আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
17 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (22 points)
আসসালামু আলাইকুম,

(আগের প্রশ্নে উত্তর পেয়েছি কিন্তু ভালো ভাবে ক্লিয়ার হওয়ার জন্য আবার জিজ্ঞেস করলাম।নিজের ইমান নিয়ে অনেক ভয়ে আছি।।দয়া করে নিচে যেভাবে ভেঙে ভেঙে উত্তর দেয়া সেভাবে উত্তর দিবেন)

বিয়ের আগে আমার স্বামী কোনো এক ঘটনাক্রমে তার মায়ের গোপনাঙ্গ দেখে ফেলে। যা তার জন্য দেখা হারাম।ইচ্ছাবসত নয়। বিয়ের পর সে আমার গোপনাঙ্গ দেখে বলে  "তোমার গোপনাঙ্গ দেখতে আমার মায়ের মতো।তোমাদের অনেক মিল রয়েছে"

এতে তো যিহার হয়েছে।

১।আমার স্বামী যিহার করেছে।আমি তাকে ব্যপার টা জানালে সে আমাকে বলে তার পক্ষে কাফফারা দেয়া সম্ভব নয়। আমাদের মধ্যে তো তাহলে সব হারাম। এখন আমার জন্য করনীয় কি তাকে ছেড়ে দেয়া? বিয়ে শেষ করা? সামাজিক কারনে তাও সম্ভব না। এখন বাধ্য হয়ে এই হারাম সম্পর্কে থাকতে হচ্ছে।।এতে কি আমার ইমান নষ্ট হয়ে যাবে?? আমি অনেক নিরুপায়।

২।"যারা নিজেদের স্ত্রীদের সাথে যিহার করে, তারপর তারা তাদের উক্তি ফিরিয়ে নেয়, তাদের জন্য একে অপরকে স্পর্শ করার পূর্বে একজন দাস মুক্তির বিধান দেয়া হলো। এটা তোমাদের জন্য নির্দেশ। আর তোমরা যা কিছুই করনা কেন,

সে সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা সবই জানেন। এ ছাড়া যে ব্যক্তি গোলাম অর্থাৎ দাস আজাদ করার ক্ষমতা রাখে না তারজন্য একে অপরকে স্পর্শ করার পূর্বে একটানা ২মাস রোযা রাখতে হবে। আর যে ব্যক্তি এটারও সামর্থ্য রাখে না,

তাহ’লে তাকে ৬০জন মিসকিন অর্থাৎ গরীব মানুষকে খানা খাওয়াতে হবে। এই বিধান এ জন্য যে, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের উপরে তোমরা ঈমান রাখ।

এটা আল্লাহর সীমারেখা। আর কাফিরদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি” (আল- মুজাদালাহ,৩-৪)

--- এখানে আল্লাহ বলেছেন "এই বিধান এই জন্য যে, আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের উপরে তোমরা ইমান রাখ।

এটা আল্লাহর সীমারেখা। আর কাফিরদের জন্য রয়েছে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি।"

এ দ্বারা আল্লাহ কি এটা বুঝিয়েছেন যে কেউ কাফফারা না দিয়ে তার স্ত্রীকে স্পর্শ করলে কাফির হয়ে যাবে?? তার ইমান নষ্ট হয়ে যাবে।বিধান এ বিশ্বাস করলেও কাফফারা ইচ্ছে করে না দিলে ইমান নষ্ট হয়ে যাবে?? কাফফরা না দিলেই কাফের হয়ে যাবে?? ( আমরা আল্লাহর এই বিধানে ইমান এনেছি বিশ্বাস স্থাপন করেছি)
** এখানে প্রথম ভাগে আল্লাহ বলেছেন "এই বিধান এই জন্য যে, আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের উপরে তোমরা ইমান রাখ।" এটা দিয়ে আল্লাহ কি এই বুঝিয়েছেন যে কেউ বিধান বিশ্বাস করলেও ইচ্ছে করে বুঝে শুনে কাফফারা না দিলে আল্লাহ এবং তার রাসুলের প্রতি ইমান চলে যাবে? নাউজুবিল্লাহ।  ( কেউ ইচ্ছে করে বুঝে শুনে কাফফারা না দিলে, কিন্তু যিহারের  বিধান বিশ্বাস করে)

