আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ
১। ৫জন শরিক হয়ে কুরবানী দিলে প্রত্যেকের নিয়্যাত শুদ্ধ থাকা আবশ্যক। বিষয়টি নিশ্চিতের জন্য নিয়্যাতের শুদ্ধতার বিষয়ে বলা হয়। প্রত্যেকের পক্ষ থেকে প্রকাশ্যে বিষয়টি জানান কুরবানী শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য দিচ্ছে। কেউ মনে মনে ভিন্ন নিয়্যাত রাখলে সেটা জানার উপায় নেই। এক্ষেত্রে কিভাবে নিশ্চিত হওয়া যাবে কুরবানীটা সহিহ হয়েছে।
২। কুরবানীর পশুর কেনার ক্ষেত্রে ওজন যাচাই করে বা পশুর ওজনের বিষয়ে আলোচনা করা কি জায়েজ হবে? যেমন এভাবে বলা - "গরুটা ৫ মণের হবে। ৫মণের গরু হলে আমাদের জন্য সুবিধা হয়। সবাইকে শান্তিমত বন্টন করে দেওয়া যাবে।" এভাবে বললে নিয়্যাত অশুদ্ধ হয়ে যায়?
৩। কুরবানীর পর অংশীদার সবাইকে সমানভাগে ভাগ করে দেওয়া হয়। তবে ভাগের পূর্বে খাওয়ার জন্য কি নেওয়া জায়েজ হবে? প্রত্যেক অংশীদারের সম্মতিতে নির্দিষ্ট কিছু গোশত রান্নার জন্য দেওয়া হয়। এরপর রান্না হলে সেটি সব অংশীদার এবং তাদের পরিবারের সবাই মিলে খাওয়া হয়। এক্ষেত্রে কে কতটুকু খাবে এটা ভাগ করা হয় না। যে যার মত নিয়ে খায় এবং কেউ কেউ পরে খাওয়ার জন্য আলাদা তুলে রাখে। এতে কেউ কেউ হয়তো সেভাবে তুলে রাখে না বা রাখতে পারে না। এটা নিয়ে হয়তো মন খারাপ করে কেউ কেউ। এসবের কারণে কি কুরবানীর উপর প্রভাব পড়বে? যদিও রান্নার পূর্বে সবাই নিজেদের সম্মতি দিলেই সেটা রান্নার জন্য দেওয়া হয়। এটি করার মূলত উদ্দেশ্য থাকে ঈদের দিন প্রথম খাবার হিসেবে কুরবানীর গোশত খাওয়া। যেহেতু পশু কুরবানী করে ভাগ করতে বেশ সময় লেগে যায়, তাই ভাগের পূর্বে এভাবে এক জায়গায় রান্না করে সবাই মিলে খাওয়া হয়।