আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
16 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (40 points)
(১) নোট: এই প্রশ্নটা লিখেছিলাম আরো কিছুদিন আগে কিছু পরিমার্জন করা হয়েছে পরে, তবে এটা কিছুদিন আগের ঘটনা। এখন পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। তবে এখনও একটু টেনশন কাজ করছে যে এখন সালাম দিবো কিনা?

কারণ ওর সঙ্গে একটু কথা বললেই ঝামেলা হয়। মাঝেমধ্যে ওলটপালট আচরণ করে ওর জন্য আমার সমস্যায় porte হয়।

উস্তাদ, আমার এক ভাই আছে যমজ।

অনেক মেজাজি এবং উগ্র আচরণ ওর। তো এই কারণে আমি আপনাদেরকে প্রশ্ন করেছিলাম উত্তরে সালাম চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ পেয়েছিলাম ওই পরামর্শ অনুযায়ীই চলছিলাম কিন্তু একদিন ঝগড়া হলো এরপর (যেহেতু ঝগড়া হওয়ার কারণে রাগ ছিলো ওর প্রতি) তবুও সালাম দিলাম এবং বললাম: "যদি আমার সালামের উত্তর নাও দেয় সমস্যা নাই"

এটা এইকারনে বলেছিলাম এটা বুঝানোর জন্য যে ঝগড়া হওয়ার পরও সালাম দিয়েছি দায়িত্ব আদায়ের জন্য । যেহেতু ঝগড়ার পর সালাম দেওয়ার জন্য লজ্জা কাজ করছিলো।আমি এটা কেনো বললাম এইকারনে চিল্লানো শুরু করলো গালিও দিলো আবার মারামারিও হইলো

আমি সালাম দেওয়ার পর উত্তর দিয়েছিলো কিন্তু এই কথাটায় রেগে গেলো তো আমার বড় ভাই এবং আম্মু পরামর্শ দিয়েছে সালামও না দেওয়ার।
আমার মনে হয় শুধু সালাম দিলে এতো রাগ হবেনা কিন্তু এরপরও মনে হচ্ছে সালাম দিলে যদি আবার ঝামেলা করে? এই প্রশ্নটা আছে।আমি কি সালাম না দিলে এবং তার থেকে একদম দুরত্ব বজায় রাখতে পারবো আমার গুনাহ্ হবে?

(২) শায়খ উপরের প্রশ্ন করতে গিয়ে আমার ভাইয়ের গুনাহ্ প্রকাশ হয়েছে এতে কি আমার গুনাহ্ হবে?

(৩) শায়খ, বিস্কিট খেলে মাঝেমধ্যে দেখা যায় গুড়া কাপড়ে পড়ে যায়। বড় বড় গুড়া গুলো খুজে খাওয়া যায়। তবে ছোট গুলো খুজতে খুজতে অনেক দেরি হয়ে যায় মানে একদম ছোট গুড়ার কথা বুঝাচ্ছি (বিন্দু পরিমাণ)। দস্তরখানেও যদি খাই তখনও যদি বিন্দু পরিমাণ গুড়া গুলো নিচে পড়ে সেটাও খাওয়া অনেক সময় সাপেক্ষ এমনকি অনেকক্ষণ খুজার পরও সব পাওয়া মুশকিল প্রচুর সময়েও যায়, এগুলো না খেলে গুনাহ হবে আমার?

(৪) কুরবানীর ঈদে ঈদগাহে না গিয়ে মসজিদে পড়া কি মাকরুহ?

(৫) শায়খ আমি একটি দ্বীনি গ্রুপ WhatsApp এ খুলেছিলাম। তো ঐখানে কিছু ভাই যদি ইমোজি ব্যবহার করে আমার গুনাহ হবে ?যেহেতু এই গ্রুপ আমি খুলেছি। কান্নার ইমোজি ইত্যাদি তারা ব্যবহার করলে তাদেরকে মানা না করলে আমার

 গুনাহ হবে?

