আসসালামু আলাইকুম,
(আগের প্রশ্নে উত্তর পেয়েছি কিন্তু ভালো ভাবে ক্লিয়ার হওয়ার জন্য আবার জিজ্ঞেস করলাম।নিজের ইমান নিয়ে অনেক ভয়ে আছি।।দয়া করে নিচে যেভাবে ভেঙে ভেঙে উত্তর দেয়া সেভাবে উত্তর দিবেন)
বিয়ের আগে আমার স্বামী কোনো এক ঘটনাক্রমে তার মায়ের গোপনাঙ্গ দেখে ফেলে। যা তার জন্য দেখা হারাম।ইচ্ছাবসত নয়। বিয়ের পর সে আমার গোপনাঙ্গ দেখে বলে "তোমার গোপনাঙ্গ দেখতে আমার মায়ের মতো।তোমাদের অনেক মিল রয়েছে"
এতে তো যিহার হয়েছে।
১।আমার স্বামী যিহার করেছে।আমি তাকে ব্যপার টা জানালে সে আমাকে বলে তার পক্ষে কাফফারা দেয়া সম্ভব নয়। আমাদের মধ্যে তো তাহলে সব হারাম। এখন আমার জন্য করনীয় কি তাকে ছেড়ে দেয়া? বিয়ে শেষ করা? সামাজিক কারনে তাও সম্ভব না। এখন বাধ্য হয়ে এই হারাম সম্পর্কে থাকতে হচ্ছে।।এতে কি আমার ইমান নষ্ট হয়ে যাবে?? আমি অনেক নিরুপায়।
২।"যারা নিজেদের স্ত্রীদের সাথে যিহার করে, তারপর তারা তাদের উক্তি ফিরিয়ে নেয়, তাদের জন্য একে অপরকে স্পর্শ করার পূর্বে একজন দাস মুক্তির বিধান দেয়া হলো। এটা তোমাদের জন্য নির্দেশ। আর তোমরা যা কিছুই করনা কেন,
সে সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা সবই জানেন। এ ছাড়া যে ব্যক্তি গোলাম অর্থাৎ দাস আজাদ করার ক্ষমতা রাখে না তারজন্য একে অপরকে স্পর্শ করার পূর্বে একটানা ২মাস রোযা রাখতে হবে। আর যে ব্যক্তি এটারও সামর্থ্য রাখে না,
তাহ’লে তাকে ৬০জন মিসকিন অর্থাৎ গরীব মানুষকে খানা খাওয়াতে হবে। এই বিধান এ জন্য যে, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের উপরে তোমরা ঈমান রাখ।
এটা আল্লাহর সীমারেখা। আর কাফিরদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি” (আল- মুজাদালাহ,৩-৪)
--- এখানে আল্লাহ বলেছেন "এই বিধান এই জন্য যে, আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের উপরে তোমরা ইমান রাখ।
এটা আল্লাহর সীমারেখা। আর কাফিরদের জন্য রয়েছে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি।"
এ দ্বারা আল্লাহ কি এটা বুঝিয়েছেন যে কেউ কাফফারা না দিয়ে তার স্ত্রীকে স্পর্শ করলে কাফির হয়ে যাবে?? তার ইমান নষ্ট হয়ে যাবে।বিধান এ বিশ্বাস করলেও কাফফারা ইচ্ছে করে না দিলে ইমান নষ্ট হয়ে যাবে?? কাফফরা না দিলেই কাফের হয়ে যাবে?? ( আমরা আল্লাহর এই বিধানে ইমান এনেছি বিশ্বাস স্থাপন করেছি)
** এখানে প্রথম ভাগে আল্লাহ বলেছেন "এই বিধান এই জন্য যে, আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের উপরে তোমরা ইমান রাখ।" এটা দিয়ে আল্লাহ কি এই বুঝিয়েছেন যে কেউ বিধান বিশ্বাস করলেও ইচ্ছে করে বুঝে শুনে কাফফারা না দিলে আল্লাহ এবং তার রাসুলের প্রতি ইমান চলে যাবে? নাউজুবিল্লাহ। ( কেউ ইচ্ছে করে বুঝে শুনে কাফফারা না দিলে, কিন্তু যিহারের বিধান বিশ্বাস করে)
** দ্বিতীয় ভাগে আল্লাহ বলেছেন "এটা আল্লাহর সীমারেখা। আর কাফিরদের জন্য রয়েছে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি।" এখানে কি আল্লাহ এটা বুঝিয়েছেন যে কেউ বিধান মানলেও ইচ্ছে করে বুঝে শুনে সব জেনে কাফফারা না দিলে ইমান নষ্ট হবে কাফির হয়ে যাবে?( কেউ ইচ্ছে করে বুঝে শুনে কাফফারা না দিলে, কিন্তু যিহারের বিধান বিশ্বাস করে)
** কোনো ব্যাক্তি যিহারের বিধানে বিশ্বাস করে কিন্তু কাফফারা ইচ্ছে করে দিলো না।।সব মাসালা বিধান জেনেও দিলো না।।। কিন্তু তার স্ত্রীকে স্পর্শ করা তার জন্য হারাম সেটা সে বিশ্বাস করে।।।তাও কাফফারা দিলো না এতে তার ইমান নষ্ট হয়ে যাবে??