَانَ لَهُ وَلَدٌ ۚ فَإِن لَّمْ يَكُن لَّهُ وَلَدٌ وَوَرِثَهُ أَبَوَاهُ فَلِأُمِّهِ الثُّلُثُ ۚ فَإِن كَانَ لَهُ إِخْوَةٌ فَلِأُمِّهِ السُّدُسُ ۚ مِن بَعْدِ وَصِيَّةٍ يُوصِي بِهَا أَوْ دَيْنٍ ۗ آبَاؤُكُمْ وَأَبْنَاؤُكُمْ لَا تَدْرُونَ أَيُّهُمْ أَقْرَبُ لَكُمْ نَفْعًا ۚ فَرِيضَةً مِّنَ اللَّهِ ۗ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَلِيمًا حَكِيمًا

আল্লাহ তোমাদেরকে তোমাদের সন্তানদের সম্পর্কে আদেশ করেনঃ একজন পুরুষের অংশ দু?জন নারীর অংশের সমান। অতঃপর যদি শুধু নারীই হয় দু' এর অধিক, তবে তাদের জন্যে ঐ মালের তিন ভাগের দুই ভাগ যা ত্যাগ করে মরে এবং যদি একজনই হয়, তবে তার জন্যে অর্ধেক। মৃতের পিতা-মাতার মধ্য থেকে প্রত্যেকের জন্যে ত্যাজ্য সম্পত্তির ছয় ভাগের এক ভাগ, যদি মৃতের পুত্র থাকে। যদি পুত্র না থাকে এবং পিতা-মাতাই ওয়ারিস হয়, তবে মাতা পাবে তিন ভাগের এক ভাগ। অতঃপর যদি মৃতের কয়েকজন ভাই থাকে, তবে তার মাতা পাবে ছয় ভাগের এক ভাগ ওছিয়্যতের পর, যা করে মরেছে কিংবা ঋণ পরিশোধের পর। তোমাদের পিতা ও পুত্রের মধ্যে কে তোমাদের জন্যে অধিক উপকারী তোমরা জান না। এটা আল্লাহ কতৃক নির্ধারিত অংশ নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, রহস্যবিদ।

وَلَكُمْ نِصْفُ مَا تَرَكَ أَزْوَاجُكُمْ إِن لَّمْ يَكُن لَّهُنَّ وَلَدٌ ۚ فَإِن كَانَ لَهُنَّ وَلَدٌ فَلَكُمُ الرُّبُعُ مِمَّا تَرَكْنَ ۚ مِن بَعْدِ وَصِيَّةٍ يُوصِينَ بِهَا أَوْ دَيْنٍ ۚ وَلَهُنَّ الرُّبُعُ مِمَّا تَرَكْتُمْ إِن لَّمْ يَكُن لَّكُمْ وَلَدٌ ۚ فَإِن كَانَ لَكُمْ وَلَدٌ فَلَهُنَّ الثُّمُنُ مِمَّا تَرَكْتُم ۚ مِّن بَعْدِ وَصِيَّةٍ تُوصُونَ بِهَا أَوْ دَيْنٍ ۗ وَإِن كَانَ رَجُلٌ يُورَثُ كَلَالَةً أَوِ امْرَأَةٌ وَلَهُ أَخٌ أَوْ أُخْتٌ فَلِكُلِّ وَاحِدٍ مِّنْهُمَا السُّدُسُ ۚ فَإِن كَانُوا أَكْثَرَ مِن ذَٰلِكَ فَهُمْ شُرَكَاءُ فِي الثُّلُثِ ۚ مِن بَعْدِ وَصِيَّةٍ يُوصَىٰ بِهَا أَوْ دَيْنٍ غَيْرَ مُضَارٍّ ۚ وَصِيَّةً مِّنَ اللَّهِ ۗ وَاللَّهُ عَلِيمٌ حَلِيمٌ

আর, তোমাদের হবে অর্ধেক সম্পত্তি, যা ছেড়ে যায় তোমাদের স্ত্রীরা যদি তাদের কোন সন্তান না থাকে। যদি তাদের সন্তান থাকে, তবে তোমাদের হবে এক-চতুর্থাংশ ঐ সম্পত্তির, যা তারা ছেড়ে যায়; ওছিয়্যতের পর, যা তারা করে এবং ঋণ পরিশোধের পর। স্ত্রীদের জন্যে এক-চতুর্থাংশ হবে ঐ সম্পত্তির, যা তোমরা ছেড়ে যাও যদি তোমাদের কোন সন্তান না থাকে। আর যদি তোমাদের সন্তান থাকে, তবে তাদের জন্যে হবে ঐ সম্পত্তির আট ভাগের এক ভাগ, যা তোমরা ছেড়ে যাও ওছিয়্যতের পর, যা তোমরা কর এবং ঋণ পরিশোধের পর। যে পুরুষের, ত্যাজ্য সম্পত্তি, তার যদি পিতা-পুত্র কিংবা স্ত্রী না থাকে এবং এই মৃতের এক ভাই কিংবা এক বোন থাকে, তবে উভয়ের প্রত্যেকে ছয়-ভাগের এক পাবে। আর যদি ততোধিক থাকে, তবে তারা এক তৃতীয়াংশ অংশীদার হবে ওছিয়্যতের পর, যা করা হয় অথবা ঋণের পর এমতাবস্থায় যে, অপরের ক্ষতি না করে। এ বিধান আল্লাহর। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সহনশীল। ( সূরা নিসা-১১-১২)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
এক্ষেত্রে আগে আপনার দাদার সম্পত্তি বন্টন করতে হবে,তারপর আপনার বাবার সম্পত্তি বন্টন হবে।

