আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
440 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (16 points)
আমার খুব নিকটস্থ একজন গলায় ফাঁস দিয়েছিলেন।আত্মীয়রা বলছেন,উনাকে নামিয়ে মুখে পানি দেয়ার কিছুক্ষণ পর মারা গিয়েছেন। তাহলে এটাকে কি সুইসাইড ধরা হবে না?  তাঁর নাজাতের জন্য দু'আ বা দান সাদকাহ করা যাবে?

উনি মানসিকভাবে স্ট্যাবল ছিলেন না বলে সবার ধারণা। আর্থিক ভাবে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হন ডাকাতদের কারণে,যার ফলে সারাদিন একা বসে তাকিয়ে থাকতেন শূণ্য চোখে। কথাও খুব কম বলতেন।

1 Answer

+1 vote
by (597,330 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আত্মহত্যা হারাম। আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَلَا تَقْتُلُوا أَنفُسَكُمْ ۚ إِنَّ اللَّهَ كَانَ بِكُمْ رَحِيمًا
আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু। {সূরা নিসা-২৯}

হাদীসে আত্মহত্যার ভয়াবহ শাস্তির কথা এসেছে,হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত।
عَنْ أبي هريرة , عَن النبي – صلى الله عليه وسلم – قال : من تردى من جبل , فقتل نفسه ,  فهو في نار جهنم يتردى فيها خالدا مخلدا فيها أبدا , ومن تحسى سما , فقتل نفسه , فسمه في يده يتحساه في نار جهنم خالدا مخلدا فيها أبدا , ومن قتل نفسه بحديدة , ثم انقطع علي شيء , يعني خالدا , كانت حديدته في يده يجأ بها في بطنه في نار جهنم خالدا مخلدا فيها أبدا
রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ব্যক্তি পাহাড়ের উপর থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করে, সে জাহান্নামের আগুনে পুড়বে, চিরদিন সে জাহান্নামের মধ্যে অনুরূপভাবে লাফিয়ে পড়তে থাকবে। যে ব্যক্তি বিষপান করে আত্মহত্যা করবে, তার বিষ জাহান্নামের আগুনের মধ্যে তার হাতে থাকবে, চিরকাল সে জাহান্নামের মধ্যে তা পান করতে থাকবে, যে ব্যক্তি লোহার আঘাতে আত্মহত্যা করবে, সে জাহান্নামের মধ্যে লোহা তার হাতে থাকবে, চিরকাল সে তার দ্বারা নিজের পেটে আঘাত করতে থাকবে। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৫৪৪২, সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং-১৯৬৪} বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- 7592

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আত্মহত্যা করা কবিরা গোনাহ। আত্মহত্যার চেষ্টা করাও কবিরা গোনাহ। যদি কেউ আত্মহত্যার চেষ্টা করে বিফল হয়,এবং কিছুক্ষণ পর বা পরবর্তীতে ঐ চেষ্টার ফলাফল হিসেবে মারা যায়, তাহলে সেও আত্মহত্যাকারী হিসেবে গণ্য হবে।সে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে, তবে চিরকাল নয়,বরং দীর্ঘ সময় জাহান্নামে থাকবে।কেননা কোনো মুসলমান চিরস্থায়ী জাহান্নামি হতে পারে না। তাঁর নাজাতের জন্য দু'আ বা দান সাদকাহ করা যাবে।
তবে যদি কোনো মুসলমান আত্মহত্যার চেষ্টা করে বিফল হওয়ার পর তাওবাহ করে নেয়, তাহলে তার তাওবাহ অবশ্যই কবুল হবে। তাকে দীর্ঘ সময়ও জাহান্নামের আগুলে জ্বলতে হবে না।আল্লাহ চাহে তো এ জন্য তার কোনো শাস্তি নাও হতে পারে। 

একজন যদি সারাজীবন গুনাহ করে মৃত্যুর আগে কালিমা পড়ে নেয়,যদি সে ব্যক্তি কাফির হয়,তাহলে তার অতীতের সমস্ত গোনাহ মাফ হবে। আর যদি সে মুসলমান হয়,এবং সে তাওবাহর নিয়তে কালিমা পড়ে থাকে, তাহলে তার তাওবাহ ও কবুল হবে।

কোনো মুসলমান মানষিক ভারশাম্য হরিয়ে আত্মহত্যা করলে তাকেও আত্মহত্যাকারী হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...