আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
426 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (20 points)
আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ। প্রশ্নটি একজনের পক্ষ থেকেঃ

"আমাদের আক্তদ হয়েছে কয়েক মাস আগে। জাওযী ব্যবসায়ী, উনার ব্যবসায় করার ইচ্ছা। পরিবারেরও এ ব্যাপারে সম্মতি ছিল। কিন্তু ইদানীং ব্যবসায় মন্দাসহ নানাবিধ কারনে পরিবার চাচ্ছেন উনাকে ইউরোপ কান্টিতে পাঠাতে। উনি মোটেও যেতে ইচ্ছুক না। কারন বিধর্মীর দেশে ইসলাম পালন করা আরও মুশকিল। বের হলেই চোখের জিনার সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা। পরিবারে নামায-কালাম পড়া হলেও এইসব ব্যাপারে উনারা সচেতন নন। এইভাবে বোঝাতে গেলে তাই বোকা শুনতে হয়৷ আর উনারা বেশি ইনকাম পছন্দ করেন কিন্তু এতে আমাদের তেমন ইন্টারেস্ট নেই। কারন যত সম্পদ তত হিসাব। আর রিজিক ত আল্লাহ নির্ধারণ করে দিয়েছেন, সেটা দেশে থাকলেও আমরা পাব ইন শা আল্লাহ। কিন্তু পরিবারকে এভাবে বোঝানো যাচ্ছে না, " বেশি বুঝ বা পন্ডিত হয়ে গেছে" এই ধরনের মন্তব্য করেন। তাছাড়া উনার বয়স এখন ২৫, বাইরে গিয়ে সেটেল হতে আরও ৪/৫ বছর লেগে যায়। আমার বয়সও কাছাকাছি। সংসার শুরু করতে আমরা এত দেরি করতে চাচ্ছি। কিন্তু পরিবার কোনোভাবেই মানতে চাচ্ছেন না। উনার উপর খুব প্রেসার দিচ্ছেন। উনি বোঝাতে চাইলে বোকা দিচ্ছেন, ইসলামের আলোকে বলতে চাইলেও বিভিন্ন কথা শুনতে হচ্ছে। উনার এমন অবস্থা হয়েছে যে বাসায় থাকতে ভালো লাগে না, যতটা সময় বাসায় থাকেন উনার নাকি দীর্ঘ নিশ্বাস নিতে নিতে সময় যায়। ব্যাপারগুলো আমাদের মানসিক অশান্তি সৃষ্টি করছে। আমরা আল্লাহকে রাজি-খুশি করার চেষ্টা করছি। কিন্তু পরিবারকে বোঝানো যাচ্ছে না, দিনদিন উনারা আমাদের ভুল বুঝছেন, মনে হচ্ছে সহ্য করতে পারছেন না। এদিকে আমাদের বাবা বাইরে থাকেন, উনার যথেষ্ট বয়স হয়েছে তাই উনিও দেশে আসতে চাচ্ছেন। আর আমাদের বড় ভাই তেমন কিছু করেন না। তাই উনার উপরই বেশি আশা, প্রেসার। বেশ কয়েক মাস থেকে এই পরিস্থিতিতে থাকায়, উনারও আর ভালো লাগছে না। আমাকে বলতেছেন, উনার ইচ্ছে করছে দূরে কোথায় চলে যেতে। কিন্তু এতে মা-বাবা পেরেশান হতে পারেন, কষ্টও পাবেন হয়তো। উনিও কোনো রাস্তা পাচ্ছেন না। এমনিতেও উনি কম কথা বলেন, ইন্ট্রভার্ট টাইপ নরম মানুষ। এমন অবস্থায় পরিবারকে রাজি করানোর জন্য কি ঘর থেকে বের হওয়া যাবে যাতে উনারা এটলিস্ট উনার মতের গুরুত্ব দেন? বা উনার কি এই পরিস্থিতিতে রাগ-অভিমান করা জায়েজ হবে? আসলে কোনো উপায় পাচ্ছি না আমরা, আর মানসিক অশান্তি ভালো লাগছে না। অনেক ত চেষ্টা করলেন, সহ্য করলেন এখন একটা সমাধানের পথে যেতে চাচ্ছি আমরা। কথাগুলো হয়তো গুছিয়্র বলতে পারি নি, দয়া করে পরামর্শ দিন.."

