আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
26 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (23 points)
আসসালামু আলাইকুম
মুফতী সাহেবের কাছে আমার প্রশ্ন
ঈদের দিন আমার আর আমার ছোট চাচার একসাথে প্রথম জামাতে নামায পড়ার কথা ছিল। উনার আসতে দেরি হবে বিধায় আমাকে দ্বিতীয় জামাতে পড়ার কথা বলে আমি তার জন্য অপেক্ষা করি দ্বিতীয় জামাতের জন্য।  এতে কি আমার কোন গুনাহ হবে?  এখানে কি শিরক হওয়ার কোন সুযোগ থাকে? আর আমাদের কুরবানি ও দেরিতে হবে।

ঈদের নামাযের প্রথম ও দ্বিতীয় বা যেগুলো জামাত হোক আগে বা পরে পড়ার কি কোন ফযিলত আছে? নাকি যেকোনো জামাতে আদায় করলেই হয়ে যাবে?

1 Answer

0 votes
by (632,370 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا أَبُو مُصْعَبٍ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حُنَيْنٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ، وَالْمِسْوَرَ بْنَ مَخْرَمَةَ، اخْتَلَفَا بِالأَبْوَاءِ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ يَغْسِلُ الْمُحْرِمُ رَأْسَهُ . وَقَالَ الْمِسْوَرُ بْنُ مَخْرَمَةَ لاَ يَغْسِلُ الْمُحْرِمُ رَأْسَهُ . فَأَرْسَلَنِي ابْنُ عَبَّاسٍ إِلَى أَبِي أَيُّوبَ الأَنْصَارِيِّ أَسْأَلُهُ عَنْ ذَلِكَ، فَوَجَدْتُهُ يَغْتَسِلُ بَيْنَ الْقَرْنَيْنِ وَهُوَ يَسْتَتِرُ بِثَوْبٍ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَقَالَ مَنْ هَذَا قُلْتُ أَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ حُنَيْنٍ أَرْسَلَنِي إِلَيْكَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ أَسْأَلُكَ كَيْفَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَغْسِلُ رَأْسَهُ وَهُوَ مُحْرِمٌ قَالَ فَوَضَعَ أَبُو أَيُّوبَ يَدَهُ عَلَى الثَّوْبِ فَطَأْطَأَهُ حَتَّى بَدَا لِي رَأْسُهُ ثُمَّ قَالَ لإِنْسَانٍ يَصُبُّ عَلَيْهِ اصْبُبْ . فَصَبَّ عَلَى رَأْسِهِ ثُمَّ حَرَّكَ رَأْسَهُ بِيَدَيْهِ فَأَقْبَلَ بِهِمَا وَأَدْبَرَ . ثُمَّ قَالَ هَكَذَا رَأَيْتُهُ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَفْعَلُ .


ইবরাহীম ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে হুনায়েন (রহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) এবং আল-মিসওয়ার ইবনে মাখরামা (রাঃ) আল-আবওয়া নামক স্থানে একটি বিষয়ে মতবিরোধে লিপ্ত হলেন। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, ইহরামধারী ব্যক্তি নিজ মাথা ধৌত করতে পারবে। আর আল-মিসওয়ার (রাঃ) বলেন, সে নিজ মাথা ধৌত করতে পারবে না। অতএব ইবনে আব্বাস (রাঃ) আমাকে আবূ আইউব আল-আনসারী (রাঃ)-র নিকট এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করার জন্য পাঠান। আমি গন্তব্যে পৌঁছে দেখি যে, তিনি দু’টি খুঁটির মাঝখানে কাপড় দ্বারা পর্দা টেনে গোসল করছেন। আমি তাঁকে সালাম দিলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, কে?

আমি বললাম, আমি আবদুল্লাহ ইবনে হুনায়েন। ইবনে আব্বাস (রাঃ) আমাকে আপনার নিকট জিজ্ঞেস করতে পাঠিয়েছেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইহরাম অবস্থায় কিভাবে তাঁর মাধা ধৌত করতেন? রাবী বলেন, আবূ আইউব (রাঃ) তার হস্তদ্বয় পর্দার কাপড়ের উপর রেখে তা মাথা পর্যন্ত উত্তোলন করলেন এবং আমি তার মাথা দেখতে পেলাম। অতঃপর তিনি এক ব্যক্তিকে বললেন, পানি ঢালো। লোকটি তার গোসলে সাহায্য করছিল। সে তার মাথায় পানি ঢেলে দিলো। তিনি স্বহস্তে তার গোটা মাথা মর্দন করলেন এবং বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে এভাবে (মাথা ধৌত) করতে দেখেছি।

(সহীহুল বুখারী ১৮৪০, মুসলিম ১২০৫, নাসায়ী ২৬৬৫, আবূ দাউদ ১৮৪০, আহমাদ ২৩০১৮, ২৩০৩২, ২৩০৬৬, মুয়াত্তা মালেক ৭১২, দারেমী ১৮৯৩, ইরওয়া ১০১৯, সহীহ আবু দাউদ ১৬১৩।)

যদি একই ইমাম ২য় বার ঈদের নামাজের ইমামতি করে,তাহলে ২য় জামাতের মুছল্লিদের নামাজ হবেনা।
কেননা ইমামের ২য় বার ঈদের নামাজ নফল হবে।
আর নফল নামাজ আদায় কারীর পিছনে ফরজ/ওয়াজিব নামাজ আদায় কারীদের নামাজ হয়না।
(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদুয়্যাহ ৮/৪৩৪,৪৩৬)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
এক্ষেত্রে ঈদগাহে সারা পর জায়গা সংকুলান না হওয়ার কারনে নয়,বরং ছোট চাচার অপেক্ষায় আপনি ১ম জামাতে ছেড়ে দিয়ে ২য় জামাতে অংশগ্রহণ করছিলেন,সুতরাং আপনার কাজটি ঠিক হয়নি।

এতে শিরক হবেনা।

তবে ২য় জামাতে মুছল্লি ১ম জামাত থেকে কম হলে সেক্ষেত্রে ছওয়াব কম হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...