হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
❝لَعَنَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الرَّاشِيَ وَالْمُرْتَشِيَ❞
“রাসূলুল্লাহ (সা.) ঘুষদাতা ও ঘুষগ্রহীতাকে অভিশাপ দিয়েছেন।”
(সুনান আবু দাউদ: ৩৫৮০, তিরমিযি: ১৩৩٧, সহীহ)
যাকাত উসুলকারীর ঘুষ নেওয়া সম্পর্কে নির্দিষ্ট একটি ঘটনা:
হাদীসটি সহীহ বুখারীতে বর্ণিত, একজন যাকাত সংগ্রাহক লোক এসে বলল:
> ❝هَذَا لَكُمْ، وَهَذَا أُهْدِيَ لِي❞
“এটা (যাকাত) তোমাদের জন্য, আর এটা আমাকে উপহার দেওয়া হয়েছে।”
তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) মিম্বরে উঠে বললেন:
> ❝فَهَلَّا جَلَسَ فِي بَيْتِ أَبِيهِ أَوْ بَيْتِ أُمِّهِ فَيَنْظُرُ يُهْدَى لَهُ أَمْ لَا؟**❞
“সে যদি সত্যি বলে, তাহলে সে তার বাবার বা মায়ের ঘরে বসে থাকত, দেখত কেউ তাকে কিছু দেয় কি না!”
সহীহ বুখারী: হাদীস ২৫৯৭
সহীহ মুসলিম: হাদীস ১৮৩২
ব্যাখ্যা:
এই হাদীসের মাধ্যমে রাসূল (সা.) বোঝাতে চেয়েছেন, রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কোনো ব্যক্তিকে যদি কিছু দেওয়া হয়, তা আসলে ঘুষের শামিল। এটি হারাম ও সম্পূর্ণ অবৈধ। সরকারি দায়িত্ব পালনের সময় প্রাপ্ত উপহার আসলে ঘুষ, এবং তা গ্রহণ করলে তা খিয়ানতের শামিল।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে অনুদানগৃহীত ব্যক্তি দায়িত্বরত ব্যক্তিকে বকশিস হিসেবে কিছু টাকা দিলে সেটা নেয়া জায়েজ হবেনা।