বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাব
উশর প্রসঙ্গ।
জমিন থেকে যা কিছু উৎপাদিত হয়।চায় একসের হোক, ইমাম আবু-হানিফা রাহ এর মতানুসারে তাতে উশুর অর্থ্যাৎ দশ ভাগের এক ভাগ ফরয হবে।
অর্থ্যাৎ দশ ভাগের একভাগ আল্লাহর রাস্তায় দেওয়া ফরয। বৎসরে যতবার-ই ফসল উৎপাদিত তাতে উশুর আসবে।যদি প্রাকৃতিক পানি দিয়ে চাষ করা হয়, তাহলে এ হুকুম। কিন্তু যদি মেশিনেরর পানি দিয়ে জমি চাষ করা হয় তাহলে নিসফে উশর অর্থ্যাৎ বিশ ভাগের এক ভাগ ফরয হবে।
ﻭَﺁﺗُﻮﺍْ ﺣَﻘَّﻪُ ﻳَﻮْﻡَ ﺣَﺼَﺎﺩِﻩ
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আম কাঁঠাল সবেদা ইত্যাদি ফসলের উশর ওয়াজিব হবে। যেহেতু সাধারণত এগুলো আসমানের পানি দ্বারাই হয়ে থাকে, তাই এগুলো ১০ ভাগের ১ ভাগ উশর ওয়াজিব হবে।
لما في '' تنقیح الفتاوی الحامدیة'':
"(سئل) في رجل له أشجار مثمرة في أرض عشرية فقطعها ويريد العشري أخذ عشرها فهل له ذلك؟ (الجواب) : لا عشر في نفس الأشجار المثمرة، كما في الزيلعي والبحر وغيرهما۔ (أقول:) وإنما العشر في نفس الثمر، وفي الأشجار المعدة للقطع، كما مر". (العقود الدرية في تنقيح الفتاوى الحامدية (1/ 12) باب الزکوٰۃ والعشر، ط: دارالمعرفۃ)
وكل شيئ أخرجته الأرض مما فيه العشر لا يحتسب فيه أجر العمال ونفقة البقر، لأن النبى صلى الله عليه وسلم حكم بتفاوت الواجب لتفاوت المؤنة فلا معنى لرفعها، (هداية، كتاب الزكاة، باب زكاة الزروع والثمار-1/203)