আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
72 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (3 points)

১. আরাফার রোজার নিয়ত কি করবো? নফল রোজা নাকি আরাফার রোজা?

২. ২টি রোজা রাখা কি বিদআত?

এই লিখাটা পেলাম...

আরাফার রোজা নিয়ে আরেকদল রয়েছে, তারা বলেন, অতোশত ইখতিলাফ বাদ দিয়ে সব-দলেই থাকি। তারা বলেন, সতর্কতাবশত ৮ ও ৯ তারিখ আরাফার নিয়্যাতে রোজা রাখাই ভালো। এটি একটি বিদআতী মত। আরাফার নিয়্যাতে দুদিন রোজা রাখা অবশ্যই হারাম ও বিদআত। এটা দ্বীনে নতুন সংযোজন। এটি একটি বিদআতী ও হারাম আমল, এ ব্যাপারে ক্ষীণ সন্দেহ নেই। কারণ, শরীআত অনুযায়ী আরাফার রোজা মাত্র একটি, একাধিক নয়। শরীআত একদিনের অতিরিক্ত রোজা পালনের অনুমতি প্রদান করেনি। এমন সতর্কতার দোহাই দিয়ে জুমআর দিন জুমআর নামাজ ছাড়াও সতর্কতাবশত যোহরের সালাত আদায় করার মতো নিকৃষ্ট বিদআত চালু করেছে। আল্লাহ আমাদেরকে এমন বিদআত থেকে রক্ষা করুন!

-উস্তায আব্দুল্লাহ মাহমুদ হাফিযাহুল্লাহ

আরাফার সিয়াম নিয়ে বিভ্রান্তিতে না পড়ে সহজ ভাবে গ্রহণ করি।

হাদীসের ভাষ্য ও একদল ওলামাদের বক্তব্য আপনার বুঝ শক্তি যদি এমন হয় যে আরাফার সিয়াম বলতে আরাফার দিবসের সাথেই নির্দিষ্ট তাহলে আপনি বৃহস্পতিবার(৫ জুন) আরাফার সিয়াম আদায় করুন। আর যদি হাদিসের ভাষ্য ও আরেক দল ওলামাদের বক্তব্য আপনার এই ইয়াকিন ও বুঝ শক্তি উদয় হয় যে আরাফার সিয়াম আরাফার দিবসের সাথে নির্দিষ্ট নয়, বরং চাঁদের উদয় স্থলের সাথে, তাহলে শুক্রবার(৬ জুন) আরাফার সিয়াম আদায় করুন।
অবশ্য মনে রাখতে হবে আরাফার সিয়াম একটি সুতরাং এই বৃহস্পতিবার বা শুক্রবার যেকোনো একদিনকেই আরাফার সিয়ামের জন্য নির্দিষ্ট করতে হবে।বাকী দিন সাধারণ নফল সিয়াম হিসেবে পালন করা যেতে পারে। 
আল্লাহ তায়ালা আ'লাম।

-শায়েখ আব্দুল মালিক আহমাদ মাদানি হাফিজাহুল্লাহ

(সবচেয়ে নিরাপদ হয় প্রথম ৯ দিনই সিয়াম রাখা সম্ভব হলে,এটা মুস্তাহাব) 
"আরাফার দিনের রোজাটি স্বতন্ত্র একটি রোজা (এটির সাথে অন্য কিছুর সম্পর্ক নেই)। 
সেটির একটি মহান শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে যার মাধ্যমে আল্লাহ এক পূর্বের এক বৎসর ও পরের এক বৎসর গোনাহ ক্ষমা করেন।"

শাইখ আবদুল্লাহ ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ)
[ মাজমূয়ুল ফাতাওয়া লি-ইবনি বায : ১৫/৪০৫ ]

আমি এতোদিন রোজা রাখিনি। শুধু আরাফাহ এরটা রাখবো। এখন করণীয় কি?

1 Answer

0 votes
by (658,350 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
আরাফার রোজার নিয়ত করার সময় আরাফার নফল রোযা রাখছি বলে নিয়ত করলেও হবে। অথবা জ্বিলহজ্ব মাসের ৯ তারিখের রোযা রাখছি বা নফল রোযা রাখছি বলে নিয়ত করলেও হবে।

(২) হানাফি মাযহাবের উলামায়ের কেরামগনের বক্তব্য-
শরীয়তে কিছু ইবাদতের সম্পর্ক চাঁদের সাথে আর কিছুর সম্পর্ক সূর্যের সাথে।
পৃথিবীর সকল জায়গায় একসাথে সূর্যোদয় হয় না এবং সূর্যাস্তও হয় না।এবং তাহাজ্জুদের ওয়াক্ত এক সাথে হয় না।হাদীসে এসেছে,শেষ রাত্রে আল্লাহ বান্দাকে ডেকে বলেন,আছো কি কেনো গোনাহগার?আমি ক্ষমা করে দেবো।অথচ পৃথিবীর সকল জায়গায় এক সাথে তাহাজ্জুদ হয় না।লাইলাতুল কদরের আলোচনা কুরআনে এসেছে,অথচ সারা পৃথিবীতে এক সাথে রাত্র হয় না।

উপরোক্ত বিষয়গুলোতে আমরা অবশ্যই একথা বলবো,যে এই ইবাদত গুলি,যেমন লাইলাতুল কদর ইত্যাদির সম্পর্ক স্থানের সাথে।জিলহজ্বের মাসের নয় তারিখের নাম হল,ইয়াউমুল আরাফাহ।হাদীসে আরাফাহর দিন রোযা রাখার কথা বলা হয়েছে।
সুতরাং আরাফাহ তথা ৯জিলহজ্বের সম্পর্ক স্থানের সাথে।যে যেখানে অবস্থান করবে,সেখানের হিসেবেই ৯জিলহজ্ব অনুযায়ী রোযা রাখবে।

অন্যদিকে যারা সারা পৃথিবীতে একই সাথে হিজরী বর্ষ গণনার পক্ষে মতামত দিয়ে থাকেন।তারা মূলত সৌদিকে মানদন্ড হিসেবে সাব্যস্ত করেন।সুতরাং যে দিন সৌদিতে মাসের সূচনা হবে।সেদিন সারা পৃথিবীতেও মাসের সূচনা হবে।এ হিসেবে আরাফাহ তথা ৯জিলহজ্ব সেদিনই হবে যেদিন সৌদিতে ৯জিলহজ্ব হবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/2557

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আরাফার রোযা বাংলাদেশ সময় অনুযায়ী রাখবেন। এতেকেনো সন্দেহ রাখা যাবে না। সর্বোত্তম হল, জিলহজ্বরের প্রথম ৯ টি রোযা রাখা। সেটা সম্ভবত না হলে শেষ একটা, দুইটা কিংবা তিনটা রোযা রাখলেই হবে। এভাবে সুন্নত আদায় হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
তার মানে ২টা রাখলে বিদআত হবে? যেকোনো ১দিনই রাখতে হবে?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...