ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
আপনি যেভাবে যেভাবে দু’আ কবুলের কথা বলছেন,এটা মূলত কোনো সূরার অংশ নয়। বরং হাদীসের অংশ। মুফতি শফি রাহ. মা’রিফূল কুরআনে এমন একটি হাদীসের কথা উল্লেখ করে লিখেন যে,৬০-৭-বছরের বৃদ্ধ কেউ যদি আল্লাহর কাছে দুআ করে,তাহলে খালি হাত ফিরিয়ে লজ্জাবোধ করেন।
سَلْمَانَ رَضِيَ اللهُ عنه أنه قالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلَّى اللهُ عَليهِ وسلَّم (إِنَّ رَبَّكُمْ حَيِيٌّ كَرِيمٌ يَسْتَحِي مِنْ عَبْدِهِ إِذَا رَفَعَ يَدَيْهِ إِلَيْهِ أَنْ يَرُدَّهُمَا صِفْرًا)
নিশ্চয় তোমাদের রব সম্মানি,যখন কোনো বান্দা উনার দিকে,হাত উত্তোলন করে,তখন ঐ হাতকে শূণ্য ফিরিয়ে দিতে তিনি লজ্জাবোধ করেন।
(সুনানে আবু-দাউদ- সুনানে তিরমিয-)
(২)মৃত ব্যাক্তিকে গোসলের আগে তায়াম্মুম করাতে হবে। কথাটি সঠিক নয়।
(৩)মৃত ব্যাক্তিকে গোসলে করানোর সময় নির্ধারিত কোনো দুয়া নাই। বরং বিসমিল্লাহ বলে শুরু করা হবে।
প্রত্যেক ভাল ও উত্তম কাজ শুরু করার পূর্বে বিসমিল্লাহ বলা সুন্নাত।
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,নবীজী সাঃ বলেনঃ
عَنْﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : ( ﻛُﻞُّ ﻛَﻠَﺎﻡٍ ﺃَﻭْ ﺃَﻣْﺮٍ ﺫِﻱ ﺑَﺎﻝٍ ﻟَﺎ ﻳُﻔْﺘَﺢُ ﺑِﺬِﻛْﺮِ ﺍﻟﻠﻪِ ﻓَﻬُﻮَ ﺃَﺑْﺘَﺮُ - ﺃَﻭْ ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﻗْﻄَﻊُ -
যেসমস্ত কথা/ গুরুত্বপূর্ণ কাজকে বিসমিল্লাহ ব্যতীত শুরু করা হবে,তা লেজকাটা/ বরকতশূন্য হবে।
মুসনাদে আহমদ-৮৬৯৪;
চার মাযহাব সম্বলীত সর্ব বৃহৎ ফেক্বাহী গ্রন্থ
"আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায় " রয়েছে,
" ﺍﺗﻔﻖ ﺃﻛﺜﺮ ﺍﻟﻔﻘﻬﺎﺀ ﻋﻠﻰ ﺃﻥ ﺍﻟﺘﺴﻤﻴﺔ ﻣﺸﺮﻭﻋﺔ ﻟﻜﻞ ﺃﻣﺮ ﺫﻱ ﺑﺎﻝ ، ﻋﺒﺎﺩﺓ ﺃﻭ ﻏﻴﺮﻫﺎ
প্রত্যেক গুরুত্বপূর্ণ কাজে বিসমিল্লাহ্ বলা শরীয়ত সিদ্ধ নিয়ম।চাহে তা ইবাদত হোক বা অন্যকিছু হোক।