আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
10 views
in কুরবানী (Slaughtering) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ
১। ৫জন শরিক হয়ে কুরবানী দিলে প্রত্যেকের নিয়্যাত শুদ্ধ থাকা আবশ্যক। বিষয়টি নিশ্চিতের জন্য নিয়্যাতের শুদ্ধতার বিষয়ে বলা হয়। প্রত্যেকের পক্ষ থেকে প্রকাশ্যে বিষয়টি জানান কুরবানী শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য দিচ্ছে। কেউ মনে মনে ভিন্ন নিয়্যাত রাখলে সেটা জানার উপায় নেই। এক্ষেত্রে কিভাবে নিশ্চিত হওয়া যাবে কুরবানীটা সহিহ হয়েছে।

২। কুরবানীর পশুর কেনার ক্ষেত্রে ওজন যাচাই করে বা পশুর ওজনের বিষয়ে আলোচনা করা কি জায়েজ হবে? যেমন এভাবে বলা - "গরুটা ৫ মণের হবে। ৫মণের গরু হলে আমাদের জন্য সুবিধা হয়। সবাইকে শান্তিমত বন্টন করে দেওয়া যাবে।" এভাবে বললে নিয়্যাত অশুদ্ধ হয়ে যায়?

৩। কুরবানীর পর অংশীদার সবাইকে সমানভাগে ভাগ করে দেওয়া হয়। তবে ভাগের পূর্বে খাওয়ার জন্য কি নেওয়া জায়েজ হবে? প্রত্যেক অংশীদারের সম্মতিতে নির্দিষ্ট কিছু গোশত রান্নার জন্য দেওয়া হয়। এরপর রান্না হলে সেটি সব অংশীদার এবং তাদের পরিবারের সবাই মিলে খাওয়া হয়। এক্ষেত্রে কে কতটুকু খাবে এটা ভাগ করা হয় না। যে যার মত নিয়ে খায় এবং কেউ কেউ পরে খাওয়ার জন্য আলাদা তুলে রাখে। এতে কেউ কেউ হয়তো সেভাবে তুলে রাখে না বা রাখতে পারে না। এটা নিয়ে হয়তো মন খারাপ করে কেউ কেউ। এসবের কারণে কি কুরবানীর উপর প্রভাব পড়বে? যদিও রান্নার পূর্বে সবাই নিজেদের সম্মতি দিলেই সেটা রান্নার জন্য দেওয়া হয়। এটি করার মূলত উদ্দেশ্য থাকে ঈদের দিন প্রথম খাবার হিসেবে কুরবানীর গোশত খাওয়া। যেহেতু পশু কুরবানী করে ভাগ করতে বেশ সময় লেগে যায়, তাই ভাগের পূর্বে এভাবে এক জায়গায় রান্না করে সবাই মিলে খাওয়া হয়।

Please log in or register to answer this question.

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...