আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
17 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
السلام عليكم ورحمة الله وبركاته
আমরা একভাই একবোন, আমার বাবা-মা তাদের কিছু সম্পদ আছে, সেখান থেকে একটি ফ্ল্যাট জীবিত অবস্থায় আমার বোনকে রেজিস্ট্রার করে দিতে চায়, এর জন্য আমার মতামত চেয়েছেন আমার কোনো আপত্তি আছে কি না। উল্লেখ্য: আমার বোনের বিশেষ কোনো প্রয়োজন নেই, এবং তারা আমাকে অন্য কিছু দিচ্ছে না, তাদের সম্পদ হারাম উপার্জন থেকে কারণ তারা সুদি ব্যাংকে চাকরি করেছেন এবং অন্য কোন উপার্জন মাধ্যম নেই। আমার বিশেষ আকর্ষন নেই তাদের সম্পত্তিতে, তবে আমি হ্যা-না কিছু বলিনি।আমার প্রশ্ন-

১) আমি কি তাদের এই প্রস্তাবে সম্মতি দিব?

২) যদি সম্মতি না দেই , এর মানে কি আমি দুনিয়ালোভী বা আমার অন্তরে পঙ্কিলতা আছে?

৩)আমার তাদের কি কিছু নসীহা করা দরকার?

আমি এখানে পরিপূর্ণ তাকওয়া অবলম্বন করতে চাচ্ছি।

1 Answer

0 votes
by (661,920 points)


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء
যদি কারো নিকট কোনো হারাম মাল থাকে,তাহলে সে ঐ মালকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেবে।যদি ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব না হয়,তাহলে গরীবদেরকে সদকাহ করে দেবে।(মা'রিফুস-সুনান১/৩৪)
في الشامية: والحاصل: أنه إن علم أرباب الأموال وجب رده عليهم، وإلا فإن علم عين الحرام لايحل له ويتصدق به بنية صاحبه''. (5/99،مَطْلَبٌ فِيمَنْ وَرِثَ مَالًا حَرَامًا، ط: سعید)   فقط واللہ اعلم
যদি কোনো ওয়ারিছ তার মুরিছ থেকে প্রাপ্ত সম্পত্তির ব্যাপারে জানে যে, এটা হারাম মাল। এবং ঐ মাল বা সম্পদের মালিক সম্পর্কে তার জানা থাকে, তাহলে তখন ঐ সম্পদকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দিতে হবে। কিন্তু যদি কোনো মাল-ধৌলত এর মালিক সম্পর্কে জানা না থাকে, তবে এতটুকু জানা থাকে যে, মূলত এটা হারাম মাল, তাহলেও এটা ওয়ারিছের জন্য হালাল হবে না, বরং সেটাকে তার মালিকের পক্ষ থেকে সদকাহ করে দিতে হবে।(রদ্দুল মহতার-৫/৯৯,শামেলা নুসখা)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1900

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বাবা মা তাদের জীবদ্দশায় সম্পত্তিকে বন্টন করে যেতে পারবেন। এক্ষেত্রে ফারাঈয মূলনীতির আলোকে বন্টন করাই জরুরী। কোনো এক সন্তানকে বেশী দেওয়া কখনো কাম্য হতে পারে না। বাবার সম্পত্তি হারাম হলে সেই সম্পত্তিকে সদকাহ করা ওয়াজিব। ঐ সম্পত্তির ওয়ারিছ কেউ ই হতে পারবে না।

(১) আপনি হ্যা, না কিছু না বলে বরং তাদেরকে হারাম মাল সদকাহ করার বলবেন।
(২) সম্মতি না দিলে দুনিয়ালোভী বা অন্তরে পঙ্কিলতা আছে মনে করা যাবে না।
(৩) তাদেরকে নসীহা করা দরকার


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...