আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
78 views
in কুরবানী (Slaughtering) by (31 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ।

আমার একজন স্টুডেন্ট [বয়স ২১]। আমার সকল ভরনপোষণ বাবা-মা চালান। তবে, আমার মালিকানায় আমার ৪ ভরি স্বর্ণ আছে। এবং জমানো ১১,৩৫০ টাকা আছে। এগুলো ব্যতীত, ১,১০০ টাকা একজনকে ধারও দিয়েছি। জমানো টাকাগুলো আমার যখন কিছুর শখ হয়, তখন খরচ করি মাঝেমধ্যে।

১। এখন, আমার উপর কি কুরবানি ওয়াজিব?

২। যদি আমি আমার টাকায় কুরবানি দিতে না পারি, তাহলে কি আমার বাবা-মা আমার কুরবানির টাকা দিতে পারবে? যেহেতু আমি ইনকাম করিনা।

৩। এর আগের বছরগুলোতে কখনো দেখা হয়নি, আমার উপর কুরবানি ওয়াজিব কিনা। কারণ ফ্যামিলিতে ভাবে "বিবাহিত হলে কুরবানি দেবে আর আমি ছোট মানুষ আমার আবার কিসের কুরবানি!" এখন, যদি আগের বছরগুলোতে ওয়াজিব হয়েও থাকে আমিতো নিশ্চিত জানিনা এবং জানতাম না- এটা কীভাবে সমাধান করবো?

1 Answer

0 votes
by (665,010 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
কুরবানি দেওয়া ওয়াজিব।কার উপর ওয়াজিব?এ সম্পর্কে ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
مِنْهَا الْيَسَارُ وَهُوَ مَا يَتَعَلَّقُ بِهِ وُجُوبِ صَدَقَةِ الْفِطْرِ دُونَ مَا يَتَعَلَّقُ بِهِ وُجُوبُ الزَّكَاةِ،
এই পরিমাণ ধনবান ব্যক্তির উপর কুরবানি ওয়াজিব,যে পরিমাণ ধনসম্পত্তি থাকার কারণে কারো উপর সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব হয়।যাকাত ওয়াজিব হওয়ার নেসাব পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হওয়া শর্ত নয়।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/২৯২,কিতাবুল-ফাতাওয়া-৪/১৩১) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1642

শুধু স্বর্ণ হলে কারো নিকট ৭.৫ ভড়ি স্বর্ণ থাকলেই কেবল কুরবানি ওয়াজিব হবে। যেভাবে যাকাতের বিধান। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/121


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) আপনার উপর কুরবানি ওয়াজিব। 
(২) জ্বী, আপনার মা বাবা আপনার কুরবানির টাকা দিতে পারবে। 
(৩) অতীতের যত বৎসর কুরবানি ওয়াজিব ছিলো, সেই সকল বৎসরের জন্য একটি এক বৎসর বয়সের বকরির মূল্য সদকাহ করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...