আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
26 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ! World vision এর সাথে সংযুক্ত থেকে এলাকার উন্নয়নের জন্য কাজ করছেন, এবং হতদরিদ্র এক পরিবারকে সাহায্যে চিকিৎসার জন্য অনুদান গ্রহণ করা হয়েছে। অনুদানগৃহীত ব্যক্তি দায়িত্বরত ব্যক্তিকে বকশিস হিসেবে কিছু টাকা দিলে সেটা নেয়া কি জায়েজ হবে? জায়েজ না হলে সে টাকা কিভাবে খরচ করতে পারি? এবং যিনি অনুদান গ্রহণ করেছেন তিনি এখন কি করতে পারেন উক্ত অনুদানের ক্ষেত্রে?

1 Answer

0 votes
by (628,380 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

❝لَعَنَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الرَّاشِيَ وَالْمُرْتَشِيَ❞
“রাসূলুল্লাহ (সা.) ঘুষদাতা ও ঘুষগ্রহীতাকে অভিশাপ দিয়েছেন।”
(সুনান আবু দাউদ: ৩৫৮০, তিরমিযি: ১৩৩٧, সহীহ)

যাকাত উসুলকারীর ঘুষ নেওয়া সম্পর্কে নির্দিষ্ট একটি ঘটনা:

হাদীসটি সহীহ বুখারীতে বর্ণিত, একজন যাকাত সংগ্রাহক লোক এসে বলল:

> ❝هَذَا لَكُمْ، وَهَذَا أُهْدِيَ لِي❞
“এটা (যাকাত) তোমাদের জন্য, আর এটা আমাকে উপহার দেওয়া হয়েছে।”

তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) মিম্বরে উঠে বললেন:

> ❝فَهَلَّا جَلَسَ فِي بَيْتِ أَبِيهِ أَوْ بَيْتِ أُمِّهِ فَيَنْظُرُ يُهْدَى لَهُ أَمْ لَا؟**❞
“সে যদি সত্যি বলে, তাহলে সে তার বাবার বা মায়ের ঘরে বসে থাকত, দেখত কেউ তাকে কিছু দেয় কি না!”

সহীহ বুখারী: হাদীস ২৫৯৭
সহীহ মুসলিম: হাদীস ১৮৩২

ব্যাখ্যা:

এই হাদীসের মাধ্যমে রাসূল (সা.) বোঝাতে চেয়েছেন, রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কোনো ব্যক্তিকে যদি কিছু দেওয়া হয়, তা আসলে ঘুষের শামিল। এটি হারাম ও সম্পূর্ণ অবৈধ। সরকারি দায়িত্ব পালনের সময় প্রাপ্ত উপহার আসলে ঘুষ, এবং তা গ্রহণ করলে তা খিয়ানতের শামিল।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
দায়িত্ব পালনের সময় দেওয়া কোনো উপহার আসলে ঘুষ, এবং তা গ্রহণ করা নিষিদ্ধ।

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে অনুদানগৃহীত ব্যক্তি দায়িত্বরত ব্যক্তিকে বকশিস হিসেবে কিছু টাকা দিলে সেটা নেয়া জায়েজ হবেনা।

এটা ঘুষের টাকা,এই টাকা অনুদানগৃহীত ব্যাক্তিকেই ফেরত দিতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...