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
কোনো ব্যক্তি যদি মুসলিম দেশে হন্যে হয়ে খোঁজাখোঁজি করা সত্ত্বেও জীবিকা উপার্জনের কোন সোর্স ব্যবস্থা করতে না পারে, এমনকি নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের ব্যাপারে অন্যের মুখাপেক্ষী হয়ে যায়, এমন পরিস্থিতিতে যদি কোনো অমুসলিম দেশে জায়েয কোনো চাকরি পেয়ে যায়,তাহলে দু’টি শর্ত সাপেক্ষে তার জন্য সেখানে যাওয়া এবং বসবাস করা জায়েয হবে।
যথাঃ- 
এক. সেখানে আমলী জিন্দিগী তথা, ইসলামী বিধি-বিধান পরিপালনে সম্পূর্ণ নিরাপদ থাকতে হবে। দুই. সেখানকার প্রচলিত অশ্লীলতা, বেহায়াপনা-বেলেল্লাপনা থেকে নিজেকে সংযত রাখতে হবে।

কেননা, হালাল জীবিকা অন্বেষণ করাও ফরজ ইবাদতসমূহের পর একটি অন্যতম ফরজ কাজ। আর জীবিকা উপার্জনের জন্য ইসলাম কোনো জায়গাকে নির্দিষ্ট করে দেয়নি। বরং জীবিকা উপার্জনের ব্যাপারে ইসলামের ব্যাপক অনুমতি রয়েছে যে, যেখান থেকে ইচ্ছা করবে সেখান থেকে জীবিকা উপার্জন করতে পারবে। 
যেমন কুরআনে কারীমে ইরশাদ হয়েছে :
ﻫﻮ ﺍﻟﺬﻱ ﺟﻌﻞ ﻟﻜﻢ ﺍﻻﺭﺽ ﺫﻟﻮﻻ ﻓﺎﻣﺸﻮﺍ ﻓﻲ ﻣﻨﺎﻛﺒﻬﺎ ﻭﻛﻠﻮﺍ ﻣﻦ ﺭﺯﻗﻪ ﻭﺍﻟﻴﻪ ﺍﻟﻨﺸﻮﺭ-
“আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের জন্য পৃথিবীকে করেছেন সুগম, সুতরাং তোমরা তাতে ভ্রমণ কর এবং তার দেয়া জীবিকা থেকে আহার কর, তোমাদেরকে তার দিকেই প্রত্যাবর্তন করতে হবে”। (সূরা মুলকঃ আয়াত-১৫)

তবে বিনা প্রয়োজনে সেখানে চাকরী এবং বসবাসের কোনো অনুমিত শরীয়তে নেই।

তবে দাওয়াতের উদ্দেশ্যে অমুসলিম দেশ সমূহে যাওয়া যাবে।বা মুসলিম দেশে চাকুরীর কোনো ব্যবস্থা না হলে অমুসলিম দেশ সমূহে যাওয়া যাবে।
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-3447


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার সামনে তিনটি রাস্তা রয়েছে,দাওয়াত ও তাবলীগের উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে অমুসলিম দেশ সমূহে গমন করা অথবা স্ত্রীকে সাথে নিয়ে নিজ ফ্যমিলি থেকে দূরে কোথাও চলে যাওয়া। কিংবা সহ্য করে নিজ বাড়ীতে অবস্থান করা।এখানে মাতাপিতার নির্দেশকে অমান্য করলে কোনো গোনাহ হবে না।কেননা আল্লাহর অবাধ্যতায় কারো অনুসরণ করা যাবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...