** দ্বিতীয় ভাগে আল্লাহ বলেছেন "এটা আল্লাহর সীমারেখা। আর কাফিরদের জন্য রয়েছে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি।" এখানে কি আল্লাহ এটা বুঝিয়েছেন যে কেউ বিধান মানলেও ইচ্ছে করে বুঝে শুনে সব জেনে কাফফারা না দিলে ইমান নষ্ট হবে কাফির হয়ে যাবে?( কেউ ইচ্ছে করে বুঝে শুনে কাফফারা না দিলে, কিন্তু যিহারের  বিধান বিশ্বাস করে)

**  কোনো ব্যাক্তি যিহারের বিধানে বিশ্বাস করে কিন্তু কাফফারা ইচ্ছে করে দিলো না।।সব মাসালা বিধান জেনেও দিলো না।।। কিন্তু তার স্ত্রীকে স্পর্শ করা তার জন্য হারাম সেটা সে বিশ্বাস করে।।।তাও কাফফারা দিলো না এতে তার ইমান নষ্ট হয়ে যাবে??

1 Answer

0 votes
by (657,960 points)


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
الظِّهَارُ هُوَ تَشْبِيهُ الزَّوْجَةِ أَوْ جُزْءٍ مِنْهَا شَائِعٍ أَوْ مُعَبَّرٍ بِهِ عَنْ الْكُلِّ بِمَا لَا يَحِلُّ النَّظَرُ إلَيْهِ مِنْ الْمُحَرَّمَةِ عَلَى التَّأْبِيدِ وَلَوْ بِرَضَاعٍ أَوْ صِهْرِيَّةٍ كَذَا فِي فَتْحِ الْقَدِيرِ سَوَاءٌ كَانَتْ الزَّوْجَةُ حُرَّةً أَوْ أَمَةً أَوْ مُكَاتَبَةً أَوْ مُدَبَّرَةً أَوْ أُمَّ وَلَدٍ أَوْ كِتَابِيَّةً
স্ত্রীকে মাহরামে আবদি যেমন মা,বোন ইত্যাদি ব্যক্তিবর্গের উল্লেখযোগ্য কোনো অঙ্গের দিকে বা এমন কোনো অঙ্গের সাথে তুলনা করা যেই অঙ্গের দিকে তাকানো হারাম।মাহরামে আবদি দুধ সম্পর্কের কারণে হোক বা বৈবাহিক সম্পর্কের কারণে হোক। এবং স্ত্রী চায় আযাদ হোক বা বাদি হোক কিংবা মুকাতাব বা উম্মে ওলাদ হোক।জিহার হবে।ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৫০৬)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/60982

كفارة الفطر، وكفارة الظهار واحدة ، وهي عتق رقبة مؤمنة أو كافرة فإن لم يقدر على العتق فعليه صيام شهرين متتابعين، وإن لم يستطع فعليه إطعام ستين مسكينا كل مسكين صاعا من تمر أو شعير أو نصف صاع من حنطة
রোযা এবং যিহার উভয়ের কাফ্ফারা একিই।তা এই যে,একটা গোলাম আযাদ করা চায় গোলাম ঈমানদ্বার হোক বা কাফির হোক।যদি গেলাম আযাদ করা অসম্ভব হয়,তাহলে লাগাতার দুই মাস রোযা রাখতে হবে। যদি রোযা রাখাও অসম্ভব হয়, তাহলে ষাটজন মিসকিন খাওয়াতে হবে। প্রত্যেক মিসকিনকে যব বা কিসমিস হলে এক সা' আর গম হলে অর্ধেক সা' করে দিতে হবে।{ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/২১৫}এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/102

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
জিহার হওয়ার পর কাফফারা না দিয়ে আবার সংসারকে চলমান রাখা কবিরা গোনাহ। নিয়মিত গোনাহ হচ্ছে। তবে এজন্য সে কাফির হয় নাই।তার উপর ফরয যে, সে কাফফারা দেয়ার পূর্ব পর্যন্ত সাংসারিক জীবন থেকে দূরে থাকবে অথবা অন্যত্র বিয়ে করে নেবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...