আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
16 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (28 points)
আসসালামু 'আলাইকুম, উস্তাদ

আমার পরিবার থেকে এক ছেলের পরিবারের সাথে দীর্ঘদিন যাবত বিয়ের কথাবার্তা চলছিলো, প্রায় ফাইনাল হয়েই যায় একসময় । পরবর্তীতে কিছু নিছক কারণবশত বিয়েটা ভেঙে যায়, ছেলেরাই পিছপা হয়ে যায়, কারণ ওরা দীর্ঘ ৫মাস যাবত বিয়ের কথা চলার পরেও,এখনও প্রস্তুতি নেওয়ার সময় হিসেবে ৩-৪মাস সময় চায়, যেটা দেওয়া সম্ভব না । *বলে রাখি এটা পুরোটাই একটা অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ প্ল্যানিং ছিলো* (যেমন - বিয়ের আশায় রেখে শেষে গিয়ে আমার সাথে তার এবং তার পরিবার কর্তৃক এহেন প্রতারণা, ছেলে ব্যক্তিত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে,ছেলে নিজের আর্থিক অবস্থা ঠিক না করেই বিয়ে করতে চায় ইত্যাদি আরো অনেক নিছক কারণ যেটা অহেতুক বলা যায়)  বিয়ে প্রায় ফাইনাল হওয়ায় ছেলের সাথে আমার যোগাযোগ ছিলো , উভয়কেই উভয়ের কাছে পছন্দ ছিলো কিন্তু বিয়ে ভেঙে দেওয়া + আমাকে কিছু না বলায়,  আর এতোদিন যোগাযোগের পর হঠাৎ নিজের মন বদলে ফেলা,ওনার এহেন আচরণের কারণে আমি 'আপনি যদি মনে করেন আমার সাথে খুব ভালো কাজ করেছেন, তাহলে এমন ভালো কাজ যেন আপনার জীবনেও বার বার হয় ইত্যাদি' এরূপ কিছু কথা লিখে অভিশাপ দিয়ে ফেলে, সকল যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছি । যদিও পরে জানতে পেরেছি আমার প্রতি ওনার কোনো অভিযোগ বা জিদ নেই ।
এরপর থেকে আমার প্রচণ্ড খারাপ লাগা শুরু হয় অভিশাপ দেওয়ার কারণে । দ্বীন প্র্যাক্টিস শুরু করার পর আমি এর আগে যতোই খারাপ সময় গেছে, যতটুকু মনে আছে, আমি কাউকে কখনোই অভিশাপ দেইনি । কিন্তু, এবার আমি ধৈর্য্যের বাধ ভাঙিয়ে এসব বলে ফেলেছি, যেটা করা আমার উচিত হয়নি, আমি অন্তর থেকে অনুতপ্ত । এখন ওনার কাছে মাফ চাওয়াও অসম্ভব, কারণ সকল যোগাযোগ ছিন্ন করে দিয়েছি । এক্ষেত্রে আমি কি করতে পারি?

1 Answer

0 votes
ago by (661,920 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাহ তা'আলা মাযলুমকে যালিমের উপর দুনিয়াতে এমন সাহয্য প্রার্থনার অনুমতি দিয়েছেন,যা আল্লাহ তা'আলা তার জন্য লিখে রেখেছেন,এবং যা যুলুম ও সীমালঙ্ঘন সম্বলিত প্রার্থনা হবে না।
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ 
ﻗﺎﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ : ( ﻟَﺎْ ﻳُﺤِﺐُّ ﺍﻟﻠّﻪُ ﺍﻟْﺠَﻬْﺮَ ﺑِﺎﻟﺴُّﻮﺀِ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻘَﻮْﻝِ ﺇِﻻَّ ﻣَﻦْ ﻇُﻠِﻢَ ﻭَﻛَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺳَﻤِﻴْﻌًﺎ ﻋَﻠِﻴْﻤًﺎ ) ﺍﻟﻨﺴﺎﺀ 148/ .
আল্লাহ কোন মন্দ বিষয় প্রকাশ করা পছন্দ করেন না। তবে কারো প্রতি জুলুম হয়ে থাকলে সে কথা আলাদা। আল্লাহ শ্রবণকারী, বিজ্ঞ। ( সূরা নিসা-১৪৮)

ইবনে ক্বাসির রাহ তার তদীয় তাফসীর গ্রন্থের১/৫৭২পৃষ্টায় উক্ত আয়াতের ব্যখ্যা করতে যেয়ে বলেনঃ
" ﻗﺎﻝ ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱٍ ﻓﻲ ﺍﻵﻳﺔ : ﻳﻘﻮﻝ : ﻻ ﻳﺤﺐ ﺍﻟﻠﻪ ﺃﻥ ﻳﺪﻋﻮ ﺃﺣﺪٌ ﻋﻠﻰ ﺃﺣﺪٍ ، ﺇﻻ ﺃﻥ ﻳﻜﻮﻥ ﻣﻈﻠﻮﻣًﺎ ، ﻓﺈﻧّﻪ ﻗﺪ ﺃﺭﺧﺺ ﻟﻪ ﺃﻥ ﻳﺪﻋﻮ ﻋﻠﻰ ﻣﻦ ﻇﻠﻤﻪ ، ﻭﺫﻟﻚ ﻗﻮﻟﻪ : ( ﺇِﻟّﺎ ﻣَﻦ ﻇُﻠِﻢَ ) ، ﻭﺇﻥ ﺻﺒﺮ ﻓﻬﻮ ﺧﻴﺮٌ ﻟﻪ " ﺍﻧﺘﻬﻰ .
ইবনে আব্বাস রাঃ উক্ত আয়াতের ব্যখ্যা করতে যেয়ে বলেনঃ মাযলুম ব্যতীত কেউ কারো উপর বদদো'আ করতে আল্লাহ পচন্দ করেননা।তবে সর্বাবস্থায় ধর্য্য ধারণই উত্তম হবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/19877

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি মনে করেন আমার সাথে খুব ভালো কাজ করেছেন, তাহলে এমন ভালো কাজ যেন আপনার জীবনেও বার বার হয় ইত্যাদি' বলা নাজায়েয হবে না। তবে ক্ষমা দেয়া উচিত ছিলো। এখনো সময় আছে, তাকে ক্ষমা করে দিয়ে তার জন্য কল্যাণের দু'আ করুন।এটাই আপনার জন্য উত্তম হবে।
আল্লাহ আপনার সহায় হোক।আমীন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...