আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
45 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (9 points)
reshown by
আসসালামুয়ালাইকুম।

আমি নামাজ পড়ি। আলহামদুলিল্লাহ।আমার ছোট দুই ভাই নামাজ পড়া শুরু করেছে। সবচেয়ে ছোট টার বয়স এবার ১১ হবে। কিন্তু আমার মা নামাজ পড়েন না। দ্বীনের বুঝ নাই। কিছুদিন আগে আমার ছোট ভাইটা জেদ করতেছিল। আম্মুর কথা শুনতেছিল না।

তখন আম্মু বলে উঠে যে, মানুষ বলে না মুন্সী মানুষ বেশি খারাপ হয় আসলেই তাই। যেদিন থেকে ও নামাজ পড়া শুরু করেছে সেদিন থেকে আরো বেশি খারাপ হয়েছে।একটা কথাও এখন শুনে না। আমার বড় ভাই টা তখন বলে যে,ঐ যে নামাজ পড়তে যায় মসজিদ ওখানে কোন কোন ছেলের সাথে যেন মেশে এজন্য এমন। আমি আম্মুকে বলছিলাম যে ওর মসজিদ যাওয়ার দরকার নাই ওই বাড়িতেই নামাজ পড়ুক। এভাবে সে বলে।তবে হ্যা ও এখন আগের থেকে কম কথা শুনে। কিন্তু তার জন্য আমি নামাজকে একদম দোষ দেই না। আম্মু মনে হয় নামাজকে এর জন্য দায়ী মনে করে।

তখন আমি বললাম যে,আগে যে সারাদিন বাইরে খেলতে যাইতো তখন কারো সাথে মিশতো না? আমার বড় ভাই টা তখন বলে যে এখন যে নামাজ পড়া শেষ করে এদিক ওদিক যায়।এই রাস্তা দিয়ে বাড়ি আসে।ঐ রাস্তা দিয়ে বাড়ি আসে।এভাবে সে বলল। তখন আম্মু ও সেখানে উপস্থিত ছিল এবং কথাগুলো শুনতেছিল।

তখন আমি রাগ করে বললাম যে,থাক নামাজ কালাম পড়ার তো আর দরকার নাই।এটা আমি মন থেকে একদম বলি নাই।রাগ করে বলেছি।তারা ওভাবে কথা বলতেছিল,নামাজের গুরুত্ব বোঝে না তাই আমি রাগ করে এমন কথা বলে ফেলেছি।

১)হুজুর আমার কি এতে গুনাহ হয়েছে?হয়ে থাকলে কেমন গুনাহ হয়েছে?

২) আমার কি ইমান চলে গেছে??

1 Answer

0 votes
by (671,580 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
যেহেতু অনিচ্ছাকৃত নামায সম্পর্কে আপনার মুখ থেকে এই ধরণের কথা বের হয়েছে, তাই এতেকরে আপনার ঈমান চলে যাবে না। কেননা নামাযকে অপমান করা আপনার উদ্দেশ্য ছিলনা। তবে সতর্কতামূলক ঈমানকে নবায়ন করে নিবেন।
"الدر المختار " (4/ 224):
"(وشرائط صحتها العقل) والصحو (والطوع) فلا تصح ردة مجنون، ومعتوه وموسوس، وصبي لايعقل وسكران ومكره عليها، وأما البلوغ والذكورة فليسا بشرط بدائع".
قال ابن عابدین رحمه الله:
" قال في البحر والحاصل: أن من تكلم بكلمة للكفر هازلاً أو لاعبًا كفر عند الكل ولا اعتبار باعتقاده، كما صرح به في الخانية. ومن تكلم بها مخطئًا أو مكرهًا لايكفر عند الكل، ومن تكلم بها عامدًا عالمًا كفر عند الكل، ومن تكلم بها اختيارًا جاهلاً بأنها كفر ففيه اختلاف. اهـ".
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/5807


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
edited
হুজুর কথাটি আমি রাগ করে বলেছিলাম।তারা ওভাবে কথা বলতেছিল দেখে আমি রাগ করে বলেছিলাম যে,তাহলে আর কি নামাজ কালাম পড়ার দরকার নাই।
১)এতে কি আমার ইমানের কোনো সমস্যা হবে?
২)আর না হলে এরকম কথা বলাতে কি আমার কোনো গুনাহ হবে ?
মাফ করবেন হুজুর আবারো প্রশ্ন করার জন্য। মনের মধ্যে একটু সন্দেহ আছে দেখে আবারো প্রশ্নটা করা।
by (671,580 points)
এই ধরণের কথা আর কখনো মুখে আনবেন না। আপাতত কোনো সমস্যা হয়নি।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...