আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ উস্তায,
আমার বিয়েতে আমি ১ ভরি+ স্বর্ণ পেয়েছি, শশুর-শাশুড়ি দিয়েছেন আরকি। গতবছর ডিসেম্বরে স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩০ হাজার+ এরকম ছিলো আনুমানিক। এছাড়া আলাদা একটি স্বর্ণের আংটি আমার হাসবেন্ড আকদের দিন দিয়েছিলেন, পরিমাণ এক বা দুই আনা হয়তো। হাতে আরেক জোড়া চুড়ি আছে দাদিশাশুড়ির, এগুলোও নাকি স্বর্ণের, পাতলা করে বানানো, পরিমাণ জানিনা (সত্যি বলতে চুড়িগুলো আসলেই স্বর্ণ কিনা তা শিওর না)। আর আমাকে দুইসেট গয়না দিয়েছিলেন, বিয়েতে সচরাচর যেভাবে ইমিটেশনের জুয়েলার্স এমনি দেয়া হয় শাড়ির সাথে পড়ার জন্য, কিন্তু আমার দুইসেট ইমিটিশন না, এগুলো নাকি রুপার। উপর দিয়ে সোনার পানি দিয়ে কালার করা। এরকমই বললেন শাশুড়ী, আল্লাহ ভালো জানেন। আমি কখনো যাচাই করার প্রয়োজন বোধ করিনি, আসলেই এগুলো রুপা কিনা জানিনা এবং সঠিক পরিমাণটা জানিনা। তবে এটা শিওর আমার কাছে স্বর্ণ আছে প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার টাকার কিছু বেশি পরিমাণ। উল্লেখ্য, আমার হাতে কোনো ক্যাশ টাকা জমানো নেই, ৫০ টাকা আছে মাত্র, আর আমার ঋণ আছে প্রায় বিশ হাজার টাকা।
*(স্বর্ণের সঠিক পরিমাণ জানতে বা কনফিউশান দূর করতে কোনো স্বর্ণের দোকানে গিয়ে আমাকে যাচাই করতে হবে)
১. এক্ষেত্রে আমার উপর কি কুরবানী ওয়াজিব?
২. ঘরের ফার্ণিচার বা পোশাক বা দ্বীনি কিতাবাদী থাকলে এসব কি নেসাবের হিসাবে আসবে? যদি হয়, তাহলে এগুলোর হিসাব কেমন? আমার স্বামীর অনেক বেশি জুব্বা, পাঞ্জাবি এসব আছে, ঘরে দ্বীনি বইপত্র প্রায় লাখ তিনেক টাকার মতো হবে। আমারও কাপড়চোপড় অনেক আছে। এক্ষেত্রে এগুলো কিভাবে হিসাব করবো?
৩. আমার বাবার পৈত্রিক বসতবাড়ি আছে, পৈতৃক জমিজমাও আছে। কিন্তু চাচাদের সাথে ভাগ হয়নি, দাদা মারা গেছেন। জায়গাজমি নিয়া পারিবারিক দ্বন্দ্ব আছে কমবেশি। এককথায় জমি আমার বাবা পাবে কিন্তু এখনো হস্তগত হয়নি। তবে কয়েকমাস আগে কিছু অংশ বিক্রি করেছেন, অর্ধেক টাকা এনে আমার বিয়েসহ আরও বিভিন্ন খাতে ব্যয় করে ফেলেছেন। আরও অর্ধেক টাকা পাননি এখনো। উল্লেখ্য, আমার আব্বুর প্রায় ৫-৭ লাখ টাকা ঋণ আছে, কোনো ইনকাম সোর্স নাই, গরিবি হালতে দিন যাচ্ছে। এক্ষেত্রে আব্বুর কি কুরবানী দিতে হবে?
৪. আমার যদি কুরবানি ওয়াজিব হয় তাহলে আমার কি করণীয়? স্বর্ণ বিক্রি করে পশু কিনতে হবে? নাকি স্বর্ণ দান করে দিবো? নাকি শশুর শাশুড়িকে স্বর্ণ ফিরিয়ে দিবো? আমার ক্যাশ টাকা নাই, আর আমার পক্ষে ক্যাশ টাকা পাওয়া সম্ভবও না। আর সত্যি বলতে, এই স্বর্ণ আমার হলেও এর উপর আমার পরিপূর্ণ এখতিয়ার আছে কি না জানি না, যেহেতু শশুরবাড়ির দেয়া, সুতরাং জবাবদিহিতার মুখাপেক্ষী হতে হবে হয়তো। দয়া করে আমার অবস্থার আলোকে পরামর্শ দিন উস্তায, মিন ফাদ্বলিক।