1 Answer

0 votes
by (629,460 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
কোনো মুসলিমের সাথে তিন দিনের বেশি কথা বন্ধ রাখা জায়েজ নেই।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ مَيْسَرَةَ، وَأَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ السَّرْخَسِيُّ، أَنَّ أَبَا عَامِرٍ، أَخْبَرَهُم حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ هِلَالٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لَا يَحِلُّ لِمُؤْمِنٍ أَنْ يَهْجُرَ مُؤْمِنًا فَوْقَ ثَلَاثٍ، فَإِنْ مَرَّتْ بِهِ ثَلَاثٌ، فَلْيَلْقَهُ فَلْيُسَلِّمْ عَلَيْهِ، فَإِنْ رَدَّ عَلَيْهِ السَّلَامَ فَقَدِ اشْتَرَكَا فِي الْأَجْرِ، وَإِنْ لَمْ يَرُدَّ عَلَيْهِ فَقَدْ بَاءَ بِالْإِثْمِ

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো ঈমানদারের জন্য বৈধ নয়, সে কোনো ঈমানদারের সঙ্গে তিন দিনের বেশি সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন রাখবে। অতঃপর তিন দিন অতিবাহিত হওয়ার পর উভয়ে দেখা হলে একজন সালাম দিলে এবং দ্বিতীয় ব্যক্তি তার সালামের উত্তর দিলে উভয়ই সালামের সাওয়াব পাবে। আর দ্বিতীয়জন সালামের উত্তর না দিলে গুনাহগার হবে। ইমাম আহমাদ এর বর্ণনায় রয়েছেঃ সালামদাতা সম্পর্কচ্ছেদের গুনাহ থেকে মুক্ত হবে।
(আবু দাউদ ৪৯১২)
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
তার সাথে দেখা সাক্ষাৎ হলে আপনি অবশ্যই তাকে কমপক্ষে সালাম দিবেন।

আর যদি এতোটা দূরে থাকেন যে আর দেখা-সাক্ষাৎ হয়না, সেক্ষেত্রে সালাম না দিলেও গুনাহ হবে না।
তবে সাক্ষাৎ হলে অবশ্যই সালাম দিবেন।

তবে এক্ষেত্রে যেহেতু আত্মীয়তা সম্পর্ক ছিন্ন হচ্ছে,তাই দেখা সাক্ষাৎ না হলেও মাঝেমধ্যে ফোন দিয়ে সালাম/কুশল বিনিময় করবেন।

(০২)
না,হবেনা।

(০৩)
না,এতে আপনার গুনাহ হবেনা।

(০৪)
ঈদুল আজহা হোক বা ঈদুল ফিতর হোক,সর্বাবস্থায় ঈদের নামায ঈদগাহে ও খোলা মাঠে পড়া সুন্নত। 

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং খোলাফায়ে রাশেদীন সকলেই ঈদের নামায ঈদগাহে পড়তেন। হযরত আবু সাঈদ খুদরী রা. বলেন-

كَانَ رَسُولُ اللّهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ يَخْرُجُ يَوْمَ الفِطْرِ وَالأَضْحَى إِلَى المُصَلّى.

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার দিন (ঈদের নামাযের জন্য) ঈদগাহে যেতেন। (সহীহ বুখারী, হাদীস ৯৫৬)

হযরত আলী রা. বলেন-

الْخُرُوجُ إِلَى الْجَبّانِ فِي الْعِيدَيْنِ مِنَ السّنّةِ.

দুই ঈদে (ঈদের নামাযের জন্য) খোলা মাঠে যাওয়া সুন্নত। (আলমুজামুল আওসাত, তাবারানী, হাদীস ৪০৪০)

তাই মাঠে পড়ার ব্যবস্থা থাকলে বিনা ওজরে মসজিদে ঈদের জামাত করা সুন্নতের খেলাফ হবে। বিধায় তাহা মাকরুহ হবে।

তবে বিনা ওযরে মসজিদে ঈদের নামায আদায় করলেও তা আদায় হয়ে যাবে।

তবে ওযর বশত যেমন জায়গা সংকুলান না হওয়া বা বৃষ্টি ইত্যাদির কারণে মসজিদে ঈদের নামায পড়লে সুন্নতের খেলাফ হবে না।

আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন-

أَصَابَهُمْ مَطَرٌ فِي يَوْمِ عِيدٍ، فَصَلّى بِهِمُ النّبِيّ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ صَلَاةَ الْعِيدِ فِي الْمَسْجِدِ.

কোনো এক ঈদের দিন তাঁরা বৃষ্টিতে আবদ্ধ হয়ে পড়েন। ফলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীদের নিয়ে মসজিদে ঈদের জামাত আদায় করেন। (সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ১১৫৩; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ১৩১৩)

(০৫)
আপনি তাদের মানা করে দিবেন।
এতে কাজ না হলে আপনার গুনাহ হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...