বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
হারাম কে হালাল করা এবং হালাল কে হারাম করা কুফরি।তবে না জেনে করে থাকলে মাফ।কেননা উযর বিল জাহালত ক্ষমাযোগ্য অপরাধ।
ওযর বিল জাহালত গ্রহণযোগ্য। চায় এ'তেকাদি মাসাঈল সম্পর্কিত হোক বা ফেকহী শাখাপ্রশাখাগত মাসাঈল সম্পর্কিত হোক।
যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেন,
( رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَا إِنْ نَسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا )
হে আমাদের পালনকর্তা, যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তবে আমাদেরকে অপরাধী করো না।(সূরা বাকারা-২৮৬)
অন্য এক আয়াতে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
(وَلَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ فِيمَا أَخْطَأْتُمْ بِهِ وَلَكِنْ مَا تَعَمَّدَتْ قُلُوبُكُمْ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَحِيمًا)
এ ব্যাপারে তোমাদের কোন বিচ্যুতি হলে তাতে তোমাদের কোন গোনাহ নেই, তবে ইচ্ছাকৃত হলে ভিন্ন কথা। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।(সূরা আহযাব-৫)
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
إِنَّ اللَّهَ قَدْ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي الْخَطَأَ، وَالنِّسْيَانَ، وَمَا اسْتُكْرِهُوا عَلَيْهِ
নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার উম্মতের অজ্ঞতা ও ভূলভাল কে ক্ষমা করে দিবেন।এবং অপারগতা বশত কৃত গোনাহকেও ক্ষমা করে দিবেন।(সুনানে ইবনে মা'জা,-২০৪৩)
এ সমস্ত শরয়ী দলীল প্রমাণ করে যে,ওযর বিল জাহালাত গ্রহণযোগ্য। তথা অজ্ঞতা বশত কেউ কোনো গোনাহর কাজ করে ফেললে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিবেন।
ভূলে শিরকে পতিত হওয়ার পর বনি ইসরাঈলের এক ব্যক্তিকে আল্লাহ তা'আলা ক্ষমা করে দিয়েছিলেন,
হযরত আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: " كَانَ رَجُلٌ يُسْرِفُ عَلَى نَفْسِهِ فَلَمَّا حَضَرَهُ المَوْتُ قَالَ لِبَنِيهِ: إِذَا أَنَا مُتُّ فَأَحْرِقُونِي، ثُمَّ اطْحَنُونِي، ثُمَّ ذَرُّونِي فِي الرِّيحِ، فَوَاللَّهِ لَئِنْ قَدَرَ عَلَيَّ رَبِّي لَيُعَذِّبَنِّي عَذَابًا مَا عَذَّبَهُ أَحَدًا، فَلَمَّا مَاتَ فُعِلَ بِهِ ذَلِكَ، فَأَمَرَ اللَّهُ الأَرْضَ فَقَالَ: اجْمَعِي مَا فِيكِ مِنْهُ، فَفَعَلَتْ، فَإِذَا هُوَ قَائِمٌ، فَقَالَ: مَا حَمَلَكَ عَلَى مَا صَنَعْتَ؟ قَالَ: يَا رَبِّ خَشْيَتُكَ، فَغَفَرَ لَهُ " وَقَالَ غَيْرُهُ: «مَخَافَتُكَ يَا رَبِّ»
তিনি বলেন, পূর্বযুগে এক লোক তার নিজের উপর অনেক জুলুম করেছিল। যখন তার মৃত্যুকাল ঘনিয়ে এলো, সে তার পুত্রদেরকে বলল, মৃত্যুর পর আমার দেহ হাড় গোশতসহ পুড়িয়ে ছাই করে নিও এবং প্রবল বাতাসে উড়িয়ে দিও। আল্লাহর কসম! যদি আল্লাহ্ আমাকে ধরে ফেলেন, তবে তিনি আমাকে এমন কঠিনতম শাস্তি দিবেন যা অন্য কাউকেও দেননি। যখন তার মওত হল, তার সঙ্গে সে ভাবেই করা হল। অতঃপর আল্লাহ্ যমীনকে আদেশ করলেন, তোমার মাঝে ঐ ব্যক্তির যা আছে জমা করে দাও। যমীন তা করে দিল। এ ব্যক্তি তখনই দাঁড়িয়ে গেল। আল্লাহ্ তাকে জিজ্ঞেস করলেন, কিসে তোমাকে এ কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করল? সে বলল, হে, প্রতিপালক তোমার ভয়। অতঃপর তাকে ক্ষমা করা হলো। অন্য রাবী مَخَافَتُكَ স্থলে خَشْيَتُكَ বলেছেন।(সহীহ বুখারী-৩৪৮১)(৭৫০৬, মুসলিম ৪৯/৪ হাঃ ২৭৫৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩২২৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩২৩২)
,
আরো জানুনঃ
,
(১.২)
যদি শরীয়তের অকাট্য ভাবে প্রমানীত কোনো হারামকে হালাল বলা হয়,তাহলে এক্ষেত্রে সে কাফের হয়ে যাবে।
যদি তাহা অকাট্য বিধান দ্বারা হারাম প্রমাণিত না হয়,তাহলে তাহাকে হালাল বলা নাজায়েজ, গোমরাহি।
তবে এতে ঈমান থাকবে।
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ঈমান চলে যাবেনা।
তবে আল্লাহর কাছে খালেক দিলে তওবা করতে হবে।
,
(৩.৪)
মনে মনে শিরকি কথা আনা,ভাবার দ্বারা চাই তাহা ইচ্ছা করেই হোক,বা অনিচ্ছায় হোক,এতে কেহ কাফের হবেনা।
বৈবাহিক সম্পর্ক ইত্যাদির ক্ষেত্রেও কোনো সমস্যা হবেনা।
বিস্তারিত জানুনঃ