ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
আলহামদুলিল্লাহ!
এটা বাংলাদেশ সহ বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বেশী মতবিরোধ পূর্ণ মাস'আলা সমূহের একটি।মুতা'আখখিরিন হানাফি ফুকাহায়ে কেরামের মাযহাব হলো,কোনো এক জায়গায় চাদ দেখা গেলে সারা বিশ্বের সবার জন্য ঈদ করা জরুরী নয়।বরং নিজ নিজ এলাকায় যখন চাদ দেখা যাবে,তখন সেখানে ঈদ করা হবে।জাহিরুর রেওয়াতের যে কথা উল্লেখ করা হয় যে,ইমাম আবু হানিফা রাহ বলেছেন,কোনো শহরে চাদ দেখা গেলে সমস্ত শহর এবং এলাকার উপর সেই চাদ দেখার ভিত্তিতে দিন তারিখ ঠিক করা ও ইবাদত করা ওয়াজিব, সেটা প্রমাণিত নয়। ইমাম শা'ফেয়ী রাহ এর মাযহাব ও এ সম্পর্কে সংশয় মূলক।উনার মাযহাবের উযুহ তথা মুতা'আখখিরিন উলামায়ে কেরাম বলেন,কোনো এক জায়গায় চাদ দেখা গেলে নিকটবর্তী দূরবর্তী সমস্ত এলাকার জন্য সেই চাদের ভিত্তিতে দিন গণনা শুরু করতে হবে।ঠিক এ এভাবে মালিকী মাযহাব ও হাম্বলী মাযহাবের সিদ্ধান্ত।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সৌদি আরবসহ আশেপাশের দেশগুলোতে ৬ তারিখে পবিত্র ঈদুল আযহা অনুষ্ঠিত হবে। কোন প্রবাসী যদি উক্ত দেশগুলো থেকে ঈদের নামাজ পড়ে দেশে আসে, তাহলে তার জন্য ৭ তারিখে বাংলাদেশে ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ করাও যদিও ওয়াজিব নয় তবে পড়ে নিলে মাকরুহ হবে না।
لما في الفتاوی السراجية:
"إذا صلی العيد في بلدة، ثم انتهی من الغد إلی قوم يصلون العيد في بلدة أخری، فصلی معهم لم يكره".(كتاب الصلاة، باب العيدين، فصل، ص: ١٨، سعيد)