আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
27 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ। ওয়েবসাইটে এর আগে কিছুটা এরকম প্রশ্ন একটি পেয়েছিলাম কিন্তু উত্তর ভালোভাবে মনে পড়ছেনা। আর বারবার খোঁজার পরেও আর পাচ্ছিনা তাই প্রশ্নটি করছি। ভুলত্রুটির জন্য আফওয়ান।

উস্তাজ, আমি আশিক জ্বিনের মাধ্যমে জাদুগ্রস্ত। আমার সমস্যাটা ভালোই জটিল। রাকীর ধারণা সমস্যা টা অনেক পুরোনো। আগেও রুকিইয়াহ করিয়েছিলাম আলহামদুলিল্লাহ এবং ভালো ফল পেয়েছিলাম। কিন্তু এখন আবার সমস্যা হচ্ছে। সমস্যা এমন না যে জ্বিন আমার মাঝে হাজির হয় বা অন্যের ক্ষতি করার চেষ্টা করে। সমস্যা হলো আমাকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে। ইবাদত আর সব কাজ ও  ভালো চিন্তায় কঠিন বাঁধা দিতে থাকে। মনে হয় যেন আমাকে নিষ্ক্রিয় করে রাখতে চায়। আমি যেভাবে দ্বীন প্র্যাকটিস করছিলাম সেভাবে মোটেও করতে পারছিনা। ফরজ গুলোও কোনো রকম জোর করে করছি। নতুন করে আবার রুকইয়াহ চলমান। হয়তো ইম্প্রুভ হচ্ছে খুব সামান্য করে। আবার কখনো মনে হচ্ছে উন্নতি হচ্ছে না। রাকী বলেছেন সমস্যা কমতে সময় লাগবে। আল্লাহ তায়ালা সহজ করুন।

উস্তাজ আমার প্রশ্ন হলো, ১.এমতাবস্থায় বিবাহের প্রস্তাব এলে পাত্র যদি আমার দ্বীন চর্চা সম্পর্কে জানতে চায় আমি কি বলতে পারি? আমি আগের মতো সবসময় সব কাজেও এক্টিভ হতে পারছিনা। আমার মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকে, রাগ, বিরক্তি চলে আসে সব কিছুতেই।আরো অনেক সমস্যা। হঠাৎ কোনো সময় হয়তো একটু ভালো থাকি। এসব নিয়ে আমি খুবই পেরেশান। ২. আমি আমার সম্পর্কে পাত্রকে এরূপ সমস্যা বা আচরণ সম্পর্কে কি বিস্তারিত জানাবো? ৩. এক্ষেত্রে কোনো অনলাইন প্লাটফর্মে বায়োডাটা দেয়ার ক্ষেত্রে আমি বর্তমান যেরকম আছি সেরকমটা জানাবো? (এমনটা হলে হয়তো নিজের সম্পর্কে লিখার কিছুই থাকবে না/অথবা জানার পর তেমন কারও আগ্রহ হবে না) নাকি আগে যেমন ছিলাম তেমনটা জানাবো, পরে জ্বীন জাদুর কারণে সমস্যার কথাগুলো জানাবো? ৪. জ্বিন জাদুর সমস্যার কথা কি পাত্রকে জানানো উচিত বা প্রয়োজন? বিয়ের ব্যাপারে আগাতে গেলেও জ্বীন জাদুর কারণে বাঁধার সম্মুখীন হতে হয়। উস্তাজ তবুও সমস্যা সেরে ওঠা পর্যন্ত আমি বিয়ের জন্য অপেক্ষা করতে চাচ্ছিনা। পূর্বের রাকী বলেছিলেন দ্বীনদার ছেলে দেখে দ্রুত বিয়ে করতে। হক প্রতিষ্ঠা হলে অন্যায় বাতিল হয়ে যাবে ইংশা আল্লাহ। পরিবার থেকেও বিয়ের জন্য প্রেসার দিচ্ছে। বয়স বেড়ে যাচ্ছে তাই ইচ্ছার বিরুদ্ধে হলেও চেষ্টা চালিয়ে যেতে চাই। আবার এটাও ভাবি যে এ অবস্থায় আল্লাহর অনুগ্রহে যদি বিয়ে হয়েও যায় পরে আমার এক্টিভিটিস দেখে পাত্র হতাশ হলে কি করবো, যেহেতু সমস্যার কারণে আগের মতো দ্বীন প্র্যাকটিস করতে আর দৈনন্দিন কাজ গুলোতে এখনো তেমন এক্টিভ হতে পারছিনা?

দুঃখিত উস্তাজ, লিখা অনেক বড় হয়ে গিয়েছে। জাঝাকাল্লাহু খইরন ফিদ্দুনইয়া ওয়াল আখিরাহ।

1 Answer

0 votes
ago by (633,510 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/64966 নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
বিবাহের পূর্ব পাত্র পাত্রীর এমন রোগ যাহা তাদের বৈবাহিক সম্পর্কে একে অপরের হক আদায়ে ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে,বা যার চিকিৎসা খুবই কঠিন। 
তাহলে এক্ষেত্রে উক্ত রোগ গোপন করা যাবেনা।
এক্ষেত্রে রোগটি গোপন করলে এটি ধোকা দেওয়া হবে,যাহা জায়েজ নেই। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ   
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,

عن أبي هريرة، قال: كنت عند النبي صلى الله عليه وسلم، فأتاه رجل فأخبره أنه تزوج امرأة من الأنصار، فقال له رسول الله صلى الله عليه وسلم: «أنظرت إليها؟»، قال: لا، قال: «فاذهب فانظر إليها، فإن في أعين الأنصارشيئا»

তিনি বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর পাশে বসা ছিলাম।একব্যক্তি এসে বলল, আমি আনসারি এক মহিলাকে বিয়ে করতে চাই।রাসূলুল্লাহ বললেন,তুমি কি পাত্রী দেখেছো?তিনি বললেন,না।রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন,যাও গিয়ে পাত্রী দেখে আসো।কেননা আনসারীদের চোখে নীল বা এ জাতীয় কিছু থাকে।
(সহীহ মুসলিম-১৪২৪)

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

★আর যদি রোগটি হালকা হয়,সেক্ষেত্রে সেই রোগ গোপন করা যাবে।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(১-৪)
প্রশ্নে উল্লেখিত বিষয়টি যদি আপনার নিয়মিত জীবনযাপনে কোনো প্রভাব রাখে না এবং নিয়মিত রুকইয়াহ/চিকিৎসাও চলে,এক্ষেত্রে আপনার যদি প্রবল ধারনা হয় যে এই সমস্যার কারনে স্বামীর হক আদায়ে কোনো ত্রুটি হবেনা, সেক্ষেত্রে বিষয়টি গোপন করতে পারবেন।

অন্যথায় নয়। 

পরামর্শ থাকবে, আপনি দ্রুত বিজ্ঞ রুকইয়াহ কারীর শরণাপন্ন হবেন,ইনশাআল্লাহ আপনার সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।

এক্ষেত্রে কিছু আমল জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...