বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
কোনো মেয়ের জন্য কখনো উচিৎ হবে না যে, নিজের উপযুক্ত মাহরাম ব্যতীত নিজে নিজেই বিয়ের ব্যবস্থা করা। বরং মেয়ের লজ্জা শরমের তাকাযা এটাই যে, সে তার বিয়েকে তার অভিভাবকের উপর ছেড়ে দিবে। অভিভাবক তার জন্য পাত্র খুজে দিবে। তবে যদি এমন হয় যে, অভিভাবক দ্বীনদার পাত্র বাচাঁই করতে অক্ষম থাকে, তাহলে এমতাবস্থায় অভিভাবকের স্থলে মেয়ে নিজে পাত্র বাছা্ইয়ের জন্য চেষ্টা করতে পারবে। এবং এজন্য পর্দার আড়ালে থেকে গায়রে মাহরামের সাথে কথাও বলতে পারবে। তবে অবশ্যই ফিতনার সমস্ত দ্বারকে বন্ধ রেখে আগাতে হবে। পাত্র বাছা্ই করার পর আলাপ আলোচনা নিজে না করে অভিভাবকের মাধ্যমে করানো উচিৎ।
মেয়ে পাত্রকে বাছা্ই করতে পারে। যেমন দেখুন হযরত শুআইব আ. এর মেয়ে মুসা আ. কে বাছা্ই করে তিনি কিভাবে ইশারা ইঙ্গিত করে বাবার সাথে কথা বলছেন,
قَالَتْ إِحْدَاهُمَا يَا أَبَتِ اسْتَأْجِرْهُ إِنَّ خَيْرَ مَنِ اسْتَأْجَرْتَ الْقَوِيُّ الْأَمِينُ
বালিকাদ্বয়ের একজন বলল পিতাঃ তাকে চাকর নিযুক্ত করুন। কেননা, আপনার চাকর হিসেবে সে-ই উত্তম হবে, যে শক্তিশালী ও বিশ্বস্ত।(সুরা কাসাস : আয়াত ২৬)
অন্যদিকে পিতা শুআইব আ. মেয়ের ইশারা ইঙ্গিতকে বুঝে নিয়ে মুসা আ. এর কাছে নিজ মেয়ের বিবাহের প্রস্তাব দিচ্ছেন।
قَالَ إِنِّي أُرِيدُ أَنْ أُنكِحَكَ إِحْدَى ابْنَتَيَّ هَاتَيْنِ عَلَى أَن تَأْجُرَنِي ثَمَانِيَ حِجَجٍ فَإِنْ أَتْمَمْتَ عَشْرًا فَمِنْ عِندِكَ وَمَا أُرِيدُ أَنْ أَشُقَّ عَلَيْكَ سَتَجِدُنِي إِن شَاء اللَّهُ مِنَ الصَّالِحِينَ
পিতা মূসাকে বললেন, আমি আমার এই কন্যাদ্বয়ের একজনকে তোমার সাথে বিবাহে দিতে চাই এই শর্তে যে, তুমি আট বছর আমার চাকুরী করবে, যদি তুমি দশ বছর পূর্ণ কর, তা তোমার ইচ্ছা। আমি তোমাকে কষ্ট দিতে চাই না। আল্লাহ চাহেন তো তুমি আমাকে সৎকর্মপরায়ণ পাবে।(সুরা কাসাস : আয়াত ২৭)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
নিজ পরিবারকে না জানিয়ে বিয়ে করা কখনো উচিৎ হবে না। তবে পাত্র বাছা্ই করে অভিভাবকের কাছে এ সম্পর্কে সুপারিশ করা যেতে পারে।