আর যদি এতোটা দূরে থাকেন যে আর দেখা-সাক্ষাৎ হয়না, সেক্ষেত্রে সালাম না দিলেও গুনাহ হবে না।
তবে এক্ষেত্রে যেহেতু আত্মীয়তা সম্পর্ক ছিন্ন হচ্ছে,তাই দেখা সাক্ষাৎ না হলেও মাঝেমধ্যে ফোন দিয়ে সালাম/কুশল বিনিময় করবেন।
ঈদুল আজহা হোক বা ঈদুল ফিতর হোক,সর্বাবস্থায় ঈদের নামায ঈদগাহে ও খোলা মাঠে পড়া সুন্নত।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং খোলাফায়ে রাশেদীন সকলেই ঈদের নামায ঈদগাহে পড়তেন। হযরত আবু সাঈদ খুদরী রা. বলেন-
كَانَ رَسُولُ اللّهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ يَخْرُجُ يَوْمَ الفِطْرِ وَالأَضْحَى إِلَى المُصَلّى.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার দিন (ঈদের নামাযের জন্য) ঈদগাহে যেতেন। (সহীহ বুখারী, হাদীস ৯৫৬)
হযরত আলী রা. বলেন-
الْخُرُوجُ إِلَى الْجَبّانِ فِي الْعِيدَيْنِ مِنَ السّنّةِ.
দুই ঈদে (ঈদের নামাযের জন্য) খোলা মাঠে যাওয়া সুন্নত। (আলমুজামুল আওসাত, তাবারানী, হাদীস ৪০৪০)
তাই মাঠে পড়ার ব্যবস্থা থাকলে বিনা ওজরে মসজিদে ঈদের জামাত করা সুন্নতের খেলাফ হবে। বিধায় তাহা মাকরুহ হবে।
তবে বিনা ওযরে মসজিদে ঈদের নামায আদায় করলেও তা আদায় হয়ে যাবে।
তবে ওযর বশত যেমন জায়গা সংকুলান না হওয়া বা বৃষ্টি ইত্যাদির কারণে মসজিদে ঈদের নামায পড়লে সুন্নতের খেলাফ হবে না।
আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন-
أَصَابَهُمْ مَطَرٌ فِي يَوْمِ عِيدٍ، فَصَلّى بِهِمُ النّبِيّ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ صَلَاةَ الْعِيدِ فِي الْمَسْجِدِ.
কোনো এক ঈদের দিন তাঁরা বৃষ্টিতে আবদ্ধ হয়ে পড়েন। ফলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীদের নিয়ে মসজিদে ঈদের জামাত আদায় করেন। (সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ১১৫৩; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ১৩১৩)