★আপনার দাদার সম্পত্তি বন্টনঃ-

তার সমূদয় সম্পত্তি ৮০ ভাগ হবে।

আপনার দাদার স্ত্রী এক অষ্টমাংশ হিসেবে দশ অংশ পাবে। 

আপনার দাদার ছেলেরা ১৪ অংশ করে চার ছেলে সব মিলে ৫৬ অংশ পাবে।

আপনার দাদার মেয়েরা ৭ অংশ করে দুইজন মোট ১৪ অংশ পাবে।

★আপনার বাবার মৃত্যুর সময় যদি আপনার বাবার স্ত্রী (আপনার মা) জীবিত না থাকে, সেক্ষেত্রে আপনার বাবার সমুদয় সম্পত্তি এভাবে বন্টন হবেঃ-

মোট সম্পত্তি আটচল্লিশ ভাগ হবে।

এর মধ্যে দুই মেয়ে ১৬ অংশ করে মোট ৩২ অংশ পাবে।

আপনার বাবার মা এক ষষ্ঠাংশ হিসেবে ৮ অংশ পাবে।।

আপনার বাবার ৩ ভাই দুই অংশ করে মোট ৬ অংশ পাবে।

আপনার বাবার বোনেরা এক অংশ করে দুইজন মোট দুই অংশ পাবে।

★আপনার বাবার মৃত্যুর সময় যদি আপনার বাবার স্ত্রী (আপনার মা) জীবিত থাকে, সেক্ষেত্রে আপনার বাবার সমুদয় সম্পত্তি এভাবে বন্টন হবেঃ-

মোট সম্পত্তি ১৯২ ভাগ হবে।

এর মধ্যে দুই মেয়ে ৬৪ অংশ করে মোট ১২৮ অংশ পাবে।

আপনার বাবার মা এক ষষ্ঠাংশ হিসেবে ৩২ অংশ পাবে।

আপনার বাবার স্ত্রী এক অষ্টমাংশ হিসেবে ২৪ অংশ পাবে। 

আপনার বাবার ৩ ভাই দুই অংশ করে মোট ৬ অংশ পাবে।

আপনার বাবার বোনেরা এক অংশ করে দুইজন মোট দুই অংশ পাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (2 points)
দাদার নামের সম্পত্তি। বাবার নামে রেজিস্ট্রি হয়নি। ওয়ারিশ সূত্রে এখন আমরা পাচ্ছি। 

দাদার মৃত্যুর সময়(১৯৯০) আমার বাবারা ৪ ভাই ও ২ বোন সবাই জীবিত ছিলেন।

 এবং বাবার মৃত্যুর সময়ও দাদী(মৃ: ২০১৩) সহ ৩ চাচা ২ ফুফু সবাই জীবিত ছিলেন। 

বর্তমানে ১ চাচা, ২ ফুফু জীবিত। জমি বিক্রি করছি শুধু আমরা এবং একজন মৃত চাচার ওয়ারিশরা। এখন আমাদের অংশ থেকে কাদের কত অংশ আফসা দিতে হবে সেটা জানতে চাচ্ছি। 

by (649,470 points)
এক্ষেত্রে আগে আপনার দাদার সম্পত্তি বন্টন করতে হবে,তারপর আপনার বাবার সম্পত্তি বন্টন হবে।

আপনার দাদার সম্পত্তি বন্টনঃ-
তার সমূদয় সম্পত্তি ৮০ ভাগ হবে।

আপনার দাদার স্ত্রী এক অষ্টমাংশ হিসেবে দশ অংশ পাবে। 

আপনার দাদার ছেলেরা ১৪ অংশ করে চার ছেলে সব মিলে ৫৬ অংশ পাবে।

আপনার দাদার মেয়েরা ৭ অংশ করে দুইজন মোট ১৪ অংশ পাবে।
by (649,470 points)
আপনার বাবার মৃত্যুর সময় যদি আপনার বাবার স্ত্রী (আপনার মা) জীবিত না থাকে, সেক্ষেত্রে আপনার বাবার সমুদয় সম্পত্তি এভাবে বন্টন হবেঃ-

মোট সম্পত্তি আটচল্লিশ ভাগ হবে।

এর মধ্যে দুই মেয়ে ১৬ অংশ করে মোট ৩২ অংশ পাবে।

আপনার বাবার মা এক ষষ্ঠাংশ হিসেবে ৮ অংশ পাবে।।

আপনার বাবার ৩ ভাই দুই অংশ করে মোট ৬ অংশ পাবে।

আপনার বাবার বোনেরা এক অংশ করে দুইজন মোট দুই অংশ পাবে।
by (649,470 points)
আপনার বাবার মৃত্যুর সময় যদি আপনার বাবার স্ত্রী (আপনার মা) জীবিত থাকে, সেক্ষেত্রে আপনার বাবার সমুদয় সম্পত্তি এভাবে বন্টন হবেঃ-

মোট সম্পত্তি ১৯২ ভাগ হবে।

এর মধ্যে দুই মেয়ে ৬৪ অংশ করে মোট ১২৮ অংশ পাবে।

আপনার বাবার মা এক ষষ্ঠাংশ হিসেবে ৩২ অংশ পাবে।

আপনার বাবার স্ত্রী এক অষ্টমাংশ হিসেবে ২৪ অংশ পাবে। 

আপনার বাবার ৩ ভাই দুই অংশ করে মোট ৬ অংশ পাবে।

আপনার বাবার বোনেরা এক অংশ করে দুইজন মোট দুই অংশ পাবে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...